১০০ দিনের সরকার বরাকের ভাগ্যে শূন্য
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : সরকারের একশ দিনের কর্মসূচীর জয়ঢাক বাজানো হল, কিন্তু বরাকের প্রাপ্তির ভাড়ার প্রায় শূন্যই রইল - প্রতিক্রিয়া বিডিএফ এর।
গতকাল আসামের নতুন সরকারের একশ দিন পূর্তি উপলক্ষে এই সময়কালে তার সাফল্যের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসাম সরকার । এই সময়ে যেসব উদ্যোগ ও প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বা পরিকল্পনা করা হয়েছে একটি বইএর মাধ্যমে তা প্রচার করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ প্রকল্প গুলি ছাড়া এই তালিকা অনুযায়ী বরাকের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । এই নিয়ে মুখ খুলল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন যে যদিও শোনা গেল যে সরকার ১ লক্ষের উপর চাকরি দেবার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তবে এখন অব্দি বরাকে সেরকম কোন নিয়োগের উদ্যোগ চোখে পড়েনি।উল্টে দেখা যাচ্ছে সরকার জেলা ভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন যারফলে অন্যান্য জেলা তথা বরাকের প্রার্থীরা যোগ্য হয়েও 'ডমিসাইল' না হওয়ার কারণে আবেদন অব্দি করতে পারছেন না। তিনি বলেন এই প্রক্রিয়া কতটা আইনসম্মত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কারণ আর কোন রাজ্যে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় বলে মনে হয়না। তার বক্তব্য বরাকের তিন জেলার ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বিডিএফ।
পার্থবাবু আরো বলেন যে বরাকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দীর্ঘকাল ধরে ঝুলন্ত। মহাহড়কের কাজের ব্যাপারে শুধু আশ্বাসই শোনা যাচ্ছে বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন নেই।হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ সহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলি শুরু করার বিষয়ও বিশ বাঁও জলে।করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে সরকারি কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি গত একশ দিনে। শিলচর কিংবা করিমগঞ্জ শহরের ড্রেনেজ কিংবা যানজট সমস্যা নিরসনেও কোন পরিকল্পনা দেখা যায়নি , উল্টে যুক্তহীন অজুহাত দেখিয়ে শিলচরে উড়াল পুল প্রকল্পকেও নস্যাৎ করা হল। তাই এসব সরকারি ফিরিস্তি শুনে বরাকবাসীর কোন লাভ নেই।
বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক জহর তারণ বলেন যে এটা আশ্চর্যের বিষয় যে মুখ্যমন্ত্রী কোভিডের জন্য বন্ধ হয়ে থাকা শুধু মন্দির,নামঘর ও সত্রের পুরোহিতদের জন্য এককালীন অর্থসাহায্য ঘোষনা করলেন অথচ একই কারণে ভুক্তভোগী মসজিদের ইমাম বা গীর্জার পাদ্রীদের ব্যাপারে নীরব রইলেন। রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে থেকে এই ধরণের বৈষম্য অভূতপূর্ব ও নিন্দনীয়।
জহরবাবু এদিন বলেন যে গত এই একশ দিনে বরাকবাসীদের একটাই প্রাপ্তি হয়েছে। আগামীদিনে বিদেশী সাব্যস্ত করা হলে তাদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে না পাঠিয়ে 'ট্রানসিট ক্যাম্প' এ পাঠানো হবে কারণ ঘরে বাইরে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেসবার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই