Header Ads

কুলদীপ দাস গুপ্তের কড়া শাস্তির দাবি বি ডি এফের



 নয়া ঠাহর    শিলচর   ;ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শীঘ্র বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে  ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কুলদীপ দাসগুপ্তের মৃত্যুর জন্য দায়ী যোগেন্দ্র পান্ডের শাস্তি ও অবিলম্বে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী শিবু নাথের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হল বিডিএফ।

স্টেট ব্যাঙ্ক কাবুগঞ্জ শাখার ম্যানেজার কুলদীপ দাসগুপ্তের আত্মহত্যার পেছনে ব্যাঙ্কের উপরমহল সহ নিচুতলার কর্মী সবার যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তাই অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হলেন বিডিএফ এর কর্মকর্তারা।

এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে কিছু লোভী এবং দুর্ণীতিবাজদের ঘৃন্য চক্রান্তের শিকার হয়ে আত্মহুতি দিয়েছেন এই উপত্যকার একজন সৎ, পরোপকারী এবং জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। এই অন্যায়ের প্রতিকার চাই। যদি প্রশাসন অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তবে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী কর্মসূচি নেওয়া হবে। তাই প্রভাব খাটিয়ে কেউ দোষীদের আড়াল করতে চাইলে তার ফল সুখপ্রদ হবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জয়দীপ বলেন যে এই ঘটনার সাথে স্টেট ব্যাঙ্কের উপরমহল থেকে অধস্তন কর্মী অনেকেই যুক্ত রয়েছেন বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন এবং  দুর্ণীতিবাজ এই অডিট অফিসার সহ একটি সিন্ডিকেট  অবৈধ রোজগারের স্বার্থে ব্যাঙ্কের অন্দরমহলে সক্রিয় রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। যুক্তি দেখাতে গিয়ে তিনি বলেন কোন সরকারি কর্মচারী ২৪ ঘন্টা পুলিশি হেফাজতে থাকলে তাঁকে নিলম্বিত করা সরকারী নিয়মের মধ্যে পড়ে, কিন্তু গ্রেফতারের এতদিন পরও ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষের তরফে সেরকম কোন নির্দেশ জারি করা হয়নি যা সন্দেহ জনক ব্যাপার। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মৃতের মাকে যেসব ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করেছেন তা ধিক্কারযোগ্য তো বটেই, কিন্তু এসবের পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। মৃতের আগে থেকেই মানসিক সমস্যা ছিল এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া যদি যোগেন্দ্র পান্ডের পক্ষে সওয়ালের জন্য ব্যাঙ্কের নথিভুক্ত আইনজীবীদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে তবে কুলদীপের পক্ষে নয় কেন ? কুলদীপ কি ব্যাঙ্কের দায়িত্বশীল কর্মী ছিলেন না ? জয়দীপ বলেন স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে দুর্ণীতিবাজ এই অডিট অফিসারকে নির্দোষ প্রমান করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন উপরমহলের একাংশ। হয়তো শাস্তির মুখোমুখি হলে অভিযুক্ত এই অডিট অফিসার সিন্ডিকেটের অন্যদের নাম প্রশাসনকে বলে দিতে পারেন সেই আশঙ্কা থেকেই এইসব তোড়জোড়। বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক বলেন যে এই অডিট অফিসার অন্য শাখায় গিয়েও যে একই ভাবে চাপ সৃষ্টি করে যে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতেন তার লিখিত প্রমান ইতিমধ্যেই পেশ করেছেন আরো দুজন ম্যানেজার। তিনি বলেন যেহেতু এটি 'হাই প্রোফাইল কেস' ফলে উপরমহল থেকে প্রভাব খাটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযুক্ত পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায়ই দ্রুত তদন্ত গুটিয়ে আনতে তিনি আবেদন জানান । অন্যথা একবার জামিনে মুক্ত হলে প্রমান লোপাট সহ তদন্তে অনৈতিক হস্তক্ষেপ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এবং ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া  শেষ করে অভিযুক্ত সহ বাকি যারা জড়িত রয়েছেন তাদের শাস্তি চূড়ান্ত করতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের আরেক আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন যে কুলদীপের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহারে ব্যাঙ্কের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী শিবু নাথের নামোল্লেখ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে কেন এখন অব্দি গ্রেফতার করা হচ্ছে না এই ব্যাপারটিও রহস্যজনক। তিনি বলেন এই কর্মী আরো দুজন দালাল সহ এই শাখায় অনেকদিন ধরে অবৈধ সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন এবং তার বিলাসবহুল জীবনযাত্রার নেপথ্যে এসবের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। মূলতঃ গ্রাহককে অবৈধ লোন পাইয়ে দিয়ে ঘুষ আদায় করতেন এরা,যাতে বাধা দিচ্ছিলেন এই প্রয়াত ম্যানেজার। তাই শাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব করে অডিট ম্যানেজারকে দিয়ে কুলদীপের উপর চাপ সৃষ্টি করার চক্রান্ত করেছিলেন এই কর্মী - এই অভিযোগ করা হয়েছে ব্যাঙ্কের অন্দরমহল থেকেই। হৃষীকেশ বলেন এই কর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। তাই অবিলম্বে শিবু নাথকে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া সমগ্র ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন বিডিএফ এর পক্ষ থেকে মূখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের পুলিশ প্রধানকে স্মারকলিপিও পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায়  যুবফ্রন্টের আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.