Header Ads

ডিটেনশন ক্যাম্পে মায়েদের সঙ্গে ১৪ বছরের তলে ২০ জন শিশুও আছে

 


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : রাজ্যে ছয়টি ডিটেনশন ক্যাম্প আছে। ছয়টি ডিটেনশন ক্যাম্পে এখন পর্যন্ত ১৮১ জনকে রাখা হয়েছে। গােয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ৪১ জন। কোকরাঝাড় ডিটেনশনক্যাম্পে আছে ১১ জন। শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ৪৯ জন। ডিব্ৰুগড় ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ১৩ জন। যােরহাট ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ২২ জন এবং তেজপুর ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে ৪৫ জন। ১৮১ জনের মধ্যে ৬১ জন বিদেশি জেলে আছে। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কগ্রেসের শেরমান আলী আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে গৃহ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, জেলে আবদ্ধ ৯ জন বিদেশি মহিলার সঙ্গে ২২ জন সন্তান-সন্ততি আছে। তাদেরকে কোকরাঝাড়, শিলচর এবং তেজপুর জেলে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ১৪ বছরের উপরে আর ২০ জন ১৪ বছরের তলে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী যাদের হাজোত বাসের মেয়াদ তিন বছর পার হয়ে গেছে, তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ২৭৩জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ১৩৬১৭৩ টি মামলা বিদেশি ট্রাইব্যুনালে ঝুলে আছে। ২৯৮৪৭১টি বিদেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তার মধ্যে ১১৮৬১৬ জনকে ভারতীয় বলে ঘােষণা করা হয়েছে এবং ১৩৯৯০০জনকে বিদেশি বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জাকির হােসেইন শিকদারের এক প্রশ্নের জবাবে গৃহ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ২০১৬ পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০২১এর ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে মােট ৪৪২৬জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই সময় হত্যা করা হয়েছে ৩৫২৭জনকে। ডাকাতির ঘটনা হয়েছে ১৩৯৬টি। আজ বিধানসভায় এআইইউডিএফর হাফিজ বসির আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী বিমল বরা জানান, সমষ্টি ভিত্তির ক্রীড়া সংগঠন সমূহের উন্নয়নে যুবক-যুবতীদের মানসিক ও শারিরীক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকার প্রত্যেক জেলাতে যােগাভ্যাসের মাধ্যমে শারিরীক ও মানসিক উৎকর্ষের জন্য নির্বাননামের এক যােগ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সমগ্র গ্রাম্য উন্নয়ন যােজনা অনুযায়ী ২৯টি খেলার মাঠ উন্নয়নে ২০ লক্ষ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। তিনি দূর্গা দাস বড়াের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, অলিম্পিক এশিয়ান কমন ওয়েস্থ গেমস পদক বিজয়ীদের বিভিন্ন বিভাগে সরকারি ভাবে নিয়ােগের ব্যবস্থা করা হবে। অসম সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সাধারণ শ্রেণীর প্রার্থীদের চাকরির জন্য আবেদনের বয়স সীমা ৩৮ করা হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে বয়সের উৰ্দ্ধসীমা ৪০ করা হয়েছে। বিধানসভায় দিগন্ত বর্মনের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ একথা জানান। তিনি আরও জানান, এসটি, এসসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের উৰ্দ্ধসীমা পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবিসি এবং এমওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তিন বছর এবং এক্স সার্ভিসম্যানের ক্ষেত্রে দুবছর, একইভাবে বিকলাঙ্গ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দশ বছর উদ্ধসীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সাল থেকে তা কার্যকরী করা হয়েছে। বিধানসভার বাজেট অধিবেশন নিয়ে অপরাহ্নেও আলােচনা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.