Header Ads

বঙ্গে ডেঙ্গু রোগ বেড়েই চলছে। সাবধান মশারি ছাড়া শোবেন না

*ডেঙ্গু হইতে সাবধান*

ডেঙ্গু একটি ভাইরাস রোগ। সাধারণত এডিস বাষক মশার কামড়ে এই জ্বর হয়। 
ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণের ঝুঁকি সারা বছর ব্যাপী ধারে তরে জুলাই থেকে অক্টোবরে পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রকারের বেশি থাকে। 
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো : ক্লাসিকয়ল ডেঙ্গু ও হেমেরেজিক ডেঙ্গু। 
 *_ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:*_

. জ্বর (102F - 104 F)। 
. হঠাৎ তীরে মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যাথা বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। 
. শরীরের ব্যাথা বা জয়েন্টে ব্যাথা। 
.  চামড়ায় লালচে দাগ। 
. ক্ষুধায়ন্দা বা স্বদের পরিবর্তন। 

 _হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমহ :

. মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত। 
. দ্রুত শ্বাস- প্রশ্বাস 
. ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ। 
. প্রস্রাবে ও পায়খানার সাধে রক্তপাত। 
. তীব্র পেটে ব্যাথা ও ডায়ারিয়া। 

 _ডেঙ্গু হলে কি কি পরীক্ষা করবেন:_ 

Dengue NS1 (antigen) জ্বর প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত এই টেস্টটি করতে হবে। ১ম - ৩য়  দিন থেকে নেগেটিভ হয়ে যায়। 
. CBC
. SGOT (AST) 
. SGPT (ALT) 
. Dengue lgM/lgG জ্বরের ৪থ-৫য় দিব থেকে টেস্টীটি করতে দেওয়া হয়। 

জ্বরের পাশাপাশি অবংক লক্ষণ থাকলে আপনার চিকিৎসক আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। 

 _ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত ঝুঁকি যাদের জন্য_

. বয়স ১ বছর নিচে বা ৪৫ বছরের উপরে। 
. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের রোগী, হাটের সমস্যা আছে এই ব্যক্তি। 
 
 _ডেঙ্গু জ্বর হলে বাড়িতে কী কী করবেন:_

. অবশ্যই  নিকটে চিকিৎসাকের পরামর্শ নিবেন। 
. পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন। 
. একজন প্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ গ্লাস এর বেশি পানি পান করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে শুধু পানি লবনের তারতম্য করতে পারে এজন্য পানির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর যেমন ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন (O R S) ইত্যাদি। 
. ভিটামিন সি'  জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন। 
. সাইট্রাস ফল, কাঠবাদাম, দই, সূর্যমূখী বীজ, পালংশাক, আদা, রসুন, কয়পাসিকা বেশি করে খেতে পারেন। 
 . জ্বর বেশি হলে ডেজা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিবেন। 
. জ্বর কমার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাবেন ( ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ) 
. শরীরে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, ন্যাপ্রক্সেন ইত্যাদি ব্যাথা কমাতে ঔষধ খাওয়া যাবে না। পাশাপাশি স্টেরয়েড ও অ্যান্টিবায়োটিক মাতীয় ঔষধ যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.