Header Ads

চা বাগানে ডাক্তার ছাড়া চলছে হাসপাতাল

শোণিতপুর সহ অনেক চা বাগানে ডাক্তার ছাড়া চলছে হাসপাতাল.....
পিন্টু রয় , শোণিতপুর ৮ ডিসেম্বর: যদিও আদিবাসীরা বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত, যদিও তাদের গায়ের রং শ্যামবোর্ন ইত্যাদি...কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী এই উপজাতিরা যুগ যুগ ধরে সবচেয়ে পরিশ্রমী মানুষ বলে গণ্য করা হয়েছে । এই আদিবাসীরা যুগ যুগ থেকে এখন পর্যন্ত বিশেষ করে চা বাগানের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে এই উপজাতিটি অন্যান্য উন্নত মানুষের সাথে পগে পগ মিলিয়ে হাঁটছে এবং এর মধ্যে অনেকেই ভালো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হয়ে এই উপজাতির নাম বিখ্যাত করেছে। তবে অন্যান্য লোকেরাও চা বাগানে কাজ করছে, যদিও এখনও 80 থেকে 90 শতাংশ মানুষ  আদিবাসী। ভারতের বেশিরভাগ চা বাগান শুধুমাত্র অসমে আছে এবং এই চা বাগানে বিশেষ করে আদিবাসীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম কাজ করে তাদের জীবন যাপন করছে, যদিও তাদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তবুও এই লোকেরা বাগান মালিকের জন্য সম্পূর্ণ সততার সাথে কাজ করছে । প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শোণিতপুরসহ বিভিন্ন জেলার চা বাগানের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাক্তার নেই, ওষুধও নেই। এখানে কম্পাউন্ডার, সিস্টার কিংবা অন্য লোকজন দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তথ্যমতে, বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে নিজ নিজ হাসপাতালে চিকিৎসক রাখার জন্য বাগান মালিকদের কাছে দাবি জানালেও তাদের দাবি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হচ্ছে। চা বাগান মালিক পক্ষের এসব অপকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অসম জাতীয় পরিষদ চা বাগানের শ্রমিকদের পক্ষে জোরালো আওয়াজ তুলছে। এ প্রসঙ্গে তেজপুরের অসম জাতীয় পরিষদের নেতা অজয় ​​তাঁতি বলেন, তেজপুর-ভিত্তিক বিভাগীয় শ্রম কমিশনারের কার্যালয় এই বিষয়গুলিকে মারাত্মকভাবে অবহেলা করছে এবং যদি এই অফিস এভাবেই আচরণ করতে থাকে, তাহলে এর পরিণতি ভবিষ্যতে ভীষণ শোচনীয় হয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.