ডলু তে বিমান বন্দর আজও কেন্দ্রে প্রস্তাব ই যায় নি
ডলুতে বিমানবন্দর করে দেখান - মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছূড়লেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
নয়া ঠাহর ,শিলচর :সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে আসামের মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন যে ডলুতে জমি অধিগ্রহণের পরই গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দরের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। একই সাথে ডলু বাগানে এসে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের অসন্তোষকে সামাল দেবার কথাও বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
এক প্রেস বার্তায় প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকে আবার প্রমানিত হল যে এই ব্যাপারে এখন অব্দি সরকারি স্তরে কোন প্রস্তাব যায়নি যা বিডিএফ আগে থেকে বলে এসেছে। শিলচরের সাংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতারা যে এই ব্যাপারে প্রথম থেকেই জনগনকে ভুল বোঝাচ্ছিলেন তাতেও আর কোন সন্দেহ রইল না । তিনি বলেন বিমানবন্দর আমাদের অবশ্যই চাই এবং এই দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তবে তা বরাকের তিন জেলার মধ্যবর্তী কোন স্থানে করা হোক। প্রদীপবাবু আরো বলেন যে কোন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আগে কেন্দ্রীয় অনুমোদন এবং তারপর জমি অধিগ্রহণ এভাবেই এগোনো হয়। তিনি বলেন যে দীর্ঘ দশবছর বরাকের জনগনকে নিয়ে আন্দোলন করে যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমরা পেয়েছিলাম তাতেও সংসদে বিল পাশ হবার পরই রাজ্য সরকার জমির ব্যাবস্থা করেছিল। তাঁর প্রশ্ন এই গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে কেন তার ব্যাতিক্রম ঘটছে, কেনই বা সরকার এরকম একটি বিতর্কিত জমি নিয়ে একগুঁয়েমি করছেন ? তিনি বলেন যেভাবে আলাপ আলোচনা ছাড়া ৩০ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে, শ্রমিকদের রুটি রুজির উপর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে তাঁতে বরাকের জনগণের সমর্থন নেই। এবং মুখ্যমন্ত্রী আসলেই যে শ্রমিকরা এই ক্ষোভ ভুলে যাবেন তা মোটেই নয়।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক এদিন বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন বন্যার সময় তিনবার বরাক সফর করে তিনি বরাকবাসীর মনজয় করে ফেলেছেন তবে তিনি আদ্যন্ত ভুল ভাবছেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সত্ত্বেও কেন এখনো 'ভাষা শহীদ স্টেশন ' নামকরণ আটকে আছে,কেন গত সাত বছরে বরাকের কজন সরকারি চাকরি পেয়েছেন তার কোনো হিসেবই দেওয়া হয় না,কেন রাজ্য সরকারের এপিএস বা এসিএস ইত্যাদি প্রশাসনিক পদে বরাক থেকে প্রতিনিধিত্ব গত সাত বছরে তলানিতে ঠেকেছে এসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরাকবাসীকে সন্তুষ্ট করা যাবেনা। তিনি বলেন ধর্মকে বেসাতি করে আর মুখে মিষ্টি কথা বলে পেছন থেকে ছুরি মারার রাজনীতি বরাক বাসীর বুঝতে বাকি নেই এবং এসবে চিঁড়ে ভিজবে না।
প্রদীপ বাবু বলেন যে তাই বিমান বন্দর অনুমোদিত হলে ডলু বাগানের সমস্যাকে শীঘ্র সমাধান করে রাজ্য সরকার বদরপুর বা তৎসংলগ্ন কোন পতিত সরকারি জমিতে গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হোক। তাঁতে সবার মঙ্গল সাধিত হবে।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই