খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা
_ _খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা__
Moumita Das :kandi
খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা এটি *জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা* দেশি খেজুর গাছ পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ রস ও ফল সংগ্রহের আবহমান পদ্ধতি। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলা, এবং বীরভূম জেলাতে হাজারো বেশি খেজুর গাছ আছে। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে খেজুর গাছর মাথায় অংশকে ভালো করে পরিষ্কার করা হয়। এরপর পরিস্কার সাদা অংশ কেটে বিশেষ কায়দায় ছোটো-বড়ো কলসিতে রস সংগ্রহ করা হয়। শীতের মৌসুমে প্রতিদিন বিকেলে থেকে সন্ধ্যার মধ্যে গাছের মাথায় সাদা অংশ পরিষ্কার করে গাছের হাঁড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সকাল হলে সেই হাঁড়ি নামিয়ে আনা হয়।
(১) গাছের রস দিয়ে উন্নত মানের সিরাপ তৈরি করা হয়। তাই ইহা একটি পুরাতন গাছের ফসল। (২) এই গাছের রস দিয়ে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি বানানো হয়।
অধিক খেজুর গাছ লাগানোর জন্য আমাদের কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে এবং তাদের জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নতি সাধন সম্ভব হবে। সিরাপ, পাটালি, ও খেজুরের ফল উৎপাদন করা হয়।
ফলে গুনগত ও সাধারণ দেশি খেজুর বীজ বীজতলার বপন করে তৈরি করা হয়। বীজতলার মাটি বেলে মিশ্রিত ভেটা মাটি হলে হয়। তাহলে তারা গজাতে সুবিধা হয়। দেশী খেজুর ফল শুকনো গাছ গুলি অপূর্ব রস ভান্ডার এই রস জাল দিয়ে গুর প্রস্তুত করা হয় যা খুবই উপাদেয় ।এই গুর আজকাল বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। এই গুর এর রসগোল্লা বাজারে বিরাট চাহিদা আছে। বাংলাদেশ, বৃটেন , আমেরিকার প্রবাসী বাঙালি রা খুব পছন্দ করেন। দুর্ভোগের কথা এই খেজুর গাছ পরিকল্পনা করে বপন করা হয়না। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বড় অবহেলা নিয়ে বেঁচে থাকে। শীতে ঠান্ডা এলেই কদর। রস সংগ্রহ করা শিউলি রা সেই ভোর রাতে গাছ গুলিতে উঠে হাঁড়ি বাঁধে টুপ টুপ করে রস মধু ঝড়ে ।যারা রস সংগ্রহ করে তাদের শিউলি বলে। এই হাজার হাজার গরিব শিউলি দের এই সমাজে কোনো দাম নেই ।তাদের ভোর রাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও নূন্যতম মজুরি পায়না। রক্ত ঘাম পরিশ্রম এর সঙ্গে মিষ্টি সুস্বাদু রস মিলে মিশে একাকার মানবীয় তা কোথায়?
কোন মন্তব্য নেই