৫জুন , বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনা
*পাহাড়ি এলাকায় ভয়ংকর প্রাকৃতিক ধংসলীলা ও বন্যার তাণ্ডব .....*
*চার্বাক দেব --* পাঁচ-ই জুন বিশ্বপরিবেশ দিবস । প্রতিবছরই নিয়মিত পরিবেশের রক্ষণাবেক্ষণের কথা ও বৃক্ষরোপণ প্রয়োজনীয়তা কথা মানবজাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে সচেতনতা বার্তা দেওয়া হয়। বৃক্ষশিশু রাশি হাতে তুলে দেওয়া হয় স্কুল,কলেজর ছাত্র -ছাত্রীদের হাতে। ঐদিনে বিশেষ করে বিভিন্ন রাস্তায় আসেপাশে বৃক্ষরোপণ করানো হয় ঘটা করে। পত্রপত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও স্যাসিয়েল মিডিয়ায় বৃক্ষরোপণের ছবি সহ সৎইচ্ছার বাতাবরণ মানব সমাজে পরিলক্ষিত হয় সর্বত্র। তবে,কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাবে জীবন আগের তুলনায় কতটুকু আরামদায়ক বা সুক্ষায় আসতে পারছি। মানুষের অভাব আজ সীমাহীন। প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রেখে আমারা কতটুকু পরিবেশ বৈজ্ঞানিক ও ভুমিসংরক্ষক বিশেজ্ঞদের তদারকির আমাদের চারপাশে প্রকৃতিসৃষ্ট বা প্রকৃতিতে থাকা সংসারের মধ্যে পাহাড় -পর্বত নদী -নালা, রৌধ-বাতাস,মাটি,উদ্ভিদ,কীট্-প্রতঙ্গ,প্রানী ইত্যাদি নিয়ে আদিম কাল থেকে চলে আসছি। আজ আমারা প্রকৃতিকে নিয়ে আধুনিকতায় আসতে পারচ্ছি। আজ আমরা প্রকৃতি উপর তার নিয়মের বাহিরে থেকে যতেচ্ছা চালালেই প্রকৃতির রোষানলে পড়তেই হবে। তা বলার আপেক্ষা রাখে না। বর্ষাপ্রবন এলাকায় ভূমিসংক্ষণের বা ভূমিস্ফলন রক্ষায় চাই গাছ-পালা। সমগ্র পাহাড় লাইনের পাহাড় টিলাটক্কর ছিল সবুজায়নের সংসার। বতর্মানে নেড়া পাহাড় ঠিলাটকর সবুজ শেষে দিগে। অতিবৃষ্টিতে আজ পাহাড় অঞ্চলে ধংসলীলাকে আমনাসামনা করতে হচ্ছে জীবকুলকে। এই আধুনিকতার যুগে।
প্লাবন বা বন্যা হলে ধংস ও ক্ষতি হয় তা ভুক্তভোগী মানবজাতি ও পশুকুলেরাই বুঝতে পারে। ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভূমিস্ফলন ইতিমধ্যে দেখাগেল লামডিং-শিলচর পাহাড় লাইনের বহুস্থানে।বিশেষ করে পাহাড়ের মাটি ও নুড়ি - পাথরের ধ্বংসস্তূপে পরিণত নিউ হাফলং রেলওয়ে স্টেশন। পাহাড়ের গাছ গাছরা বিহীন দাঁত নিটকানো পাহাড়ের মাটিতে প্রতিনিয়ত চলেছিল প্রকৃতি সংসারের উপর অহরহ ধংসলীলায়।প্রকৃতির প্রতি পরিবেশ বিরোধী কার্য্যকলাপের চলছে অবহেলা। পাহাড়ের অরণ্যর গাছপালা,বাঁশের ঝাড়ঝোর ও লতাগুচ্ছের সবুজায়নের দাঁত নিটকানো চেহারা বেড়িয়েছে দিয়েছিল বনদসুরা বনানীহরণের লালসায়। আর অবৈজ্ঞানিক চিন্তা কথা মাথায় না রেখে প্রকৃতি বিরুদ্ধে আধুনিকরণে রেলওয়ে ট্রেনলাইন তৈরি জন্যই কি দশা? পরিবেশবিদ তাই মনে ভাবছেন ।