Header Ads

পবিত্র রাখি বন্ধনের দিন বাংলা নিউজ পোর্টাল "নয়া ঠাহর"-এর ছাপা ও ডিজিটাল মাধ্যম প্রকাশ

 নয়া ঠাহর  প্রতিবেদন ,গুয়াহাটি :অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অগ্রণী বাংলা ওয়েব পোর্টাল "নয়া ঠাহর"-এর এবছরের পুজো সংখ্যা প্রকাশ পেল। ছাপা ও ডিজিটাল উভয় মাধ্যমেই। এটি ত্রয়োদশ পুজো সংখ্যা। 
এবার নয়া ঠাহর এর প্রচ্ছদ উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত সান্তনা গুপ্তর নামে। পুজো সংখ্যায় বাঙালিদের ভাষা-সাংস্কৃতিক অবক্ষয়-অবনমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি দেশ তথা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, জলদূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ে সম্পাদকীয়তে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সংসদ এই ভয়ংকর সমস্যা নিয়ে মোটেই চিন্তিত বলে মনে হয় না। 
পুজো সংখ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের কথা লিখেছেন, বাঙালির প্রাণদেবতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লিখেছেন রবীন্দ্র গবেষক উষারঞ্জন ভট্টাচার্য। বাংলা সাহিত্যের গবেষক প্রণব আচার্য্য শ্রীচৈতন্যকে  নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন। অসমের প্রাণপুরুষ  শ্রীমন্ত শংকরদেবকে নিয়ে লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক  রত্না ভরালী তালুকদার, যা বাংলায় অনুবাদ করেছেন বিশিস্ট প্রাবন্ধিক-আলোচক বাসব রায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা  সোনালী অসমের  স্বপ্ন বুনেছেন। পদ্মশ্রী, সাহিত্য অকাদেমি সম্মানপ্রাপ্ত জয়শ্রী গোস্বামী মহন্ত শিবঠাকুরের আরাধনা করেছেন তাঁর লেখায়।  দিল্লির বিশিষ্ট সাংবাদিক  রত্নজ্যোতি দত্ত  সান্তনা গুপ্তের স্মৃতিচারণ করেছেন। অসমের কাজিরঙায় শব্দদূষণের ফলে এক খড়গ বিশিষ্ট গন্ডারদের সমস্যায় আলোকপাত করেছেন বিশিষ্ট ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক অমল গুপ্ত।  অধুনালুপ্ত ‘সকালবেলা’ পত্রিকার সম্পাদক অঞ্জন বসু তাঁর সুদক্ষ সম্পাদনার মণিমুক্তো  ছড়িয়েছেন। উত্তর-পূর্বের উপজাতি মহিলা সমাজ নিয়ে লিখে হাত পাকানো সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া এবার মাছ নিয়ে অনবদ্য ও ব্যতিক্রমী প্রবন্ধ লিখেছেন। নেতাজিকে ব্রিটিশের হাতে ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন হো চি মিন, এই তথ্য তুলে ধরেছেন নেতাজি-গবেষক তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রকৃতিপ্রেমী শুভসুন্দর দেব চৌধুরী।  বিহারের পালাবদল  সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সুজয় পালিত। সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে তুলে ধরা হয়েছে জাতীয়  শিল্পী অরূপ গুপ্ত, বিশিষ্ট হস্ত শিল্পী সন্দীপ গুঁইকে। মূলস্রোতে খেলাধুলাকে নিয়ে আসার পক্ষে সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক  পিণাক দত্ত। অবহেলিত বরাক উপত্যকার  স্বাভিমান নিয়ে লিখেছেন ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা প্রদীপ দত্ত রায়। করোনা সংক্রমণের মূল্যায়ন করেছেন ডাক্তার মৃন্ময় দেব। সম্পাদকের সাংবাদিক জীবনের হাতেখড়ি দিয়েছিলেন ডাক্তার-বন্ধু তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অর্ধেন্দুকুমার দে, তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জনিয়েছেন সাংবাদিক অমল গুপ্ত। দৃষ্টিনন্দন নতুন আঙ্গিকে ‘নয়া ঠাহর’-এ রয়েছে একঝাঁক নামী-অনামী কবির কবিতা। প্রচ্ছদ পরিকল্পনা বুলবুল জামানুর হকের।
অমল গুপ্তের সম্পাদনায় ও বাসব রায়ের সহযোগিতায় নয়া ঠাহর পুজোসংখ্যা এবার সত্যিই ব্যতিক্রমী ও অনন্য ।(আজকে দৈনিক যুগসংখ মহানগর পৃষ্ঠায় প্রকাশ পেয়েছে  )

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.