Header Ads

বরাক ভাসছে, কোথায় ত্রাণ ?কোথায় সরকার?



 নয়া ঠাহর,শিলচর:সরকার,প্রশাসনের অদূরদর্শিতা এবং দায়িত্বহীনতার মাশুল দিতে হচ্ছে শিলচর, করিমগঞ্জ বাসীকে - বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

প্রলয়ঙ্করী বন্যায় আক্রান্ত শহর শিলচর, করিমগঞ্জ। শহরবাসীর দিশেহারা অবস্থা। এজন্য সরকার এবং প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে প্রকৃতি কখন রুদ্ররূপ ধারণ করবে তা আগাম ধারণা করা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তারজন্য সাবধান থাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রশাসন ও সরকারের দায়িত্ব। এই ব্যাপারে চূড়ান্ত অবহেলার জন্যই আজকের এই পরিণতি হয়েছে। তিনি বলেন গত বন্যার পর বেতুকান্দি,বেরেঙ্গার বাঁধের ভাঙা অংশকে মেরামত করার জন্য ২০ দিন সময় পেয়েছে প্রশাসন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই কাজ সম্পুর্ন করা উচিত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গত বন্যা চলাকালীন এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের যতটা তৎপরতা দেখা গিয়েছিল,বন্যা শেষ হবার পর তার ছিটেফোটাও দেখা যায় নি । তিনি বলেন এটাকে সরকারি ব্যর্থতা ছাড়া আর কি বলা যায় ?

প্রদীপ বাবু আরো বলেন যে এরকম একটি অসহনীয় মুহুর্তে শিলচরের সাংসদ ও বিধায়ক দুজনেই বেপাত্তা। ত্রিপুরার উপনির্বাচন নিয়ে কেউ ব্যাস্ত নাহয় কেউ দিল্লি গিয়ে বসে আছেন। তিনি বলেন যে ভোটাররা তাদের সমর্থন জানালেন তাঁদের প্রতি ন্যুনতম দায়বদ্ধতা থাকলে তাঁরা যে কোনো অবস্থায় এই সময়ে তাঁদের পাশে থাকতেন। তিনি বলেন এটি চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার নমুনা। বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে বর্তমানে এই অঞ্চলকে সম্পুর্ন অভিভাবকহীন বলে মনে হচ্ছে। যে পর্যায়ে পরিস্থিতি গেছে সে তুলনায় প্রশাসনিক তৎপরতা এখনো নগন্য। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন।

বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন এটা অনেকদিন ধরেই বলা হচ্ছে যে বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন জরুরী এবং তা সরকারেরও অজ্ঞাত নয়। প্রচুর হইচই করে নমামি বরাক উৎসবের সময় বরাক খননের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো দুর্বোধ্য কারণে তা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল। তিনি বলেন সরকারের এইসব অপরিণামদর্শী পদক্ষেপের মাশুল আজ দিতে হচ্ছে বরাকের জনগনকে।

বিডিএফ এর মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন আজ যে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে সরকারকে ভাবতে হবে। বাঁধ এবং স্লইস গেট মেরামত,শহরের নালা নর্দমাকে আবর্জনা মুক্ত করা এবং নদী খনন এসব ব্যাপারকে এখন প্রাথমিকতা দিয়ে,সময়ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে এবং তা জনগনকে জানাতে হবে। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন আমরা সরব থাকব। তিনি বলেন সামনে পুরসভা নির্বাচন আসছে। আমরা এও জানি জনগণের স্মৃতিশক্তি দুর্বল। নির্বাচনের আগে আবার অনেকেই হয়তো হিন্দু হয়ে একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেবেন। তবে যেহেতু বর্ষার সময় এখনো রয়ে গেছে তাই এইসব জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে আজ থেকে শহরের সব নাগরিককে প্লাস্টিক সহ সমস্ত অবর্জ্য আবর্জনা যেখানে খুশি না ফেলার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.