লক্ষণ সেন,বল্লাল সেনের আমলের অতি প্রাচীন সাবেকি পুজো সেই প্রাচীন
অমল গুপ্ত, কান্দি : জেল রোড,কান্দি,মুর্শিদাবাদ লক্ষণ সেন,বল্লাল সেনের আমলের অতি প্রাচীন দুর্গাপুজো আজও কান্দি শহরে পৌরাণিক রীতি নীতি মেনে উদযাপিত হচ্ছে। কান্দি জেমো দুবে পাড়ার শুকুল পরিবারের এই দুর্গা পুজো সেই প্রাচীন ঐতিহ্য পরম্পরা মেনে পালিত হয়। সাল, সেগুন,বেল, শিউলি নানা ফল মূল গাছের সমারোহে স্নিগ্ধ ছায়া ঘন অঙ্গনের পবিত্র মাটির মন্দিরে এক চালার মা দুর্গার আরাধনা হত। বিগত বন্যায় সব ধুয়ে মুছে যায়।তারপর থেকে নব নির্মিত মন্দিরে মা পূজিত হচ্ছেন। তবে সেই প্রাচীন এক চালার হলুদ বর্ণের মা,সবুজ অসুর পৌরাণিক আচার মেনে সাত্ত্বিক পুজো।সেই দুবে পাড়ার বামুন পুকুরে দশমী তেই বিসর্জন, গ্রাম থেকে ধামা ভর্তি পদ্ম ফুল অ্যাসে। নানা ফল মুলের পসরা সাজিয়ে আটাশ রকম রান্নার পদ,পোলাও ,খিচুড়ি, বাসমতি চালের সুগন্ধি চালের ভাত, মাছের তিন রকম পদ ,পায়েস সাজিয়ে মাকে অর্ঘ দেওয়ার প্রাচীন রীতি মেনে চলেন শুকুল পরিবার। সেই লক্ষণ সেনের আমলে উত্তরপ্রদশেরের কৌনজ থেকে শুকুল পরিবার মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন।তাদের পূজা পার্বণে পৌরহিত্য করা তাদের পারিবারিক পেশা। এই পরিবারের নরেন্দ্র নারায়ণ সুকুল, সুরেন্দ্র নারায়ান সূকুল, দুই ভাইপো ওম প্রকাশ সুকু ল এবং বাপি সুকুল দক্ষিণ কালীবাড়ি, শনি মন্দিরের পূজা অর্চনা করেন।বাড়ির পুজো পার্বণ তারাই করেন।এই প্রাচীন ঐতিহ্য মন্ডিত পরিবারের উজ্জ্বল পুরুষ কালীপদ, রাসবিহারী, ব্রহ্ম নারায়ন, রুদ্র নারায়ানের হাত ধরে এই বিখ্যাত পরিবার তেরশ শতাব্দী থেকে পরম্পরা রক্ষা করে চলেছেন। দুবে পাড়ার প্রতিজন মানুষ এই সূকুল বাড়ির দুর্গা পুজো কে নিজেদের পরিবারের পুজো ভেবে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। আনন্দে অবগাহন করেন। মূর্শিবাদ বাদ জেলার অন্যতম প্রাচীন পুজো কান্দি দুবে পাড়ার সুকুল পরিবারের দুর্গা পুজো।
কোন মন্তব্য নেই