বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দু নিধন যজ্ঞ নিয়ে আজও কেউ আলোক পাত করলেন না অভিযোগ পশ্চিম বঙ্গের বিশিস্ট লেখক মোহিত রায়ের
অমল গুপ্ত গুয়াহাটি ; আমার মনেও প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে গত দুর্গাপুজোর সময় এত হামলা হল,? বছর জুড়ে বাঙালি নিধন যজ্ঞ চলছে কিন্তু কলকাতার বাঙালিদের প্রতিবাদ কোথায়? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিষ্ণু দে থেকে অধিকাংশ লেখক বাংলাদেশ মুলের তারা প্রতিবাদ করেন নি। কারণ তাদের বই বাংলাদেশে বিক্রি হবে না। ঢাকার মুসলিমরা কিন্তু প্রতিবাদ করেন।। হিন্দু নিধন যজ্ঞ নিয়ে চুপ করে থাকা এই লেখক রা শ্রেয় বলে মনে করেন তাই আজ পর্যন্ত কেউ কলম ধরলেন না। যে কথাটা কেউ বলেন নি পশ্চিমবঙ্গের বিশিস্ট রাষ্ট্রবাদী চিন্তাবিদ মোহিত রায় বলে দিলেন। পশ্চিম বঙ্গের বুর্দ্ধিজীবীদের চরিত্র নিয়ে এত খোলাখুলি কেউ বলেন নি। বাংলাদেশ শে ২৬ শতাংশ থেকে আজ মাত্র ৮ শতাংশ বাঙালি হিন্দু যাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। হত্যা ধর্ষনের ভেতর দিয়ে ধর্মান্ধরা পূর্ববঙ্গকে কেড়ে নিল। বাংলা সাহিত্যে সেই রক্তাত্ত ইতিহাস স্থান পেল না।আজো নতুন করে ইতিহাস লিখতে হবে। সেই সত্য কথাটি মোহিত রায় বলে দিলেন। তার সারগর্ভ ভাষণ শোনার সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলা সাহিত্য সভার কর্ণধার প্রশান্ত চক্রবর্তী। গুয়াহাটি গ্রন্থমেলার প্রাঙ্গনে মোহিত বাবুকে পাওয়া গেল সেখানে বিনোদ ভাগবতির ওস্তাদের শেষ রাতি নামে অসমীয়া গ্রন্থটি উন্মোচন করেন মানস রায় কৃত ভাষান্তর উন্মোচন অনুষ্ঠানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা সংবাদ জগতের পুরোধা বিজয় কৃষ্ণ নাথ ও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সাহিত্যে পুরস্কার পাওয়া রতিশ দাস ও শিশির সেন গুপ্ত কে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রাক্তন প্রেস উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী বাঙালি অসমিয়ার সেতু বন্ধন নিয়ে আলোকপাত করেন। বাংলা সাহিত্য সভা অসম শীতের সন্ধ্যায় অসমীয়া বাংলার মধ্যে সম্প্রতি র ছবি তুলে ধরলো। সবটাই কৃতিত্ব অধ্যাপক প্রশান্ত চক্রবর্তী র অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র গবেষক উষা রঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর ডিব্রুগর সফরের সুন্দর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কবি বিকাশ সরকার মন ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা পাঠ করেন। মোহিত রায়ের এক লেখা প্রকাশ পেয়েছিল নয়া ঠাহর পুজো সংখ্যায় এই প্রতিবেদক তাঁর এক কপি তুলে দেন।
কোন মন্তব্য নেই