অসমের মূখ্য মন্ত্রীকে বন্যা দুর্গত দের খোলা চিঠি
আসামের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়ের জ্ঞাতার্থে খোলা চিঠি।
মহাশয়,
সসম্মানে আপনাকে জ্ঞাত করার জন্য বাধ্য হয়ে আমি FB র সহায় নিলাম।
অতি দুক্ষের সঙ্গে আপনাকে জানাচ্ছি যে, আপনার বক্তব্যের প্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্ব হোজাইতে দেখতে পাওয়া যায় না। এবারের ভয়াবহ বন্যায় সমগ্র আসামের সাথে হোজাই জিলাও কপীলির বর্ধিত জলে ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। এসব ই আপনার জ্ঞাত। আমি শুধু চর্বিত চর্বন করলাম।
মহাশয়,
আপনি বার বার বলে চলেছেন যে, বান পীড়িতদের জন্য প্রচুর পরিমাণ ত্রান সামগ্রী মজুত রয়েছে। কিন্ত,
মহাশয়, গত15 জুন হোজাই জিলা প্রশাসন বন্যার অগ্রীম সতর্ক তা জারী করে। সেই দিন সন্ধ্যা থেকই অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে উচুঁ জায়গায় আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। 16 জুন সূর্য উদয়ের পূর্ব থেকেই বাড়ি ছাড়ার ধুম পড়ে--গন্তব্য অজানা। নিজের বাঁচার তাগিদে উচুঁ জায়গার মঠ মন্দির বিদ্যালয়ে গৃহ পালিত পশু সম্পদ সমেত আশ্রয় নেয়। তখনও প্রশাসন কোনও আশ্রয় শিবির আনুষ্ঠানিক ভাবে খোলে নি।NDRF বা SDRF এর উদ্ধার অভিযান তখনও দৃষ্টর অগোচরে । সবচেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য ছিল আছে যোগিজান বাজার থেকে যমুনামুখ রেলওয়ে ব্রীজ পর্যন্ত রেল লাইনের দুদিকের একচিলতে খালি জায়গায় ঝির ঝির বৃষ্টির মধ্যে সপরিবারে, গোবাদী পশুর সাথে বান পীড়িত মানুষের কালাতিপাতের দৃশ্য।16 জুন সন্ধ্যায় হোজাইর মাননীয় বিধায়ক শ্রী রামকৃষ্ণ ঘোষ মহাশয়ের তৎপরতায় যোগিজন রেলওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নেয়া হতভাগাদের চিড়া, ঘুড় ও মিনারেল ওয়াটার দেয়া হয়েছে। পরদিন দুপুরে সরকারী গাঁওবুড়া র মাধ্যমে কোনও কোনও জায়গায় সামান্য চিড়া গুড় বিতরণ করা হয়। যা ছিল সিন্ধুতেবিন্দু। গো খাদ্য ত দিল্লী দূর অস্ত। গতকাল দুপরে কিছু কিছু জায়গায় জিলা প্রশাসন চাল- ডাল -নুন - তেল বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করেছে।৮০% (আশি) বন্যার্তদের কাছে এখনও সরকারী ত্রান সামগ্রী পৌঁছে নি। এমন কি যারা শিবির পেতে আছে তাঁদের কাছেও না। ভাগ্যিস বিভিন্ন NGO, কিছু সুহৃদ ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত ভাবে শুকনা খাদ্য, রান্না খাদ্য, মিনারেল ওয়াটার, বিস্কিট এমন কি পশুখাদ্যও দিচ্ছে। তাই, আর্তদের আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যথায় পরিস্থিতি ভীষম আকার ধারণ করত। হোজাই প্রশাসনের এই কৃপণতার হেতু আমার জানা নেই।
তাই, আপনার দ্বারস্থ।
মহাশয়, ইতি মধ্যেই শিবির গুলর অবস্থা সাস্থের জন্য হুঙ্কার সরূপ হতে চলছে-, ফেনাইল, ব্লিচিং পাউডা রের অভাবে।
তাই,ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ই সরকারী আদেশ। কেন আপনার আদেশ হোজাই জিলায় কার্যকরী করতে জিলা প্রশাসন কৃপনতা করে, তা বুঝতে নাপেরে খোলা চিটি লিখলাম কারন আপনি অনুভূতি প্রবন মুখ্যমন্ত্রী ও জনদরদী নেতা। খোলা চিটি লিখার ধৃষ্টতা মাপ করবেন।
ইতি,
বিজয় চক্রবর্তী,
সাধারন সম্পাদক,
আসাম নাগরিক মঞ্চ,
হোজাই।
কোন মন্তব্য নেই