Header Ads

রাজনৈতিক ভাবে চক্রান্ত করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে

নয়া ঠাহর  প্রতিনিধি, কলকাতা,২৮ নভেম্বর : রাজনৈতিক ভাবে পরিকল্পনা করেই বতমান সময়ে আমাদের উপর সরকারী খরচে  হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে 
শাসকগোষ্ঠী।আমরা তা মেনে নিচ্ছি। এই প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়ে সঠিক বাংলা বলতে পারে না। নিজস্ব কৃষ্টির উপর দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ভারত গড়ে তুলেছে। যেই ভাষার জন্য একটা রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে, সেই ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানালেন প্রখ্যত আইনজীবী,  সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। রবিবার কলকাতার  কৃষ্ণপদ ঘোষ স্মারক ভবনে আয়োজিত দ্বিতীয় বাংলাভাষী জাতীয় ঐক্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চ আয়োজিত সম্মেলনে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আরও বলেন,চর্যাপদের  আমলের বাংলাভাষায় কথা বলতে হবে এমন নয়,তবে বাংলা ভাষাকে ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগাতে হবে৷ নিজের স্বাক্ষর  সরকারি- বেসরকারি  চিঠিপত্র, ব্যাংকের কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার কথা বলেন  এই দুঁদে আইনজীবী। এই পরিবর্তনটা শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠে নেমে করারও পরামর্শ দেন তিনি। 
। বাংলা ভাষার গভীরতার কথা টেনে বাংলা স্হানীয় ভাষা এই হীনমন্যতায় না ভুগতেও দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বাংলাভাষা প্রেমীদের কাছে আবেদন জানান তিনি। একইসঙ্গে  দেশের সব বাঙালি সাংসদরা  সংসদে বাংলায় কথা বলুন, এই দাবি নিয়ে  বাঙালী সাংসদের কাছে য়াওয়ার জন্য বাংলা ভাষা যোদ্ধাদের কাছে আবেদন জানান তিনি।
নীতিশ বিশ্বাসের লেখা - ভারতে বাঙালি উদ্বাস্তু - ক্ষেত্র গবেষণা মূলক গ্রন্থটিরও  মোড়ক উন্মোচন করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য । মানভূম ভাষা          জক                                                                                            আন্দোলনের প্রসঙ্গে কথা বলেন  প্রবীণ ভাষা  সৈনিক  কাজল সেন।মানভূম ভাষা আন্দোলন নিয়ে গাঁথা গানে সকলকে উষ্ণতায় ভরিয়ে তুলেন  টুসু  গানের শিল্পী উমা সরকার। বাংলাভাষী হিসাবে                                                                                         তাদের জীবনের বেদনা ও বিপর্যয়ের নানা তথ্য ও বাস্তবতা তুলে ধরেন  আসামের  শিলচরের নাগরিক অধিকার মঞ্চের  নেতা  সাধন পুরাকায়স্থ, ডিব্রুগড়ের চন্দন মজুমদার,হোজাইের  বিজয় চক্রবর্তী, মেঘালয়ের ড. ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, উত্তরাখন্ডের ড: সুনীল হালদার, শংকর চক্রবর্তী ও পন্থনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড.পি জি বিশ্বাস,  বিহারের ডক্টর অলোক রায় ও সুমিত বসু, ওড়িশার বঙ্কিমচন্দ্র মণ্ডল  ঝাড়খন্ডের  বিদ্রোহ মিত্র ওউমাপদ বটব্যাল ও  ত্রিপুরার প্রবীণ  লেখক নকুল দাস প্রমুখ। প্রতিনিধিদের   স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এউ সি আর সি'র  সভাপতি জীবন রঞ্জন ভট্টাচার্য ।  রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন  গড়ে তোলা ও  অন্যান্য বাংলা ভাষী  সংগঠনগুলির  সঙ্গে সমন্বয়  করে আন্দোলনের গড়ে তুলতে সম্মেলনে  নীতীশ বিশ্বাসেরম উত্থাপিত প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের বক্তব্যে উঠে আসা বিভিন্ন  সমস্যাগুলি সমাধানে বাংলা ভাষীদের 
দিল্লি অভিযানে- র প্রস্তাব দেন ভ্রাম্যমাণ 
গবেষক  ডক্টর সুনীল হালদার। প্রস্তাব অনুসারে  ভাষা মঞ্চের নেতৃত্ব দিল্লি অভিযানের উদ্দেশ্যে রাজ্যে রাজ্যে দ্রুত সংগঠন  গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত হয় সম্মেলনে। অধ্যাপিকা পূষ্প বৈরাগ্যের কন্ঠে মতুয়া সংগীতে শুরু হয় সম্মেলন। সম্মেলন  ক করেন অধ্যাপক জ্যোতির্ভূষণ দত্ত, জাতীয় শিক্ষক সূর্যাংশু ভট্টাচার্য, ড.সুজিতকুমার  বড়ুয়া।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.