মানিক সরকারের চাপে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক দের সঙ্গে কথা বললেন
নয়া ঠাহর প্রতিনিধি, আগরতলা:
ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের চাপে চাকুরীচ্যুত ২০৩২৩ শিক্ষকদের সঙ্গে শেষমেশ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মাণিক সাহা৷ ২০১০ সাল ও তারপরে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্তি পেয়েছিলেন তারা৷ পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার নিয়োগ নীতিতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখায় ত্রিপুরা উচ্চ আদালত ২০১৭ সালে এই নিয়োগ নীতি বাতিল করে দেওয়ার বাতিল হয়ে যায় ১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকুরী। উচ্চ আদালতের এই অমানবিক রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় তৎকালীন বাম সরকার। ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের আগে বামেদের বিপদে ফেলতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের রায় শীর্ষ আদালতও বহাল রাখে বলে অভিযোগ উঠে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সংবিধান সংশোধন করে হলেও চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকুরী বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আদালতের রায়ে চাকুরীচ্যুত হন শিক্ষকরা৷ বিজেপি চাকুরির প্রতিশ্রুতি রক্ষার বদলে চাকুরির দাবিতে পথে নামা শিক্ষকদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে আনে বারেবারে৷ সোমবার ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে চাকুরির দাবিতে বিধানসভা অভিযানে যাওয়ার পথে আগরতলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পুলিশ আন্দোলনকারীদের পথ আগলে লাঠি, জলকামান, টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে আন্দোলনকারী প্রাক্তন শিক্ষকদের উপর৷ ৩০ জনের বেশি শিক্ষক - শিক্ষিকা আহত হন পুলিশের মারে৷ সেদিন বিধানসভায় গনতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর পুলিশী আক্রমণের নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। অবিলম্বে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানালে মানিকের চাপে ১০৩২৩ শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে রাজী হন মুখ্যমন্ত্রী ডা : মানিক সাহা। সেইমত বুধবার মহাকরনে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আইন সচিব ও এডভোকেট জেনারেলকে সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন চাকুরীচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। চাকুরীচ্যুতরা জানান,শীর্ষ আদালত থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে তারা জানতে পারেন এই মামলায় ৪৬০ জন ছাড়া বাকীরা পক্ষভুক্ত নয়৷ তাদের চাকুরী বাতিল করেনি আদালত। এই বিষয়টি নিয়ে পূজোর ছুটির পর আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও প্রতিনিধিদের জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত তাদের চাকুরী দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ বিরোধী দলনেতার চাপে ১০৩২৩ শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেও সরকার এই সমস্য নিরসনে কতটা আন্তরিক তা কদিন পরেই ফুটে উঠবে বলে অভিমত রাজ্যের একাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের।








কোন মন্তব্য নেই