Header Ads

অগ্নিপথ ,ক্ষোভ ,গাড়ি জ্বালানো, বাস্তব সত্যি

*Agnipath Recruitment Scheme* 
এটাকে মন দিয়ে পড়ুন, সবাইকে পড়ান ও সবাইকে Share করে জাতীয় সম্পত্তি ধ্বংসের ও নষ্ট এর হাত থেকে রাষ্ট্র কে রক্ষা করুন -
Please সবকিছু ঠিকভাবে না জেনে এইভাবে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করবেন না। যে গুলো পোড়ানো হচ্ছে, নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে জানবেন সেগুলো আমার আপনার সম্পত্তি,, আমাদের সাধারণ মানুষের টাকা দিয়েই তৈরী হয়েছে। সরকারের বাপের সম্পত্তি নয় ।

*অগ্নিবীর বা অগ্নিপথ*, অনেকটা B.Ed বা D.El. Ed.বা নার্সিং ট্রেনিং (GNM) এর মতোই। আসুন এবার একটু বিশদে ব্যাখ্যা করি। শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে আপনাকে করতে হবে B.Ed / D.El. Ed  যা ২ বছরের ট্রেনিং। কিন্তু যারা বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় আছেন বা যারা ভবিষ্যৎের শিক্ষক-শিক্ষিকা তারা সকলেই জানেন এই B.Ed বা D.El. Ed গ্যারেন্টি দেয় না যে, আপনি এই কোর্স টা করলেই নিশ্চিত শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত হতে পারবেন। সরকারি শিক্ষকতা পেশায় সরকারও আপনাকে এই নিশ্চয়তা দেয় না। কিন্তু আমরা কি কখনো প্রশ্ন তুলেছি যে, এই B.Ed বা D.El. Ed কোর্স করলেই চাকরি দিতেই হবে? না কি যেদিন থেকে এই কোর্স চালু হয়েছিলো, তখন আমরা ট্রেন বাস জ্বলতে দেখেছি? জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কি সাধারণ মানুষের বাড়িঘর? না আমরা তা করিনি, কারণ এটা ট্রেনিং এই ট্রেনিং এর সময় আমরা স্কুলে গিয়ে পড়ে এসেছি, তার জন্য কোনো স্টাইপেন্ড পাইনি। কিন্তু এই *অগ্নিপথের অগ্নিবীর* প্রকল্পে যোগ্য প্রার্থীরা শুরু থেকেই স্টাইপেণ্ড পাবেন প্যাকেজ হিসাবে। ট্রেনিং ঠিকমত রপ্ত করতে পারলে, এবং পরবর্তী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ভারতীয় সেনায় সর্বক্ষণের জন্য স্থায়ীভাবে চাকরি পাবেন *সোলজার জেনারেল ডিউটি পদে*। যারা সেনায় চাকরির জন্য নিজেদেরকে উপযুক্ত ভাবে গড়ে তুলতে পারবেন না, প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা রাজ্য পুলিশ, হোমগার্ড, CRPF, BSF, Para-Military ফোর্স এমন সমস্ত সংস্থায় যুক্ত হতে অগ্রাধিকার পাবেন। এটাই তো বলা হয়েছে *"অগ্নিপথ"* এ।  

একটি রাষ্ট্র বা জাতিকে কেবল পুলিশ বা আর্মী ই রক্ষা করতে পারেনা। তাই দেশের কিছু সংখ্যক মানুষের অবশ্যই সামরিক শিক্ষা এবং অস্ত্রশিক্ষা থাকা উচিত। এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে ১০ বা ১২ সমতুল্য ক্লাস পাশ করলেই প্রথম ৫ বছর সেই দেশের আর্মীতে সেবা দিতে হয় প্রতিটি যুবককে, তবে তারা সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পায়। কারণ তাদের কাছে রাষ্ট্র সর্বোপরি। ভাবুন তো এই প্রকল্প চালু হলে আগামী ৩০ - ৫০ বছর পর আমাদের দেশে কি হতে পারে? গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, নগরের অলিতে গলিতে তখন শত শত সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মানুষ থাকবে। যারা বিদেশী শক্তি, আভ্যন্তরীণ শত্রু, দেশদ্রোহী, জঙ্গী, আতঙ্কবাদী, দাঙ্গাবাহিনী, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং, ডাকত দল ইত্যাদিদের হাত থেকে সমাজ এবং গ্রাম ও শহরকে রক্ষার জন্য অনেকটাই প্রস্তুত ও উপযুক্ত হয়ে উঠবে।

আসুন দেখে নেওয়া যাক *অগ্নিপথ* যোজনা'র বৈশিষ্ট্যগুলো কি ও *অগ্নিবীরদের* সুযোগ সুবিধাগুলো কি কি:

১. বয়স ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর।

২. শিক্ষাগত যোগ্যতা সিনিয়র সেকেন্ডারি।

৩. আগের মতই স্ট্যান্ডার্ড শারীরিক পরীক্ষা।

৪. পরিষেবার সময়কাল ৪ বছর।

৫. প্রশিক্ষণের সময়কাল (Basic Training) ৬ মাস।
 
৬. প্রথম বছরের মধ্যে ২১ হাজার টাকা হাতে পাওয়া যাবে।
      দ্বিতীয় বর্ষে বেতন ৩৩ হাজার টাকা। মাসে ১০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ হাতে পাওয়া যাবে ২৩ হাজার টাকা প্রতি মাসে।
      তৃতীয় বছরে ৩৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে, তা থেকে ১১ হাজার টাকা কেটে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা হাতে পাওয়া যাবে।
      চতুর্থ বছরে ৪০ হাজার টাকা মাসে বেতন, তা থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবপ, অর্থাৎ ২৮ হাজার টাকা হাতে পাওয়া যাবে।
 
