কাজিরাঙা উদ্যানে ৩০০ সাফারি জীপ পেট্রোল কার্বন ছড়াচ্ছে
কাজিরাঙা উদ্যানে ৩০০সাফারি জীপ পেট্রোল পুড়িয়ে কার্বন ছড়াচ্ছে ,জঙ্গলে বিষ বাষ্প ক্ষতি করছে
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি : কাজিরাঙা এক শৃঙ্গ গন্ডারের জন্যে বিখ্যাত সবাই জানেন কিন্তু এই শীতের মরশুমে কাজিরাঙা উদ্যানে মিহি মুখ ,ডিফেলু , মুনা বিলে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির অবাধ বিচরণ ,কিচির মিচির শব্দে মুখোরিত হতে দেখলাম। সুদূর সাইবেরিয়ার ঠাণ্ডা অঞ্চল থেকে এসেছে।প্রকান্ড পেলিকান, বারহেড গিজ, সামুখ খোল, ব্ল্যাক নেক স্টক, আর লাভ বার্ড রুডিসিযাল ডাক তিন জোড়া ভালবাসার লাল টক টকে পাখি দেখলাম আমাদের সফর সঙ্গী পিঙ্কু ঘোষ তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জানান, এই পাখি জোড়া জোড়াই ঘোরে একটি মারা গেলে অপর টিও মারা যায়। কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারে না। ইউনেস্কো যেমন কাজিরাঙ্গার গন্ডারকে হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাঘের সংরক্ষিত জঙ্গল বলেও স্বীকৃতি দিয়েছে । কাজিরাঙ্গার হাজার হাজার প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য হিসাবে মেনে নিয়েছে। কাজিরাঙ্গা বছরের শেষ দিন সফর করলাম। ৪৩০বর্গ কিলোমিটার উদ্যানে চারটি জোন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০০সাফারি জিপ ঢুকছে প্রতি জীপ প্রায় ৩০কিলোমিটার জঙ্গল সফর করে প্রতি জিপে প্রায় ৬লিটার পেট্রোল লাগে। ৩০০ জিপের পেট্রোল পুড়ে, কার্বন বিষ ছড়ায় উদ্যানের সংখ্যাধিক আজার, শিমুল, চালতা সহ অসংখ্য গাছে কার্বন বিষের আস্তরণ সবুজ পাতার ক্ষতি হচ্ছে। জঙ্গলের সম্পদ ইলিফেন্ট গ্রাস বা সা বাই ঘাসের ক্ষতি হচ্ছে। এই তিনশো জীপ যদি সসেজব্যাটারি চালিত বা ইলেকট্রনিক হত তবে কার্বন দূষণ হত না। কাজিরাঙ্গার রোড সাইডের এক হোটেলে ৩০ডিসেম্বর রাত বাস করে রাতভর গাড়ি চলাচলের বিকট শব্দ শুনলাম। উদ্যানের মাঝ দিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক গেছে বুড়া পাহাড় থেকে বোকাখাট পর্য্যন্ত জঙ্গলের ভেতর দিয়ে।গাড়ির বিকট শব্দ ৮০ ডিসিবেল কেও ছাড়িয়ে গেছে। রাতের নীরব অন্ধকার চিড়ে সেই শব্দ গন্ডার বাঘদের কানে যাচ্ছে না কি? তারা আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছে না কি? সরকার বিকল্প সড়কের কথা বলছে।কবে বাস্তবায়িত হবে ভগবান জানেন।অসমের গর্ব স্বাভিমান গন্ডার রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার ।
কোন মন্তব্য নেই