Header Ads

উত্তর প্রজন্মের অক্ষয় প্রেরণা সুকুমারী ভট্টাচার্য


                   পার্বতী শঙ্কর রায়চৌধুরী 
সুকুমারী ভট্টাচার্য এমন-ই একজন বিদগ্ধ লেখিকা যাঁর জিজ্ঞাসার বিস্তৃতি মননশীলতার অনেকখানি জমি নিয়ে। তাঁর তোলা অনেক প্রশ্নই ইতিহাসের বিষয়গত সীমানা ছাড়িয়ে পাঠককে রূঢ় বাস্তবতার দোরগোড়ায় দাঁড় করিয়ে দেয়। দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এ কথা বলা যায় যে তাঁর বাংলা এবং ইংরেজি লেখা যুগপৎ পাঠ করলে মননশীল পাঠকঅঘ্রানে আস্বাদে প্রভূত পরিমানে উপলব্ধি করে কোথায় তার উৎস, কোন্ বহতা ট্রাভিশনের স্রোতে তাদের যাত্রা, কোন চিন্তার সমুদ্রের মোহনায় গিয়ে তারা পড়ে -
মাইকেল মধুসূদনের যোগ্য উত্তরসূরী ড. সুকুমারী ভট্টাচার্য। জন্ম ১৯২১ সালে, মেদিনীপুরে। পিতা সরসীকুমার দত্ত, মাতা শান্তবালা দত্ত। প্রাথমিক শিক্ষা মেদিনীপুরে হলেও কর্মজীবনের শুরুর দশ বছর কেটেছে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে,ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে। ১৯৫৭ সাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপিকা, পরে সংস্কৃত সাহিত্যের। ইতিমধ্যে বহু প্রতিষ্ঠিত পত্র-পত্রিকায় শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলী:- দি ইন্ডিয়ান থিয়গনি(১৯৭০),সংস্কৃত মৃচ্ছকটিক নাটকের বঙ্গানুবাদ, সাহিত্য একাডেমি ১৯৭৩ তৃতীয় মুদ্রণ(দ্বিতীয় সংস্করণ),লিটরেচর ইন্ দ বেদিক এজ ২ খন্ডে, কে,পি,বাগচী এন্ড কোং,(১৯৮৪,৮৬)। প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য (আনন্দ পাবলিশার্স,১৯৮৮)।বুটিস্ট হাইব্রিড স্যাংস্ক্রিট লিটরেচর (এশিয়াটিক সোসাইটি,১৯৯২ ) ক্ল্যাসিকল স্যাংস্ক্রিট লিটরেচর (ওরিয়েন্ট লংম্যান,১৯৯৩)। প্রাচীন ভারত সমাজ আউর নারী (হিন্দী ক্যাম্প,১৯৯২), উইমেন এন্ড সোসাইটি ইন এনশ্যেন্ট ইন্ডিয়া (বসুমতী কর্পোরেশন লিমিটেড,১৯৯৪),নিমিতিবাদ উদ্ভব ও বিকাশ (১৯৯৪)ক্যাম্প।ফেটালিজম্ ইন এনশ্যেন্ট ইন্ডিয়া(বাউলমন,১৯৯৫) লিজেন্ডস অব দেবী(ওরিয়েন্ট লংম্যান,১৯৯৫);বিবাহ প্রসঙ্গে (১৯৯৬) এ ছাড়াও অসংখ্য বাংলা প্রবন্ধ পাঠকবর্গকে ঋদ্ধ ও নান্দনিক চেতনায় সমৃদ্ধ করেছে যেমন প্রাচীন ভারত সমাজে, ও সাহিত্য, বেদে সংশয় ও নাস্তিক্য, মন্থন, নিয়তিবাদ, উদ্ভব ও বিকাশ। 
তদানীন্তন সমাজের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্খলন তাঁকে ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী করে তুলেছে। সামাজিক ভন্ডামী দেখতে দেখতে জারিত হয়েছে তার অন্তর্লীন চেতনা রুদ্ধ দ্বার, আর তখনই হয়েছে অগ্ন্যুদগার। তাই হিন্দু সমাজের অযৌক্তিক আচার-ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন।প্রবল প্রতিকূলতা ও বিতর্ক অগ্রাহ্য করে সুকুমারী ভট্টাচার্য ঋজু প্রত্যয়ের সাথে সমস্ত বাধা অতিক্রম করেন।গোঁড়া হিন্দু সমাজ তার ক্ষুরধার লেখনীকে ভালো চোখে না দেখলেও দেশ-বিদেশের পন্ডিতবর্গ তাঁর কর্মকাণ্ডকে তারিফ না করে পারেননি।তিনি সমাজকে সচেতন করার লক্ষ্যে অবিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে গেছেন।
