Header Ads

ত্রিপুরায়। আক্রান্ত সুদীপ রায় বর্মন

নয়া ঠাহর প্রতিনিধি, আগরতলা: 
ত্রিপুরায় উপভোটের তিনদিন আগে আক্রান্ত হলেন আগরতলা আসনের  কংগ্রেস  প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী, আগরতলার ৫ বারের
 বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। রবিবার মধ্যরাতে দলের এক কর্মীর বাড়িতে আক্রমণের ঘটনার খবর পেয়ে এই কর্মীর খোঁজখবর নিতে যাওয়ার পথে আগরতলা বিধানসভার অভয়নগর এলাকায় বিজেপি দুস্কৃতিদের আক্রমনের মুখে পড়েন সুদীপ রায় বর্মণ। ঢিলের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত সুদীপ। স্হানীয় মানুষ সুদীপ বাবুকে উদ্ধার করে আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকালে চিকিৎসারত সুদীপ রায় বর্মণকে দেখতে যান ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,বিরোধী  দলনেতা মানিক সরকার,   আগরতলা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদার, প্রাক্তন মন্ত্রী পবিত্র কর, প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত সহ সিপিআইএম নেতারা। এই আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীও। সামাজিক মাধ্যমে এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরী লিখেন, এই আক্রমণ ব্যাক্তি সুদীপ রায় বর্মণের উপর আক্রমণ শুধু নয়। গনতন্ত্রের উপর আক্রমণ। প্রসঙ্গত,সুদীপ রায় বর্মন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মনের ছেলে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোট পর্যন্ত আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা ৪ বার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন সুদীপ। ২০১৫ সালে বাংলার ভোটে  বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করায়   কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেন ৬ কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃনমুল ছেড়ে যোগ দেন  বিজেপিতে। ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে আগরতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে ত্রিপুরার স্বাস্হ্যমন্ত্রী হন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর সুদীপকে মন্ত্রিসভা থেকে তাড়িয়ে দেন বিপ্লব। বিজেপি দলের ভেতরে  থেকে বিপ্লব হঠাও অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর কিছুদিন আগে আরেক বিজেপি বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা সহ
বিধানসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করে কংগ্রেস দলে ফিরে যান সুদীপ আশীষরা। সুদীপ রায় বর্মণ ও আশীষ কুমার সাহার পদত্যাগের কারনে ত্রিপুরার রাজধানী শহরের দুই আসন আগরতলা ও টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রেও হচ্ছে অকাল ভোট। ২৩ জুন ত্রিপুরার চার আসনে হবে উপ ভোট। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ত্রিপুরার বিধানসভার ভোট। বিধানসভা ভোটের ৭/৮ মাস আগে এই উপভোট বেশ গুরুত্বপূর্ণ শাসক - বিরোধী সব দলগুলির কাছে। এই ভোটের ৩ দিন আগে একজন প্রার্থী খোদ রাজধানীতে নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.