পলিউশন ঘটছে পরিবেশের উপর বাস্তবে । চারিদিকে বনধ্বংসের ফলে যে প্রাকৃতিক বিপর্য্যযের ছবিটি আমনাসামনা করতে হচ্ছে।তা বলার অপেক্ষা আর থাকল না। অরণ্য-পাহাড়,পাহাড়ি নদী-নালার গতিপথের সাথে প্রাকৃতিক এক নিবিড় মেলবন্ধন নষ্টের জন্যই কি এই ভয়ংকর ল্যাণ্ডস্কেপস এই পাহাড় লাইনে। মাটির অবক্ষয়, বন্যা,খরা,ল্যাণ্ডস্কেপস অর্থাৎ প্রাকৃতিক নন্দনিক দৃশের পরিবর্তন তাপ ও বাতাসের আর্দ্রতা,বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের সংযুতি সব কিছুই আজ পরিবর্তিত হতে চলছে।সুধুমাত্র চিরসবুজ বনানী হরণের জন্যেই। গুণতে হচ্ছে ভূমি অবক্ষয় জ্বালা।
এই পৃথিবীটা সবদিক থেকে বড় বিচিত্র। এখানে জীব-জন্তু, কীট-পতঙ্গ,গাছ-পালা, মানবজাতি পযর্ন্ত প্রকৃতিক নিয়মে চলা ফেরা। প্রকৃতির সংসারজীবনের বৃক্ষ ও মনুষ্যজাতির মধ্যে অনন্তকালের একটি সম্বন্ধ আছে। গাছ অহরহ বিভিন্নভাবে উপকৃত করে চলছে আমাদেরকে । জীবন রক্ষার প্রয়োজনে অক্সিজেন নীরবে দিয়ে চলছে। এমনকি খাদ্য,ফল,জীবনরক্ষার ঔষধের উপকরণ পযর্ন্ত জোগান দিয়েছে। গাছ মেঘ তৈরির সাহায্য করে। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। আর বৃষ্টি ফল ফসল উৎপাদনের সাহায্য করে।গাছ ছায়া দান করে। দান করে আশ্রয়। গাছ পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গাছ প্রাণীজগতের প্রকৃত বন্ধু। বন শূন্য বা বৃক্ষহীন করার প্রচেষ্টা আধুনিক শিল্পায়নের রাজত্বও জীবন যাত্রাকে প্রকৃতি ছন্দপতন করতে পারে যদি রুষ্ট হয় প্রকৃতি সংসার। অতিরিক্ত শিল্পায়ন, বয়লার বা চুল্লি থেকে প্রচুর ধুম,মোটর গাড়িগুলোর ডিজেল বা পেট্রোলের পোড়া ধোঁয়া কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড তৈরি করে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। সবুজ গাছপালা বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এই গাছগাছালি ব্যাপক হারে নির্মূল করে দেওয়ার ধরুন বিষাক্ত গ্যাস প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয়। এই গ্যাস সমস্ত বায়ুস্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জীবিত প্রাণীর স্বাস্থ্যে ভীষণ ক্ষতি করে। উপরন্তু প্রচুর পরিমানে কলকারখানা বর্জ্য পদার্থ ও বর্জ প্লাস্টিকজাতীয় সামগ্রিক যত্রতত্র ফেলে বিশেষ করে ঘন বসতি শহরে-নগরের জীবকুলের বিশেষ ক্ষতি সাধন করছে । শহরের ছোট-বড় নালা-নর্দমার সাভাবিক জলনিস্কাসনের বাধা হয়ে দাঁড়াছে। পাহাড়ি এলাকায় গাছ-পালা বিহীন অতিভারি বৃষ্টির জেরে ভূমিস্ফলন বা ভয়াবহ ল্যাণ্ডস্কেপস হয়। সমতলে বন্যর প্লাবনে জনজীবন ও পশুকুলে নেমে আসে বিপর্যয়। এখন আমাদের গাছ-পালা ও সবুজায়নের প্রতি সচেতনতা দিগে এগিয়ে আসতে হবে। প্রকৃতিকে রক্ষাই আমাদের বাঁচা-বাড়ার রক্ষাকবচ।
কোন মন্তব্য নেই