জেলা পরিষদের সভাপতি আশিষ নাথের উপরে অনাস্থা প্রস্তাব
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ আশিষ নাথের উপরে অনেক দিন থেকেই জেলা পরিষদের সদস্যরা তার কাজকর্মে নারাজ। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ দখলের মূল কারিগর পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালও বেজায় ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ সভাপতি আশীষ নাথের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন বিরোধী জেলা পরিষদ সদস্যরা।বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের নয় জেলার পরিষদ সদস্য তাদের জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী পরিষদের আধিকারিকের কাছে জমা দেন পঞ্চায়েত আইন ৭৩ নং ধারা অনুযায়ী। এই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন সদস্যরা বিভিন্ন তহবিলের অর্থ নয়ছয় এর অভিযোগ এনেছেন তারা। আশিষ নাথের বিরুদ্ধে জেলাশাসককেও অনাস্থার প্রতিলিপি প্রদান করা হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ নিয়ে প্রায় ৬ মাস থেকে এক অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে। তার বিরুদ্ধে প্রথমে করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তারপর বিরোধীরা নড়েচড়ে বসেন বিজেপি সদস্যদের সঙ্গে বিরোধীরাও যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই অনাস্থার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে বিরোধী দলের নয় জেলা পরিষদ সদস্যরা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্র দাখিল করেছেন। এরপরেই জেলা পরিষদ শাসনকালে হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।বিভিন্ন বৈঠকের খরচের হিসাব নিকাশ চাওয়া হলে টালবাহানা দিয়ে পাশ কাটিয়ে জান আশিষ নাথ। জেলা পরিষদ অধিকাংশ সিদ্ধান্ত অন্যদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে তার প্রবল অনীহা আশিষের। খুশিমতো কাজকর্ম নিজেদের এলাকার উন্নয়নের কাজ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি অনাস্থা আনা সদস্যদের। তাই যেভাবেই হোক আশিষ এর বদলে অন্য মুখ চাইছেন তারা জেলা পরিষদ সদস্যরা। সহ-সভানেত্রী নির্মলা সভাপতি করা হলেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে বিরোধী সদস্যরা। জেলা পরিষদ নিয়ে শাসক দল বিজেপির চিন্তায়। বিগত দিনে বারবার সভাপতির বিরুদ্ধে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। জেলা সভাপতি থেকে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত নালিশ পৌঁছেছে।









কোন মন্তব্য নেই