, কামাখ্যা মন্দিরের দ্বার বন্ধ,খুলবে ২৬জুন
অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি: নীলাচল পাহাড় দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তপ্রাণ মানুষের ভিড়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবুজে ঘেরা পাহাড়ে ঝর্ণা নেমেছে,ঝোপ ঝাড় থেকে বৃষ্টির জল গড়াচ্ছে ,অপুর্ব শোভা পাহাড়ের,হাজার দেড় হাজার মিটার উপর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা খাওয়া পাহাড়ের চূড়া থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিংহদ্বার গুয়াহাটি মহানগর মেঘ বৃষ্টিতে ঢাকা পড়ে গেছে। ২১ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে অম্বুবাচী র প্রবৃত্তি শুরু হওয়ার আগে মন্দির দর্শন করলাম।দুবছর করোনা সংক্রমনের জন্য মেলা বন্ধ ছিল। এবার প্রধান গেট ফুল দিয়ে সাজানো হয় নি। তবে অত্যাধুনিক আলোর সমাহার ছিল , মন্দির চত্বরে পুলিশ ,সাফাই কর্মী,ভলান্টিয়ার দের দাপট, সাধু, সন্ত্রাসীদের ভিড় অপেক্ষাকৃত কম। গুয়াহাটি পুর নিগম ও সরকার সব ভাল ব্যবস্থা করেছে। ৭০০সি সি ক্যামেরার চোখ নিরাপত্তা দেখছে।আধা সামরিক বাহিনীর দুই জোয়ান কে স্নি ফার ডগ নিয়ে ঘুরতে দেখলাম। জলপাইগুড়ির মাধব দাস হাতে দুটি পায়রা নিয়ে দাঁড়িয়ে জানালেন মন্দিরে র আকাশে ছেড়ে দেবেন। বলি দিতে নয়। এই মন্দিরে বলি প্রথা আছে। রক্তের স্রোত বন্ধ করা যায় নি। পিপলস ফর এনিমেল এর কর্ণধার সংগীতা গোস্বামী নির্মম প্রথা বন্ধে আদালত পর্যন্ত গিয়েছিলেন, কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয় পরম্পরাগত আদিম প্রথা বন্ধ করে মানুষের ভক্তি আর আবেগ কে অসম্মান করা উচিত হবে না। আম্বানীই সহ দেশের সব কর্প রেট হাউসের ধনকুবের কামাখ্যা মন্দি রের চূড়ায় সোনার কলসি বসিয়ে পূর্ণ কিনছেন, সেেখানে তো পাপের রক্ত ঝড়বেই।
কোন মন্তব্য নেই