Header Ads

মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কে ভুলতে পারবো না

অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি:মুখ্যমন্ত্রী  তরুণ গগৈ কে আজ অসম বাসী স্বরণ  করছে।দল মত নির্বিশেষে সবাই তরুণ গগৈ এর সহজ সরল  জীবনের জন্যে    তাকে ভালোবাসতো।প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিন তিন বারের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ এর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার  ভাই অরূপ গুপ্ত  এক জন জাতীয় শিল্পী ,দিল্লি বাসী ,  ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট সহ  দেশের নানা প্রকাশনা সংস্থার গ্রন্থের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন।তাঁর ইচ্ছা ছিল গুয়াহাটি তে তার ছবির প্রদর্শনী করার।গুয়াহাটি এন এ এফ ওর কর্নধার জাকির  হোসেনের  সহযোগিতা নিয়ে চাঁদমারী  আর্ট গ্যালারি তে ছবির প্রদর্শনী  করে তা উদ্বোধন করার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যে দিন উদ্বোধন হবে সেই দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  শরৎ চন্দ্র সিনহা হটাৎ মারা যান।মুখ্যমন্ত্রীর কার্য্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়  তরুণ গগৈ যেতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব বিপুল গগৈ কে কাতর অনুরোধ  করে বললাম ভাই দিল্লি থেকে প্রদর্শণী করতে এসেছে  তার সম্মান  রক্ষা করা হোক। বিপুল মুখ্যমন্ত্রীকে তা অবগত  করলে।তরুণ গগৈ রাজি হয়ে যান।জানান হয়  নবগ্রহ শ্মশান    যাওয়ার পথে মাত্র 10   মিনিট    থাকবে।  মাত্র 10 মিনিট বলে আধ ঘন্টা ধরে অরূপের ছবি গুলো খুঁটিয়ে দেখেন।অরূপ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এক গণেশের ছবি তুলে দেন।   অরূপের এই   ছবির প্রদর্শনী দেখতে বিধানসভার অধ্যক্ষ পৃথিবী মাঝি  ,মন্ত্রী সহিদুল আলম চৌধুরী ও এসেছিলেন।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা  হলেই শারীরিক অবস্থার কথা জানতে  চাইতেন।আমার দুই হাটুর ব্যাথ্যা র কথা জানতেন।নানা টোটকা দিতেন। তাঁর 15 বছরের  শাসনে 1জানুয়ারি আমার জীবনকে  স্মরণীয় করে দিতেন।1জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী গুয়াহাটির সব সাংবাদিক কে আমন্ত্রণ জানানো হত।   খানাপাড়া পাহাড়ের মাথায় তার সরকারি আবাসে। শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ   আমাকে ডেকে পুষ্প স্তবক ,গামছা  ,বই পত্র  ইত্যাদি দিতেন। প্রথমেই ,আমাকে নতুবা 2,3  জনের পরে আমাকে ডাকা হত। উপস্থিত থাকলে সহ কর্মী সাংবাদিক রা ঠাট্টা করে বলতেন  অমল রেডি হও  এবার তোমাকে ডাকবো। বিজেপি  আমলে এই সম্মান   পাওয়ার কথা ভাবাই যায় না। বিজেপি  সাংবাদিক দের কোনো গুরুত্ত দেয় না। বিধানসভা কভার করছি তিন দশকের বেশি সময় থেকে। বর্তমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে যে ধরণের আচরণ করা হচ্ছে। তা কোনো দিন ভাবিনি। বিধানসভার চা চক্র থেকে শুরু করে   সব   এলাকায় ব্যারিকেডের  নিষেধ ,।মুখ্যমন্ত্রী  হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও নানা প্রোটোকল  ,তার কাছে ঘেঁষা যায় না।  1জানুয়ারির সাংবাদিক দের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মত  বিনিময়,  এক সঙ্গে   চা জল খাবারের স্বাদ নেওয়া ,সব ঠান্ডা হয়ে গেছে।তাই আজ জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কে বড্ড বেশি করে  মনে পড়ছে। তাকে  ভোলা যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.