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলোর দিশা দেখাতে সমাজে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন সুকুমারী ভট্টাচার্য তাঁদের মধ্যে অন্যতমা। তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধে তাঁর যুক্তিনিষ্ঠ এবং ক্ষুরধার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভারতীয় নারীর সামাজিক অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে তিনি যেন নির্বানহীন আলোকদীপ্তি।খ্রীস্টান ছিলেন বলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সংস্কৃত বিভাগে অনার্স পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিল কিন্তু সংস্কৃতে তাঁর অনন্ত প্রজ্ঞা, তাই ইচ্ছাশক্তির প্রবল তারণায় তিনি প্রাইভেটে সংস্কৃত সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর অগাধ বিচরণ ছিল বলে তিনি ভারতীয় শাস্ত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধিগত হয়ে নারী সমাজকে আধুনিকতার প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেছেন। এদেশের অনেক সনাতনপন্হী এখনও নারীসত্তাকে গুরুত্ব দিতে বড়ই কৃপণ। বিরল জ্ঞানপীঠের অনায়াস অধিবাসী সুকুমারী দেবী পাণ্ডিত্যের সম্ভ্রম আর দূরত্ব ঘুচিয়ে জটিল তত্ত্ব আর তথ্য নিয়ে অনুসন্ধিৎসা রচনা করেন। আর এভাবেই সুকুমারী ভট্টাচার্য 'সমাজ ও সাহিত্য', 'প্রাচীন ভারতের নারী ও সমাজ', 'বিবাহ প্রসঙ্গে' ইত্যাদি গ্রন্থে নারী সমাজের অবস্থানকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। তিনি জানান যে ভারতীয় প্রাচীন ঋকবেদে এ উল্লেখিত আছে যে নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদা দান করা হতো। আরও জানা যায় যে ভারতীয় মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মেয়েরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতো। কিন্তু সময় ও কালের প্রবাহমানতায় নারীর স্বাধীনতা হ্রাস হতে থাকে। যাযাবর পশুপালক মানুষ যেদিন থেকে ঘর বাঁধতে শুরু করল সেদিন থেকেই ঘর বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে নারীকে ও বাঁধতে শুরু করল। এক কথায় নারী প্রায় গৃহবন্দী হ'ল ।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী ক্রমশ বৃহত্তর সমাজ থেকে বিচ্যুত হল, নির্বাচিত হল। সুকুমারী ভট্টাচার্য জানান ঘরে বাইরে যখন কোন বিপত্তি দেখা দিয়েছে তার দাম দিতে হয়েছে শুভ্র নারীকে।
সমাজের দীর্ঘদিনের চর্চিত ভ্রান্ত ধারণাগুলিকে তাঁর ক্ষুরধার কলমচারিতায় নস্যাৎ করে সুদূর অতীতের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে প্রবহমান সমাজ জীবনের অঙ্গীভূত করে নিত্যদিনের যাপনে তাকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন। অগ্নিশুদ্ধ অন্বেষনের তাড়নায় এবং ভালোবাসায় তিনি সংস্কৃত সাহিত্য ও ধর্মীয় শাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতীয় ঐতিহ্যকে যুক্তিবাদী দার্শনিক তত্ত্বের নিরিখে বিশ্লেষণ করার দূরহ কাজে ব্রতী হয়েছেন। প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতির খোলসে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, নারীনিগ্রহ প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর প্রতিবাদী কন্ঠের উচ্চারণ বারবার অনুরণিত হয়েছে। একজন সারস্বত ব্যক্তিত্ব আচার্যা সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখনী থেকে জানা যায় যে বিবাহের সময় একজন বধুর কাছে যে বিষয়গুলো কাঙ্ক্ষিত ছিল তা হল বিত্ত, রূপ, শিক্ষা, বুদ্ধি এবং সদবংশ। প্রাচীনকালে নারীদের যজ্ঞোপবীত ধারণ করার অধিকার ছিল কিন্তু কালক্রমে আর্য-অনার্য সংমিশ্রণে নারী তার উপনয়ন ও শিক্ষার অধিকার হারায়। সুকুমারী ভট্টাচার্য বলেন 'আর্য বসবাসের প্রথম কয়েকটি দশকে নারী তার উপনয়ন ও স্বাধ্যায়ের অধিকার হারায় নি, কিন্তু আর্যরা যখন অনার্য পত্নী গ্রহণ করতে শুরু করল, তখন সমাজ নারীর উপনয়ন ও স্বাধ্যায়ের অধিকার কেড়ে নিল'।
