Header Ads

অসম নাগরিক মঞ্চের বিবৃতি

----: আসাম নাগরিক মঞ্চের বিবৃতি---:                            বাংলা সাহিত্য সভা,অসম এবং অসমীয়া জাতীয় স্বাভিমান ফুলাম গামোছা নিয়ে FB তে ইতি পূর্বে আমার মত প্রকাশ করেছি।কিন্তু, অনেকেই এই বিষয়ে আমার সুচিন্তিত মতামত চাইছেন।তাই ,পুনঃ লিখছি।
       বাংলা সাহিত্য সভা, অসম নামের সদ্যোজাত সন্তানটির স্রষ্টাদের উর্বর মস্তিস্কও অপরিপক্বতার জন্য সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বাঙালি জাতি আসামে উগ্র বাঙালি ও বাংলা ভাষা বিদ্বেষীদের সমালোচনার পণ্যে পরিণত হয়েছে।আসামে বাঙালি ও বাংলা ভাষা বিদ্বেষ নতুন নয় যদিও বাঙালির সহ্য গুণে তা অনেকটা স্তিমিত হয়েছিল।এই ক্ষেত্রে উদার পন্থী প্রগতিশীল অসমীয়া সুশীল সমাজ এবং শ্রমজীবী অসমীয়া সমাজের অবদান অনস্বীকার্য।কিন্তু,  জুড়া দেয়া গামছা এবং গামোছা কাণ্ডে আবারো আমরা( বাঙালিরা) নিন্দিত ,সমালোচিত ।সমসলোচনার ঢং দেখে মনে হয় বাঙালির শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য এখনো আতুর ঘরের  চৌকাঠ পের হয়নি। শিক্ষা, সংস্কৃতি ,শিল্প সাহিত্যে সমৃদ্ধশালী বাঙালি জাতির র
রুচিবোধকে কে হেয় প্রতিপন্ন করে বাংলা সাহিত্য সভা, অসমের কর্মকর্তাগণ নিজস্ব/ ব্যক্তিগত শ্রীবৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত তৈল মর্দ্দন করে  নেতাজী, আশুতোষ মুখার্জী ,রমেশ দত্ত হেমাঙ্গ বিশ্বাস প্রভৃতি কৃতি বাঙালির চেয়েও বড় অসমীয়া হিতৈষী হতে গিয়ে বৃহত্তর বাঙালি জাতিকে অপমান করেছেন তা অতিব ঘৃণনীয় ।আসাম নাগরিক মঞ্চের পক্ষে আমি এই কাণ্ডের নিন্দা করছি।দুটি গামছা জুড়া লাগিয়ে অতিথি আপ্যায়নের বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সংগঠনটির কর্মকর্তাগণ প্রমাণ করলেন বাংলা সংস্কৃতির ন্যূনতম জ্ঞান তাঁদের নেই,নেই অসমীয়া সংস্কৃতিরও।অন্যদিকে,উগ্র বাঙালি বিদ্বেষীদের নিকট লিখিত মার্জনা চেয়ে তাঁরা উদার পন্থী ,প্রগতিশীল অসমীয়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বর্গকেও পক্ষান্তরে অপমান করলেন - যাঁরা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও গামছা ও গামোছাজুড়া কাণ্ডে  প্রকাশ্যে এই সদ্যোজাত সংগঠনটির কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানিয়ে রক্ষণশীল উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত অশ্লীল  বাক্যবানে জর্জরিত ( সমালোচিত) হচ্ছেন।
   এই তথাকথিত সাহিত্য সভাটি আদৌ সাহিত্যিকদের সংগঠন কি না সে সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। 
        বাঙালির অতিথি আপ্যায়ন প্রথা অতি সাধারন কিন্তু তাৎপর্যের বাহক ও মর্যাদার সূচক।বাঙালিরা অতিথিকে আসনে বসিয়ে পট্টবস্ত্র নামক উত্তরীয় বিশেষ ভঙ্গিমায় অতিথির কাঁদে ঝুলিয়ে ধান দুর্ব্বা অতিথির মাথায় দিয়ে উলু'ধ্বনিও শঙ্খ ধ্বনি দ্বারা অতিথিকে সম্মান প্রদর্শন করে বরণ করেন। সেখানে ,সর্ব কাজে ব্যবর্হিত গামছার স্থান নেই।গামছা পূজা পার্বণে ঘটাচ্চাদনে ব্যবর্হিত হয়।অন্যদিকে অসমীয়া গামোচা অসমীয়া জাতির স্বাভিমানের অন্যতম প্রতীক।এই বস্ত্রকে বিহুয়ান হিসেবে সম্মান দেয়া হয়।তাই, গামোছাকে দ্বিখন্ডিত করে টুকরা গামছার সাথে  জুড়ে দেয়া গর্হিত বৈকি।
        তাই, আসাম নাগরিক মঞ্চের পক্ষে বাংলা সাহিত্য সভাকে এই ধরনের গর্হিত কার্য থেকে ভবিষতে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করছি এবং বৃহত্তর বাঙালি সমাজের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে আহবান জানাচ্ছি।
     ইতি
বিজয় চক্রবর্তী।
সাধারন সম্পাদক।
আসাম নাগরিক মঞ্চ, হোজাই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.