Header Ads

ঐতিহ্যমণ্ডিত কাছার কলেজের অরাজকতা বন্ধ হোক


 নয়া ঠাহর,শিলচর:
অবিলম্বে ঐতিহ্যবাহী কাছাড় কলেজের অরাজকতা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হোক - মন্তব্য আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়ের।

সাম্প্রতিক একটি বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন কাছাড় কলেজের ছাত্র শিক্ষকরা এবং এতে কলেজের শৈক্ষিক পরিবেশ তলানিতে ঠেকেছে। এ নিয়ে এবার সরব হলেন আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়।

এক প্রেস বার্তায় প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে বিগত কিছুদিন ধরে একের পর এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ। এতে সবাই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই কলেজের সাথে তার ব্যাক্তিগত যোগাযোগের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন যে ১৯৮৩ সনে আকসার জন্মলগ্ন থেকে পরপর তিন বছর আকসার বেসরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহৃত হত কাছাড় কলেজের 'মনিদার ক্যান্টিন' এবং এই কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেয় যা এরপর ছড়িয়ে পড়ে সারা উপত্যাকায়। ১৯৮৩ সনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে কাছাড় কলেজে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল যাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন জিসি কলেজের তদানীন্তন অধ্যক্ষ তাপস শঙ্কর দত্ত,অধ্যাপক জ্যোতিলাল চৌধুরী, হাইলাকান্দির অধ্যাপক অরবিন্দ চৌধুরী,ডাঃ তপোধীর ভট্টাচার্য প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ যাদের সারগর্ভ বক্তব্য আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের তাত্ত্বিক ভিত্তি দিয়েছিল এবং এরপরই এই আন্দোলনে সবাই একজোট হয়েছিলেন। তিনি বলেন যে এসব এখন ইতিহাস এবং হয়তো আজকের প্রজন্মের অধিকাংশই এসব জানেন না। তিনি আরো বলেন যে সংসদে  আসাম বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশ‌ হবার পরও আসাম সরকার এরজন্য জমি দিচ্ছিলনা যা নিয়ে আন্দোলন চলছিল । তখন তদানীন্তন আসাম সরকারের শিক্ষা কমিশনার অশোক সইকিয়া আলোচনার জন্য তাঁদের গৌহাটিতে আমন্ত্রণ জানান। তখন কাছাড় কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ ছিলনা এবং এটি দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। প্রদীপ বাবু বলেন সেই সভায় তিনি প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে এই প্রসঙ্গ অবতারণা করার পরই সেই কমিশনার তাঁকে এই ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন এবং অনতিবিলম্বে এই ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞান বিভাগের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অশোক সইকিয়া এই ব্যাপারটি উল্লেখও করেন,যদিও এই কলেজের তখনকার উপাধ্যক্ষ ডাঃ সৌরিন্দ্র ভট্টাচার্য ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের কোন অধ্যাপক এই ব্যাপারে তাঁর সাথে দেখা করেননি। প্রদীপ বাবু বলেন যে এসব কথার উদ্দেশ্য তাঁর ব্যাক্তিগত প্রচার নয়, এই কলেজের সাথে তার আত্মিক সম্পর্কের প্রমান এবং সেজন্যই বর্তমান সমস্যা তাঁকেও ভাবাচ্ছে।

 আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন যে ছাত্র বা শিক্ষক রাজনীতি করতেই পারেন তবে তাঁতে যদি শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয় তবে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন শিক্ষকরা ধর্ণা দিচ্ছেন, ছাত্র শিক্ষক দের ঠেলাধাক্কা করছে, জেলাশাসক সম্মানিত অধ্যাপককে কানে ধরে ওঠবোস করাচ্ছেন,অথচ তার সতীর্থরা নীরব ভূমিকা নিচ্ছেন এসব ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন যে কলেজের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাসকদলের সদস্য এবং অদক্ষ এক ব্যাক্তিত্ব । তাঁর অপদার্থতার জন্যই এসব সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। তাই অবিলম্বে তাঁকে এই পদ থেকে সরাবার দাবি জানান তিনি। এছাড়া আন্দোলন রত শিক্ষকদের তিনি আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে সমস্যার সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন ছাত্ররা শিক্ষকদের সন্তানসম। তাই কেউ বিপথে পরিচালিত হলে তাঁকে সংশোধন করার দায়িত্ব নিতে হবে তাঁদেরই। তবে অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান জরুরী কারণ এতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে এবং অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনে এই ব্যাপারে তিনিও যথাসাধ্য ভুমিকা নিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে এদিন মন্তব্য করেন প্রদীপ দত্তরায়।

আকসার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আলিমুদ্দিন বরভুইয়া এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.