উত্তর প্রজন্মের কাছে অক্ষয় প্রেরণা সুকুমারী ভট্টাচার্য পাঠকের অবগতির জন্য বলেন 'হিন্দুসমাজ কোনদিনই নারীর সতন্ত্র স্বাধীন পরিচয়কে মেনে নেয়নি, বরং বারবার ঘোষণা করেছে যে নারী স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য নয়। তার উচিত স্বামীর পদাঙ্ক ছায়ার মতো অনুসরণ করা। যে সব অধিকারে মানুষকে স্বাধীনতা দিতে পারে -শিক্ষা, সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার, স্বাধীন বৃত্তি, সম্পত্তির অধিকার, নিজের দেহের উপর অধিকার, সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত, বজায় রাখার অধিকার,সমাজ শাসনের অথবা রাষ্ট্রশাসনের অংশ নেওয়া আবার নিজের মত প্রকাশের অধিকার, নারী কখনই এগুলি ভোগ করেনি। অবশ্যই কোথাও কোথাও কোনখানে এর ব্যাতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু এগুলি শুধুই ব্যতিক্রম। নিয়মকেই কেবল প্রতিষ্ঠা করেছে। সমাজ কোন কুমারী বা বিধবার সামাজিক সত্তাকে গুরুত্ব দেয়নি, এখানে তার একটিই পরিচয়,সে কারো পত্নী।
প্রসঙ্গত আমাদের চিরাচরিত ঐকদাম্পত্য ধারণা হল এক স্বামী, এক স্ত্রী। বহুপতিকতা প্রাচীনকালে যেমন ছিল আজও সমাজে তার ব্যতিক্রম চোখে পড়ে না। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বহুপত্নীকতা আজও গোপনে বিদ্যমান। প্রাচীনকালে পশুসংখ্যা ও পত্নীসংখ্যা যার বেশি থাকতো সেই ছিল সমাজের গণ্যমান্য ও বিত্তবান ব্যক্তি। শাস্ত্রেও এমন উল্লেখ আছে (সমৃদ্ধং যস্য কনীয়াংসো ভার্যা আসন ভূয়াংসঃ পশবঃ)- শতপথ ব্রাহ্মণ, মুসলমান সমাজে দেখা যায় যে একজন মুসলিম চারটি বিয়ে করতে পারে, এ ব্যাপারে তাকে অনেক কটুক্তিও হজম করতে হয় কিন্তু অভিজ্ঞতা অনুসারেকুলীন ব্রাহ্মণদের দু-একটা স্ত্রীও যথেষ্ট ছিল না। বাঁধানো খাতা তল্পিবাহকের হাতে দিয়ে ঠিকানা খুঁজে খুঁজে ভিন্ন ভিন্ন স্ত্রীর বাড়িতে এক রাত্রির অতিথি হয়ে শশুরবাড়ীর আতিথ্য, স্ত্রী সম্ভোগ এবং যথাসম্ভব দাক্ষিণ্য আদায় করে পরবর্তী স্ত্রীর ঠিকানা খুঁজে সেখানে হাজির হওয়া- এই ছিল কুলীন ব্রাহ্মণের জীবিকা।
ফেলে আসা ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে আদিম কালে একটি প্রজন্মের অধিকার-ই ছিল সব নারী- পুরুষ যৌন সম্পর্কে সংপৃক্ত হবার।পরে কালের অনুবর্তনের সাথে সাথে দেখা দিল এক স্বামী ও স্ত্রীর সংসার। কালক্রমে সমাজে কুল ভেঙে ঐক্য দাম্পত্য দেখা দিল। তখন নারীকে ক্রীতদাসীর ভূমিকায় দেখা গেল। এ প্রসঙ্গে মিল বলেন,'ক্রীতদাস-ই ততদূর পর্যন্ত এবং সম্পূর্ণভাবে ঠিক সেইভাবে ক্রীতদাস নয় যেমনটা স্ত্রী'।(no slave is a slave to the same length and in so full a sense of the word, as a wife is the subjection of women, P 148)আবার এঙ্গেলস বলেছেন (the wife becomes the first domestic servant pushed out of participation in social production.......the modern individual family is based on the open or disguised enslavement of the woman. Origin of family, private property and the state P211)
সুকুমারী ভট্টাচার্য তাঁর মননজীবিতায় উপলব্ধি করেছেন সমাজে নারীর অবস্থান। তিনি দেখিয়েছেন সমাজে জন্ম থেকেই নারীকে নীচু করে দেখার প্রবণতা তৈরী হয়েছিল। আবার বিবাহের সময়ও সেই একই নীচতা লক্ষ্য করা যায়, বিবাহের মন্ত্রে স্বামী যেমন বলেন,' তোমার হৃদয় আমার ব্রতে নিহিত হোক, তোমার চিত্ত আমার চিত্তকে অনুসরণ করুক।' কী নিদারুনরূপে সত্য যে বিয়ের পর নারীর বংশপরিচয়কে নিষ্ঠুরভাবে উপড়ে ফেলা হয়। এখানে স্বামীর পরিচয়েই তার পরিচিতি। স্বামীর উপাধি-ই তার উপাধি কারণ নারীর অগ্রগতির ব্যাপারে যতই আন্দোলন হোক না কেন সমাজটা আগাগোড়া পুরুষতান্ত্রিক।