৭. এরপর ৪ বছরের মেয়াদ শেষে বা অবসরে, চার বছর ধরে কেটে রাখা ওই সব রাশিপুঞ্জি একত্রিত ভাবে এককালীন ১১ লাখ ৭১ হাজার টাকা পরিষেবা তহবিল প্যাকেজ হিসাবে পাওয়া যাবে।
 
৮. ৪ বছরের মেয়াদের পরে, যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে, ২৫% *অগ্নিবীর জওয়ানকে* ভারতীয় সেনাবাহিনীতে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে, বাকি ৭৫% অগ্নিবীরদের দক্ষতা শংসাপত্র দেওয়া হবে, যার ভিত্তিতে সরকারী বা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির অগ্রাধিকার পাবেন। পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসা করতে চাইলে তার জন্য ন্যূনতম সুদের হারে অ-নিরাপত্তা ঋণ প্রদান করা হবে।
 
৯. প্রতি বছর তিন বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার করে *"অগ্নিবীর" সৈন্য* নিয়োগ করা হবে।

১০. এককালীন আয়করহীন টাকা (১১ লক্ষ ৭১ হাজার)।

১১. আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগে অগ্রাধিকার (ইতিমধ্যে আসাম রাইফেলস এ বিষয়ে ঘোষণা করেছ)।

১২. রাজ্য পুলিশে নিয়োগে অগ্রাধিকার (ইতিমধ্যে হরিয়াণা, উত্তর প্রদেশ ও আসাম সরকার এ বিষয়ে ঘোষণা করেছে)।

১৩. অগ্নিবীরদের জন্য ভারতীয় সেনা ও "IGNOU" এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম, (কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে ঘোষণা করেছেন)।

১৪. ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সে চার বছরের কাজের অভিজ্ঞতা এবং হাতে সংগৃহীত অর্থ : জীবনের মান এবং ধারণা বদল করে দেবে দেশের যুবসমাজের।

১৫. বাকি সাধারণ নিয়মে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে রকম নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতো - তা বলবৎ থাকবে।
 সেই রকমভাবেই অগ্নিপথের ক্ষেত্রেও একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চাইছে ভারতবিরোধী শক্তি । এই যোজনার বিরোধিতা করে।আসলে ভারতবর্ষের আর্থ-সামাজিক/সামরিক স্থিতির আমূল পরিবর্তন হবে এই অগ্নিপথ যোজনায়, তাই রাষ্ট্রের অশুভশক্তি এত আশঙ্কিত এবং আতঙ্কিত।

এই অগ্নিপথ প্রকল্পে ১৮,১৯,২০,২১ বছরের নিয়োজিত একজন ছেলে বা মেয়ে যখন ৪ বছর পর ২৫% এর মধ্যে সরাসরি স্থায়ীভাবে নিয়োগের সুযোগ পাবে না, তখন সে ২২,২৩,২৪ বা ২৫ বছর বয়সে অবসর নেবে ঠিকই, তবে পরবর্তীতে সে একটি ভাল চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে নিজের খরচে।

যেখানে ছেলেমেয়েরা প্রায়ই ভুল সঙ্গে বিপথে যায় এই ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২ বছর বয়সে, সেখানে এই বয়সে "অগ্নিবীরেরা" দেশের সেবা করবে। শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে শিখবে, দায়িত্ববান, কর্তব্যপরায়ণ হতে শিখবে। এছাড়াও যুবসমাজের এই অংশটা শারীরিক ভাবে ফিট ও মানসিক ভাবে দৃঢ় থাকবে। তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, জীবনের শুরুতেই তাদের কোনও আর্থিক সমস্যা হবে না।

বন্ধু, আমি বলবো যে, *ভারত সরকার একটি খুব কার্যকরী এবং বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে অগ্নিপথ। এটিকে চাকরি না ভেবে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রশিক্ষণের সুবর্ণ সুযোগ মনে করে সর্বাধিক যুবকদের এটির সুবিধা নেওয়া উচিত*। আপনি নিন, অন্যকেও সূযোগ করে দিন। অন্যের ভুল ব্যাখ্যা কখনওই গ্রহণ করে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করবেন না।

আপনিও এই খবরটি শেয়ার করে যুবসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিন, তাদের জানিয়ে দিন এই আশার আলো 🇮🇳 বন্দেমাতরম 🙏🏻
আর যেটা গোপনীয়তা রক্ষা করছে সরকার সেটা হলো - এখন সারা বিশ্বে যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠেছে, তাই সমস্ত যুব সমাজকে সামরিক প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষতা করাও দরকার। যেহেতু জাতিসঙ্ঘের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্র একটি নির্দিষ্ট পরিমান সৈন্য রাখতে পারবে , তাই একসঙ্গে প্রচুর সৈন্য কোন রাষ্ট্র রাখতে পারবে না, বোলতে পারেন সরকারের এটাও একটি চালাকি ভাবতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.