Header Ads

শিলচর গান্ধী মেলায় বরাতে অনিয়ম



গান্ধী মেলার বিনোদনের বরাত দিতে অনিয়ম, প্রতিবাদে সরব হল বিডিএফ।

 নয়া ঠাহর ,শিলচর :গত ছ'বছর ধরে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ডি কে এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে  গান্ধীমেলার বিনোদনের বরাত দেওয়া হচ্ছে এবং এবারেও সেই একই ব্যাবসায়ীকে বরাত দেবার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিলচর পৌরসভার একটি কর্মীমহল। এর প্রতিবাদে শিলচর জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠালো বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এই ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে গান্ধীমেলা এই উপত্যাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা এবং দীর্ঘদিন ধরে এর আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে শিলচর পৌরসভা। তাই কোনভাবে এই মেলা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের মহলের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যম হয়ে উঠুক তা কাম্য নয়। তিনি বলেন দেখা যাচ্ছে কোনধরনের 'টেন্ডার' না ডেকে গত  ২০১২ সাল থেকে ডি কে এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সংস্থাকে প্রতি বছর এই মেলার বিনোদনের বরাত দেওয়া হচ্ছে। এও শোনা যাচ্ছে যে বিহারের ব্যাবসায়ী ,এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মুক্তার আলমের সাথে পুরসভার কর্মীমহলের একাংশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে এবং এদের যোগসাজশ ও তদ্বিরের জন্য বছরের পর বছর ধরে এই ব্যাবসায়ী গান্ধীমেলার বরাত পেয়ে  যান। বলা বাহুল্য এর পেছনে অবৈধ লেনদেনও হয়ে থাকে এবং সেজন্যই গান্ধীমেলার সময় এই কর্মীমহলের অতি তৎপরতা দেখা যায়। জয়দীপ বলেন এই ঐতিহ্যবাহী মেলা পরিচালনায় ক্ষেত্রে পৌরসভার তরফে স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরী। এবং তাই এবার এই বরাতের ব্যাপারে ' ই - টেন্ডার' ডাকার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য এমনটা হলে যারা আগ্রহী সবাই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এবং তারপর বৈধ প্রক্রিয়ায় যার 'উদ্ধৃত মূল্য( রেট) সবচেয়ে কম হবে তাকেই বরাত দেওয়া হোক। তিনি বলেন অন্যথা এনিয়ে আগামীতে প্রতিবাদী কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

বিডিএফ এর মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন যে শেষবার গান্ধীমেলার আয়োজন হয়েছিল ২০২০ সালে। তখন কোভিড সংক্রমণ হটাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় মাঝপথে মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সেসময় ডি কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এই মুক্তার আলম তার সমস্ত কর্মীদের শিলচর ফেলে পালিয়ে গেছিলেন। শহরের কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তখন এদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে এঁদের ভয়াবহ অবস্থা হত। এমনকি শিলচরের তৎকালীন বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল স্বপ্রনোদিত হয়ে এই কর্মীদের খাদ্য, পানীয় এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন ও তাঁদের বাসস্থানে পাঠাবার উদ্যোগ নেন। শিলচরের বিধায়ক তখন প্রকাশ্যে বলেছিলেন এই ধরনের দায়িত্বহীনতার পর মুক্তার আলমকে আর কখনো গান্ধীমেলার বিনোদনের বরাত দেবার প্রশ্নই উঠেনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এবারেও আবার তাকেই বরাত দেবার তোরজোড় চলছে। তাই তিনি পৌর কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.