প্রসঙ্গত আচার্যা সুকুমারী দেবী মুগ্ধতায় নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন তাঁকে এ কালের গার্গী বলে উল্লেখ করেছেন। প্রবন্ধকার দীপক ভট্টাচার্য তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন,'she can be bracketed with the dramatist Utpal Dutta but was much more scholarly informative and positivity constructive.'তিনি আরো বলেন,'many would think that in her thought Sukumaridi was absolutely westernized. The truth is that she was independent in her thought. She was not a recialist like Oldenburg, but had made oldenburg's concretism her own- no symbolism, no suggestion, but only explicit direct proposition- these are the contents of classical literature. Her independence of thought and non-comformist character placed Sukumaridi in opposition to a number of western Indologists including professor Gonda. Perhaps Burrow had remained fond of her.'গবেষক নৃসিংহ ভাদুড়ী সুকুমারী ভট্টাচার্য সম্বন্ধে বলেন,' সুকুমারীদি মানেই আলোর সঙ্গে ওঠাবসা।' অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারিনী সুকুমারী ভট্টাচার্যের ধর্ম ও ভগবানে বিশ্বাস ছিল না- এ কথা সত্য কিন্তু তিনি কোন ধর্মে আঘাত করেননি। জীবনের অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত তিনি গবেষনায় থেকেছেন। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানা পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে সুরেশ চন্দ্র মজুমদার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে বিদ্যাসাগর স্মৃতি ও রাহুল সংকৃত্যায়ন পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে মুজফফর আহমেদ পুরস্কার।এমনি ভাবেই অসংখ্য পালক সংযোজিত হয়েছে তাঁর মুকুটে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন,' সুকুমারী ভট্টাচার্য প্রাচীন ভারতের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ও জীবন যন্ত্রণা এবং আর্থ-সামাজিক পরিমণ্ডলের যুক্তিনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর ইতিহাসের গবেষণায় নিরলসভাবে ব্রতী ছিলেন। বিশেষ করে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ ভাব ধারায় ভাবিত হয়ে ভারততত্ত্ব ও প্রাচীন ভারতের ইতিহাস গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন।'
আসলে চোখের সামনে বর্তমান সমাজে নারীশোষন আর মূল্যবোধের অবনমন বা অবক্ষয় দেখে তিনি অনুভব করেছিলেন যে নারী সম্পর্কিত ঘৃন্য ধারণা না পাল্টালে সমাজ আরও পিছিয়ে পড়বে,শিক্ষা দীক্ষায় নারী জাতির উন্নতি না হলে সমাজ আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।

তথ্যসূত্র:- ১)সুকুমারী ভট্টাচার্য, প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ, বৈদিক যুগে নারী, এন,বি,এ, কলকাতা,
২)সুকুমারী ভট্টাচার্য, প্রাচীন ভারত, সমাজ ও সাহিত্য- আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা,
৩)বিবাহ প্রসঙ্গে: সুকুমারী ভট্টাচার্য 8.bn.m.wikipedia.org উইকিপিডিয়া।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: কুনালকান্তি সিংহ রায় (গবেষক) এবং সুবিমান বাগচী (প্রবন্ধকার)।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.