অসমে হিন্দু মুসলিমের অবদান নিয়ে শুধুই বিতর্ক,উন্নয়ন পিছনের সারিতে
অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি: অসমে খবরের কাগজগুলোতে প্রতিদিন পাতা জুড়ে রঙিন বিজ্ঞাপন ,নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।বিজ্ঞাপনের এত টাকা সরকার কোথায় পাচ্ছে। উন্নয়নের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অহেতুক হিন্দু মুসলিম বিতর্ক রাজ্যকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এত বেশি হিন্দু -মুসলিম বিতর্ক নিয়ে সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠা নষ্ট করা হচ্ছে। অনগ্রসর গ্রাম গুলির দুরাবস্থা নিয়ে,কৃষি ব্যবস্থা, সেচ, মাটি ,আবহাওয়া, পরিবেশ জল সমস্যা নিয়ে কলম লেখা হয় না।কারণ টি আর পি নেই। রঙিন পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন পাওয়া সংবাদপত্র গুলির অধিকাংশ সাংবাদিকের সরকারি অনুমোদিত বেতন কাঠামো নেই। যৎসামান্য বেতনে কাজ করানো হয় , না করলে ছাঁটাই ,বিজেপি সরকার কি সাংবাদিকদের দুরাবস্থার কথা জানে ? প্রফুল্ল মহন্ত র অগপ সরকার এক প্রস্তাব নিয়েছিল যে সংবাদপত্র সাংবাদিকদের সরকারি হারে বেতন দেবে না তাদের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপি সরকার সেকথা ভাবতে পারে। গত 4 ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বীর সাভারকর কে নিয়ে এক গ্রন্থ উন্মোচন করে বলেছিলেন মুসলমানদের ইতিহাস মাত্র 300 বছরের ,4700 বছর সকলে ছিলেন গর্বিত হিন্দু। সেই দিনই এ আই ইউ ডি এফ বিধায়ক আমিনুল ইসলাম (সিনিয়র) বিতর্ক তুলে বলেন কামাখ্যার জমি দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব ,আরো দাবি করেন এই জমি দানের "ফরমান " ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।আবার বিরোধী দলপতি দেবব্রত সাইকিয়া নথি পত্র ঘেঁটে প্রমান করার চেষ্টা করেন ব্রহ্মপুত্র র বুকে অবস্থিত ক্ষুদ্র দ্বীপের উমানন্দ মন্দিরের জমি ও ঔরঙ্গ জেবের দান। অসমের ইতিহাসবিদ মহেশ্বর নেওগের "পবিত্র অসম, "মার্কিন ইতিহাসবিদ অদ্রে ট্রস্কির গবেষণা গ্রন্থ র নানা দাবির কথা উল্লেখ করেন দেবব্রত। এই সব দাবির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।তিনি গতকাল ধুবরী তে নবম শিখ গুরুর 346 তম শহীদ দিবসে বলেন মোগল সম্রাট ঔরঙ্গ জেবের নির্দেশে ধর্মগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। বলেন ধর্মগুরু তেগ বাহাদুর চেয়ে ছিলেন সব ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে শান্তিতে নিজের নিজের ধর্ম পালন করুক।অসম আন্দোলনের শহীদ দের বিতর্কিত মন্তব্য করে কংগ্রেস বিধায়ক শেরমান আলী জেলে গিয়ে ছিলেন,গতকাল তাঁর জামিন হয়।এই বিধায়ক দুর্নীতিতে জড়িয়ে ছিলেন তা সি এম ভিজিলেন্স ধরে ফেলে। অসমের বিতর্কিত হিন্দুত্ব বাদী নেতা সত্য রঞ্জন বরা হুমকি দিয়েছেন ক্ষমা প্রার্থনা না করলে আমিনুল কে ঘরে ঢুকে পেটানো হবে। আমিনুলের দাবি খতিয়ে দেখার জন্যে কামাখ্যা মন্দিরের দলৈ কবিন্দ্র প্রসাদ শর্মা আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন। সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি আমিনুলের বিরুদ্ধে নাজিরার সিমুলগুড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমিনুল তাঁর দাবি থেকে সরে না এসে পাল্টা বলেছেন শিলাদিত্য দেব, সত্য রঞ্জন বরা লাগাতার ভাবে মুসলিম দের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে যাচ্ছেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন ?তাকেই বা কেন গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই