Header Ads

বিজেপি কে হটাতে ত্রিপুরায় বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ হতে চলেছে

নয়া ঠাহর  প্রতিনিধি, আগরতলা : 
 বিজেপিকে হঠাতে ত্রিপুরায় ঐক্যবদ্ধ হতে চলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তৃনমুল কংগ্রেস ছাড়া অন্য সব দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় ইঙ্গিত মিলল  বুধবার  আগরতলা প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে। এদিন 
 স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস উদ্ধে তুলে ধরুন -  ত্রিপুরার  স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা ও  স্মরণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিআইএমএল সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপংকর ভট্টাচার্য,  সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক ডা: যুধিষ্ঠির দাস, আরএসপি নেতা গোপাল দাস, গনমঞ্চের সুব্রত ভৌমিকরা একসুরে ত্রিপুরায় এই দমবন্ধকর অবস্হা থেকে ত্রিপুরাকে বের করে আনতে এক সঙ্গে লড়াইয়ে নামার আবেদন জানান। সভায় সিপিআইএমএল সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ভট্টাচার্য বলেন, ত্রিপুরার মানুষ এই দিন চায়নি। ত্রিপুরা বিজেপির পরীক্ষাগারে পরিনত হওয়া একটা দুর্ঘটনা। সুযোগ আসছে সব ধারার মানুষএকত্রিত হয়ে মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার, ব্যাক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার। ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে আছে বাংলা। তাকিয়ে আছে দেশের গনতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আশা আকাঙ্কা পূরন হয়নি। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, গনতান্ত্রিক অধিকারের স্বাদীনতা আজ আক্রান্ত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর  পর দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়৷ সবাইকে সম্মিলিত ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিজেপি পরাস্ত করতে জোট বেঁধে লড়াই আজ থেকে শুরু হল। বিজেপি পরাস্ত না করা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। অসুস্থতার জন্য  সভায় কথা বলতে না পারায় কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের লিখিত বক্তব্য সভায় পেশ করেন প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা৷ একত্রে লড়াই করার সময় এসে গেছে বলে লিখিত বক্তব্যে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের অভিমত, এক ভয়ংকর সময় আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মানুষের জীবনের সমস্যা থেকে দূরে সরে গিয়ে দেশকে ধর্মের নামে  বিভাজন করে ধ্বংস করে দিতে প্রস্তুত।আমরা যাঁরা সচেতন নাগরিক বলে নিজেদের দাবি করি তাদের একটি পক্ষ বেছে নিতে হবে - হয় ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবতাবাদীর পক্ষ নয়তো ধর্ম উন্মাদ মানবতা বিরোধী শক্তির পক্ষ। ক্ষুদ্র স্বার্থের মোহ থেকে বেরিয়ে এসে আমরা যদি স্বাধীনতা সংগ্রামের মত একত্রে লড়াইটা করতে না পারি তবে সাম্প্রদায়িক শক্তি খুব সহজেই লড়াইটা জিতে যাবে। আমরা কি এটা হতে দেব!ভাববার সময় এসে গেছে৷ ভাববার সময় শুধু মনে রাখবেন আমাদের হাতে সময়টা অনেক কম। স্বাধীনতা ৭৫ - র অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শুরুতে বক্তব্য পেশ করেন সিপিআইএমএল রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার। প্রবীন নাগরিক কলামিস্ট বিমান ধরও বক্তব্য পেশ করেন অনুষ্ঠানে। রাজ্যে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সপক্ষে ও ত্রিপুরার দুই শতাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পর্যায়ক্রমে  মরনোত্তর সংবর্ধনা দেওয়ার সপক্ষে প্রস্তাব পেশ করেন প্রগতিশীল লেখক প্রাক্তন ব্যাংক কর্মচারী স্বপন চন্দ্র দাস।এদিন প্রথম পর্যায়ে ১৬ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সংবর্ধনা স্মারক। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন কৃষক নেতা মানিক পাল। স্বাধীনতা ৭৫ উদযাপন কমিটির সম্পাদক স্বপন বনিক ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য পেশ করেন অনুষ্ঠানে। এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের 
 সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সমস্ত জল্পনাকে উসকে দিয়ে জানান, একটা স্বৈরতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে কে বাম আর কে ডান এবং কে আঞ্চলিক কে  বড় তা  বিষয় নয়। বিষয় হল যারা এই শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত গনতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ ভাবে একই অবস্থানে থেকে লড়াই জারি রাখা 
 এটা বিচ্ছিন্ন ভাবে ভাবার কোনও কারন নেই।
কথায় আছে রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। সব রসায়নই ভোটের বাজারে সম্ভব। অপেক্ষাকৃত কম শত্রু আর অপেক্ষাকৃত বেশী শত্রু তত্ব সহ কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম অর্থাৎ সি এম পির উপর ভর করে একটা ঐক্যবদ্ধ চেহারা নিয়ে যে বাম কংগ্রেস রাজ্যের ভোট বাজারে্র হাট যে গুটিয়ে আনছেন তা জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথা থেকে 
 স্পষ্ট। এদিন সুদীপ জিতেন্দ্রকে এক মঞ্চে দেখে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.