সরকারের নরম মানুভাব চিট ফান্ড গুলি থেকে প্রতারিত হচ্ছে ত্রিপুরার মানুষ
নয়া ঠাহর প্রতিনিধি: আগরতলা : ত্রিপুরা
সরকারের নমনীয় মনোভাব এবং নন-ব্যাংকিং ফাইনান্স কোম্পানিগুলোর কাজকর্মে তদারকির অভাবে বেশ কয়েকটি জালিয়াতি সংস্থা ত্রিপুরার মানুষকে শোষণ করছে বলে অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কাছে নালিশ জানালেন সিপিআইএম পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ডিএল এন্ড ভারত ফিনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেস নামের একটি তথাকথিত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানির গুরুতর প্রতারণামূলক কাজকর্ম মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে এনে চিঠিতে জিতেন্দ্র চৌধুরী লিখেন, আগরতলার বাধারঘাটের নিম্বার্ক এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পরিচালিত
এই মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানিটি নথি অনুসারে হুগম্যাটিক বন্ড অফ সার্ভিসেস' র সাব-এজেন্ট হিসাবে ত্রিপুরায় কাজ
করার অনুমোদন দিলেও অনুমোদনের চিঠিতে ডিএল এন্ড ভারত ফিনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেস কোম্পানীর স্বত্বাধিকারীর কোনো উল্লেখ নেই এবং অনুমোদনের কোন তারিখ নেই। ইয়েস ব্যাঙ্কের জনৈক দেবাশীষ দে' র দেওয়া বিসিএ শংসাপত্রের ভিত্তিতে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন। কোম্পানীটির একটি লিফলেটের প্রতিলিপি চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তিনি আরো অভিযোগ করেন, এই কোম্পানি মহিলাদের এবং অন্যদের সম্পত্তি বন্ধক রেখে বার্ষিক প্রায় ৩৮.৬৬ শতাংশ উচ্চ হারে ঋণ প্রদান করে।
কিস্তি আদায়ের জন্য কোম্পানীর প্রতিনিধিরা গ্যারান্টিযুক্ত ঋণগ্রহীতাদের অমানবিকভাবে হয়রানি করছে এবং অনেক জায়গায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এই কোম্পানিটি বেকার যুবকদের কাছ থেকে জামানতবিহীন মেয়াদী ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে। এই কোম্পানির বেশিরভাগ ন সংগঠক ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের তথাকথিত নেতা হওয়ায়
পুলিশ ও প্রশাসন তাদের প্রতারণামূলক কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করার সাহস করছে না।
এই পরিস্থিতিতে, প্রতারকদের হাত থেকে দরিদ্র মানুষকে বাঁচাতে এই কোম্পানি সহ রাজ্যে কাজ করা নন ব্যান্কিং সংস্থাগুলির কাজকর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।








কোন মন্তব্য নেই