Header Ads

পশ্চিমবঙ্গকে কি কাশ্মীরের মত সাংবিধানিক ব্যবস্থা কায়েম করে গড়া হবে?

অমল গুপ্ত:কলকাতা:পশ্চিমবঙ্গ এ  কি কাশ্মীরের মত সাংবিধানিক   ব্যবস্থা কায়েম করা হবে ?  এই রাজ্যের অংশ উত্তরবঙ্গ  অসমের ও বিহারের দু তিনটি জেলাকে অর্ন্তভুক্ত করে কেন্দ্রীয়   শাসিত অঞ্চল ও  পশ্চিম বঙ্গের  অন্য অংশের ক্ষমতা ছাঁটাই করে দুর্বল করে দেওয়ার ছক নিয়ে কেন্দ্র চিন্তা ভাবনা করছে ।বিভিন্ন সূত্রে এই খবর পাওয়া যাচ্ছে। মমতা সরকার আর্থিক দুরবস্থায়   ভুগছে। কেন্দ্রের কাছে ১০হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে।কেন্দ্র মঞ্জুর করবে কিনা সন্দেহ আছে।জিএস টির একটা অংশ টাকা দিলেও  বাকি আর্জি মঞ্জুর করবে বলে মনে হয় না। দুয়ারে  রেশনের মত জনপ্ৰিয় কর্মসূচি  চালাতে পারবে  কিনা  সন্দেহ আছে ।তৃণমূল দলের  মধ্যেই আলোচনা হচ্ছে। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নয় ৩৫৫ধারার মত সাংবিধানিক ব্যবস্থা  জারি করে সরকারকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হতে পারে। লাদাখ কে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে কাশ্মীরের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে।  উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র   শাসিত অঞ্চল গড়ার কথা এখন বিজেপি নেতারা  বলছেন। বিজেপি  বিরোধী দলপতি শুভেন্দু অধিকারী তো প্রতিদিন বলছেন ডিসেম্বরে সরকার শেষ তবে সরকার পড়বে না। গতকাল  বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন  চক্রবর্তীও একই কথা বললেন। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পরেও একই কথা বলেছেন। বিজেপি বলছে  রাজ্যের কর্মচারীদের  সমহারে ডি  এ দিতে পারলো না তৃণমূল সরকার । অধিকাংশ কেন্দ্রিয় প্রকল্প মুখ থুবড়ে পরেছে ।  প্রকল্প বহির্ভুত  খরচ বহু গুন বেড়ে গেছে।  প্রশ্ন বিহারের  বাংলা সীমান্তবর্তী পূর্ণিয়া জেলা সহ  ৩,৪ টি জেলাকে  কেন্দ্রীয় অঞ্চলের মধ্যে  অন্তভুক্তের  কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে  মুসলিম জনগোষ্ঠীর  একাধিপত্য হ্রাস করা ,অপরদিকে  কোচবিহার কে কেন্দ্রীয় অঞ্চলে র সদর করার লক্ষ কোচ রাজবংশীর   বহু দিনের দাবিকে মান্য তা দেওয়া। অসমের ৩,৪টি জেলার কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠী খুশি হবে। জঙ্গি আন্দোলন থেকে সরে যাবে। ওপর দিকে শিলিগুড়ি কে বাদ দিয়ে কোচবিহার কে  গুরুত্ত দেওয়ার মূলে নেপালি জনগোষ্ঠীর  মধ্যে  বিভাজন  এই ধরণের  রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ  চলছে।অপর দিকে অসমের বরাক উপত্যকা র তিন জেলার  অধিকাংশ মানুষ  দিসপুরের উপর নানা কারণে  খুশি নয়। বরাকে  রাজনীতিবিদ পরিতোষ পাল চৌধুরী  সাতের দশকে বরাক কে কেন্দ্রীয়  শাসিত অঞ্চল গড়ার আন্দোলন শুরু করে ছিলেন।  বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের নেতা প্রদীপ দত্ত রায়  বিভিন্ন কারণে  দিসপুরের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছেন।সব দল  সংগঠন একজোট হয়ে অভূতপূর্ব  বন্ধ  ডেকেছিল। উত্তরবঙ্গ  কে যদি কেন্দ্রীয়  শাসিত  অঞ্চল গড়া হয় তবে কি বরাক উপত্যকার মানুষ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.