Header Ads

কা আইন অনুযায়ী আফগানিস্তানের হিন্দুরা ভারতে পূনর্বাসন পাবে, সুস্মিতাকে মনে পড়ে

অমল গুপ্ত, কলকাতা  : নাগরিকত্ব  সংশোধনী আইন অনুযায়ী  আফগানিস্তানে  অত্যাচারিত  হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষকে ভারতে স্থায়ীভাবে পূনর্বাসনের  ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এপর্যন্ত হাজার দুয়েক  এসেছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। বহু বছর ধরে বসবাসকারী  শিখ, পাঞ্জাবি, জৈন, বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর বহু মানুষ জীবন  জীবিকার তাগিদে সেই  তালিবানি রাষ্ট্রে  বসবাস করছিলেন। ভারত সেই দেশের আর্থিক উন্নয়নে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে ভারতের টাকায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই ভবন উন্মোচন করেন। অথচ আজ তালিবানিরা ভারতকে শত্রু ভাবছে। পাকিস্তান, চীন বন্ধু রাষ্ট্র হয়ে গেল। আফগানিস্তানের এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী গ্রামের  মানুষের রাতের ঘুম ছুটে গেছে। এই গ্রামের মানুষ আফগানিস্তানিদের মাথার পাগড়ি  তৈরি করে   জীবিকা নির্বাহ করে। ৩০/৪০ বছরের ব্যাবসা। বছরে প্রায় এক কোটি টাকার  ব্যবসা করে থাকে। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ অসমে   হিং শুকনো ফল এবং সুদের ব্যবসা করতে  কয়েকশো আফগান  ভারতে এসে থাকেন।   কলকাতার ব্রাহ্মণ পরিবারের  মেয়ে সুস্মিতা  বন্দ্যোপাধ্যায়   পাড়ার কাবুলিওয়ালা সুন্দর সুপুরুষ  জাবাজ খানকে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে  কাবুল যান। দিনের পর দিন  সেদেশের একাংশ পুরুষের  যৌন অনাচার, বহুগামিতা আর নারীদের উপর  অবর্ণনীয় অত্যাচার দেখে  সুস্মিতার জেদ চেপে গিয়েছিল। এর বিহিত ব্যবস্থা করতেই হবে। আফগানিস্তানে তার নাম হয়  সৈয়দা কামালা। অবহেলিত  অত্যাচারিত  নারীদের   পাশে দাঁড়ান সুস্মিতা। এবার তাকে টার্গেট করে তালিবানিরা। একবার  অত্যাচারিত হয়ে  প্রাণ ভয়ে ভারতীয় দূতাবাসে   নিরাপত্তা খোঁজেন। কোনোভাবে ভারতে পালিয়ে আসেন।  জেদি মেয়ে সুস্মিতা তাঁর  তিক্ত অভিজ্ঞতা লিখতে থাকেন। তার কলমে বেড়িয়ে আসে  কাবুলিওয়ালার বাঙালি  বৌ। বিখ্যাত বই বেস্ট সেলার একটির পর একটি   বই  লিখে যান। আবার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের শত আপত্তি উপেক্ষা করে আবার কাবুল যান। ২০১৩ সালের    সেপ্টেম্বর শীতের রাতে তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৪/৫ পাষণ্ড তার ঘর থেকে  চুলের মুঠি ধরে বাইরে এনে এল পাথারি  কিল-চড়-থাপ্পড় পর  কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে পর পর পাঁচ বার গুলি চালিয়ে তাকে   ঝাঁড়রা করে  দেয়। না সুস্মিতা কে বাঙালিরা মনে রাখে না। মেরুদণ্ডে চিড়  ধরা বাঙালিদের আর কেউ গুরুত্ব দেয় না।  অন্যদেশে  জন্মালে  সুস্মিতার নাম   নোবেলের জন্যে  বিবেচিত হত। বাঙালি বলেই হল না।আজকের খবর বাঘলান প্রদেশে প্রায় 300 তালিবানি কে  হত্যা করা হয়েছে। এর আগে পঞ্চশীর, পুল হি হিসার ,বানু প্রদেশে  তালিবনিরা পিছু হটছে বলে খবর এসেছে। তালিবানি রা  কাবুল বিমান বন্দর  দখল  নিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  15 হাজার আমেরিকান কে ফিরিয়ে  আনার   কথা বলেছেন।আমেরিকান রা আফগানিস্তান  না ছাড়লে তালিবানি রা কাবুল  দখল করতে পারতো না। বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।বাইডেন তা মানছেন না। বলেন সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।  কাবুল হামিদ কারজাই বিমান বন্দরে আজ গোলা গুলি চলে আফগান সেনা নিহত হয়। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় দেড়শো হিন্দু শিখ পাঞ্জাবি বিমানবন্দরে  পৌঁছেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.