উত্তর পূর্ব থেকে গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শক্ত পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
অমল গুপ্ত ,কলকাতা: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বিশেষ গুরুত্ত দিচ্ছেন।ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতার নিজের রাজ্য গুজরাটের ভোটে প্রচারক হিসাবে স্থান করে দিয়েছেন। সেই শক্ত জমিতে দাঁড়িয়ে হিমন্ত ভরা মাঠের নির্বাচন সভাগুলিতে হিন্দুত্ববাদী লাইনে কথা বলছেন যে কথা বলতে অমিত শাহদের অসুবিধা আছে। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল জাতপাতের কথা বলেন না ,সৌজন্য তা মান সম্মান রক্ষা করে সরল সহজ ভাবে মনের কথা বিনয়ের সঙ্গে ব্যক্ত করেন। তাই তিনি বর্তমান নীতিহীন রাজনীতিতে অচল। মূল্যবোধের রাজনীতিতে সৎ প্রকৃতির সর্বানন্দ বেমানান। নির্বাচন সভাগুলিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উচিত হিন্দু মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভার সাম্য রক্ষা করা। দুই জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সুসম্পর্ক বজায় রেখে কথা বলা উচিত।কারণ ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র সব নাগরিকের সমান অধিকার। অসমের প্রায় ৩৩শতাংশ মুসলিম হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নানা কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভারতের নাগরিক নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ব্যবহারের পুরো অধিকার আছে। অসমের একাংশ মুসলিম মানুষ নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা করে মিউজিয়াম গড়তে গেলে সরকারি বাধার সম্মুখীন হতে হল। অসমে ভারত বিরোধী একাংশ মুসলিমের জেহাদি কার্যকলাপ বন্ধ হোক তা সবাই চাই। মুসলিমদের একাংশের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি।তাদের বিরুদ্ধে বুলডোজার চালানো হোক।তবে সবার বিরুদ্ধে চলা উচিত নয়। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সব নাগরিকের সমান অধিকার। গতকাল গুজরাটে এক নিবাচনী সভায় দেশে লাভ জেহাদ রুখতে কড়া আইন প্রণয়নের দাবি তুলে বলেছেন দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর হিন্দু বলেই আফ তাব আমিন তাকে খুন করেছে। আফতাব আমিন একজন খুনি তার আর কোনো পরিচয় থাকতে লাগে না। অপরাধীরা হিন্দু মুসলিম নয় চরম অপরাধী তাদের চরম শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত। হিন্দু মুসলিমের বিভাজনের রাজনীতিতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে , সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। নির্বাচনে হারা জেতাতে দেশের ক্ষতি নেই। তবে কোনো দলের ক্ষতি বৃদ্ধি হতে পারে ।দেশের ক্ষতি নেই।
কোন মন্তব্য নেই