Header Ads

এপিডিসিএল আবারও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩০ পয়সা বাড়িয়েছে



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : নববর্ষের প্রাক্কালে রাজ্যবাসীর জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এল সরকারের জ্বালানি দফতর। আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির পর এবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নতুন বছরের প্রাক্কালে জনসাধারণের জন্য আরেকটি ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল) ইউনিট প্রতি .30 পয়সা করে সমস্ত বিদ্যুতের শুল্ক বাড়িয়েছে।

আগামী জানুয়ারি থেকে গ্রাহকদের বর্ধিত বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি গ্রাহকদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। এপিডিসিএল এক বিবৃতিতে বলেছে, জ্বালানি ও জ্বালানি ক্রয়ের খরচ মেটাতে ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঋণগ্রস্ত সরকার জনগণের ওপর একের পর এক করের বোঝা চাপিয়ে চলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ।বিদ্যুৎ দফতরের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ রয়েছে। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তুমুল বিতর্ক বিদ্যুতের বিল 40-50 শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (এপিডিসিএল), যা এই ধরনের অভিযোগের পরে কিছুটা নরম হয়েছে, বিদ্যুৎ বিল পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এপিডিসিএল এই ধরনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট .30 পয়সা বৃদ্ধি করেছে।

জ্বালানি ও পাওয়ার পারসিভড প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট (এফপিপিপিএ) প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এপিডিসিএল সূত্র জানায়, অতীতে বিদ্যুৎ ক্রয় এবং বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্প চালানোর বর্ধিত খরচ মেটানোর জন্য এই প্রকল্পের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাস আগে স্মার্ট কানেক্টিভিটির নামে বিদ্যুত খাত একটি বোকামি করেছে। এপিডিসি গ্রাহকদের পানি সরবরাহের জন্য স্মার্ট মিটার স্থাপন করেছে। ত্রুটির কারণে স্মার্ট মিটারের বিল এসেছে অন্তত চার গুণ বেশি। যদিও পরে তদন্ত ঘোষণা করা হয়। জনগণকে অন্ধকারে রেখে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে এপিডিসিএল

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.