ইন্দ্রানী গুপ্তের" মানস কৈলাসের পথে গ্রন্থটি উন্মোচিত
ইন্দ্রানী গুপ্তের 'মানস কৈলাসের পথে বই উন্মোচিত
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, কলকাতা - ইন্দ্রাণী গুপ্তর “মানস কৈলাসের পথে” গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠান- ৬ই ডিসেম্বর অক্সফোর্ড বুক স্টোরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বইটি প্রকাশ করেন প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ত্ব দেবশঙ্কর হালদার । সেদিন কলকাতার অনেক বিশিষ্ট নাগরিক মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ গৌতম চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া চট্টোপাধ্যায়, লেখক ও গ্রন্থ সমালোচক সুমেধা চট্টোপাধ্যায়।
লেখিকা ইন্দ্রাণী গুপ্ত মহাদেবের আবাসস্থল কৈলাশ যাত্রায় তার যাত্রা বর্ণনা করেছেন , যেখানে তাকে ১৮,৬০০ ফুট উঁচু "দোলমা লা" বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত গিরিপথ অতিক্রম করতে হয়েছিল।
বইটিতে তেনেপাল হয়ে মানসসরোবর ও কৈলাসপর্বত যাত্রার এক সুস্পষ্ট রূপ ফুটে উঠেছে। পায়ে হেঁটে পৃথিবীর এক উচ্চতম গিরিপথ ১৮৬০০ ফিট উচ্চতার দোলমালা পেরিয়ে কৈলাসপর্বতকে পরিক্রমা করার বর্ণনা, ছবির মত ফুটে উঠেছে বইটিতে। ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক বর্ণনা ছাড়াও বইটিতে আছে তিব্বতের জনজীবনের কথা ,তিব্বতি গুরুদের ও মানস-কৈলাস অঞ্চলের বিভিন্ন বৌদ্ধমঠের কথা, তিব্বতি হরফের ইতিহাসের কথা। হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও বন ধর্ম কেমন এক সুতোয় বাঁধা এই মানস কৈলাস গাথায় তা প্রকাশ পেয়েছে এই বইটিতে।
সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, কর্নালি ও শতদ্রু নদীগুলি কৈলাস -মানস সরোবর অঞ্চল থেকে উৎপুত্ত হয়ে ভারত-পাকিস্তান –বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে। মানবজীবন ও অর্থনীতিতে তার প্রভাব আলোচিত হয়েছে লেখকের কলমে।
মহাদেবের আলয় কৈলাসপর্বতের সমুখে দাঁড়িয়ে এক সাধারণ মানুষের অন্তরের অনুভূতি লেখক ব্যক্ত করেছেন মনছোঁয়া কথায়। রঙ্গীন ছবিতে ভরপুর বইটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা মানস কৈলাস সম্পর্কে এক অন্য রকম সৃষ্টি।
ইন্দ্রানী গুপ্ত- লেখক পেশায় একজন Management Accountant, বহু বছর কাজ করেছেন পিয়ারলেসে। সারাজীবন পাহাড়ে ট্রেক করেছেন একাই। কৈলাস ফেরত এক যাত্রীর কাছে মানস-কৈলাসের কিছু অসাধারণ ছবি দেখে ও গল্প শুনে লেখক অনুপ্রেরণা পান এই যাত্রা পথে চলার। তাঁর দুটি হাঁটুই প্রতিস্থাপিত, কিন্তু তাতে পাহাড়ের বিপজ্জনক পথে চলার ইচ্ছার অন্ত রায় হয়েনি ।
কোন মন্তব্য নেই