Header Ads

নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতির শহিদ স্মরণ

সংবাদদাতা, শিলচর : নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসামের পক্ষ থেকে ১৯৮৬ সালে সেবা সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে শহিদ জগন্ময় দেব, দিব্যেন্দু দাস এবং ২০১০ সালে বরপেটায় ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে রুখে দিতে এন আর সি'র তথাকথিত পাইলট প্রজেক্ট বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে শহিদ মাজম আলি, মাইদুল ইসলাম মোল্লা, সিরাজুল হক এবং মতলেব আলিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য এক প্রেস বার্তায় জানান যে তাঁদের মৃত্যু গোটা রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির মদতে পরিচালিত আসাম সরকার রাজ্যের ভাষিক সংখ্যালঘুদের মাতৃভাষার মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত স্বরূপ ১৯৬০ সালে যে কুখ্যাত ভাষা আইন তৈরি করেছিল তারই ধারাবাহিকতায় এন আর সি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার সেই চক্রান্তকে আরও তীব্র রূপ দিতে তৎপর রয়েছে এবং নিরপরাধ সাধারণ নাগরিকদের অন্ধ জাতি বিদ্বেষ ও ধর্মীয় বিদ্বেষের বলি হতে হচ্ছে। তিনি এও বলেন যে ১৯৬১ সালের ১৯ শে মে, ১৯৭২ সালের ১৭ আগষ্ট ও ১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই মাতৃভাষা আন্দোলনের যেমন গৌরবোজ্জ্বল দিন তেমনি ২০১০ সালের ২১ জুলাই এন আর সি'র তালিকা তৈরির নামে ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে প্রতিহত করারও একটি ঐতিহাসিক দিন। বরপেটার চারজন আন্দোলনকারীর আত্মবলিদান এন আর সি প্রক্রিয়াকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল। তাদের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে গোটা দেশের জনগণ জানতে পেরেছিল এন আর সি'র ভয়াবহতা সম্পর্কে। সি আর পি সি সি, আসাম শহিদদের আত্মবলিদানের এই বিশেষ দিনটি শ্রদ্ধার সাথে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্মরণ করতে আহ্বান জানায়। পাশাপাশি আসাম সরকারের চরম সাম্প্রদায়িক ও উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগণকে আহ্বান জানায়। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.