অথ মুকুল-দিলীপ প্রণয় সংবাদ !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের দিন থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল দূরত্ব। দিল্লিতে যোগদানের পর বাংলায় ফিরে বঙ্গ বিজেপির অফিসে সখ্যতার বাতাবরণ তৈরি করা হলেও আজ পর্যন্ত মুকুল রায়ের সাড়ে তিন-চার বছরের সময়কালে উভয়ের দূরত্ব ঘোচেনি। কারণটা সহজেই অনুমেয়--মুকুলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার তুলনায় প্রায় অরাজনৈতিক দিলীপ ঘোষের বহু ক্ষেত্রেই মতানৈক্যের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল। তাই স্বাভাবিক কারণেই সম্প্রতি মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির জল্পনার মাঝে ফের একবার বিতর্ক তৈরি হল উভয়ের মধ্যে।২০১৭ সালের নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলন
মুকুল রায়। তারপর তাঁরই নেতৃত্বে বিজেপি ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯-এর
লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যও পেয়েছিল বিস্ময়কর ভাবেই। কিন্তু ২০২১-এ পরিবর্তনের
লড়াইয়ে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণই ছিল এবার মুকুল রায়কে সে
অর্থে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বরং তাঁকে প্রার্থী করে একটি কেন্দ্রেই আটকে
রাখা হয়েছিল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের চূড়োয় উঠে যাওয়া বিজেপি'র কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ
থেকে। এর পেছনে ছিল বঙ্গ বিজেপি'র দিলীপ গোষ্ঠীর নিরবিচ্ছিন্ন মুকুল-বিরোধী চক্রান্ত--যা
দিল্লীর কর্তাদের বিপথে চালিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুকলকে তার রাজনৈতিক মেধা ও
টিমকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে রাখার প্রয়াস মুকুলকে মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট আহত ও
বিব্রত করেছিল বলেই মুকুল প্রায় অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন কী
চরম দুর্দশা অপেক্ষা করছে বঙ্গ বিজেপি'র জন্যে। মেনন-মালব্য-শিবপ্রকাশদের সাধ্য ছিল না বাংলায়
বিজেপিকে ক্ষমতায় বসানোর। তাদের গোবলীয় রাজনীতি বঙ্গ বিজেপি'র কফিনে একের পর এক পেরেকই
শুধু ঠুকে গেছে। বাংলা দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। মঞ্চে মঞ্চে সিংহাসনে
বসে পা-নাচানো দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক মেধা ও দক্ষতার বহরও মানুষ দেখতে পেয়েছে !
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে প্রথমবারের
মতো জনপ্রতিনিধি হলেন মুকুল রায়। কিন্তু তারপর থেকেই বিজেপিতে রীতিমতো বেসুরো
বাজতে শুরু করেন তিনি। বিধায়ক হিসেবে প্রথমবার বিধানসভায় পা দিয়েই তিনি বলেন, কিছু কিছু সময় নীরব থাকতে
হয়। সময় হলেই তিনি মুখ খুলবেন বলেও জানান !
সেই জল্পনার অবশ্য কিঞ্চিৎ নিবৃত্তি ঘটেছিল মুকুল রায় বিরোধী
দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করায়। তারপর থেকে তিনি আবার
অন্তরালে চলে যান। করোনা আক্রান্ত হন সস্ত্রীক। এই অবস্থায় মুকুল রায় সুস্থ হলে
উঠলেও, তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বর্তমানে
অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এরই মধ্যে মুকুল-পুত্র শুভ্রাশু রায় ফেসবুক পোস্ট করে জানান, জনতার রায়ে নির্বাচিত
সরকারের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করা উচিত বিজেপির। এই ফেসবুক পোস্টের পর
স্বভাবতই মুকুল-পুত্রকে নিয়েও শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। আর তা চরমে ওঠে অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায় সটান হাসপাতালে মুকুল-জায়াকে দেখতে গেলে।
হাসপাতালে অভিষেক ও শুভ্রাংশুর মধ্যে কথাও হয়। তারপরই
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পৌঁছে যান হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর হাসপাতালে যাওয়া
নিয়ে মুকুল রায় মন্তব্য করেন--দিলীপ ঘোষ কোথায়, কেন গিয়েছিলেন তা তিনি জানেন না ! দিলীপ ঘোষের
সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি, যোগাযোগ হয়নি,
যে কেউ হাসপাতালে যেতেই পারেন, দেখাও করতে পারেন, তাতে আপত্তির কিছু নেই।
তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। এমন সময় যাঁরা তাঁকে দেখতে গিয়েছেন, তাঁদের তিনি প্রণাম জানান।
এরপরই মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে বিতর্ক বাধে। দিলীপ
ঘোষ মন্তব্য করেন মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসি নিয়ে। দিলীপ বলেন, তিনি একদল থেকে এসেছিলেন
আবার একদলে যাবেন। তাতে বিজেপির কিছু এসে যায় না। প্রথম মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসি নিয়ে
জল্পনার মাঝে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ল পড়ে
গিয়েছে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়ের মতো ব্যক্তিত্ব
যদি দল ছাড়েন, ফিরে যান পুরনো দলে, তবে তা বিজেপির কাছে বিরাট আঘাত হবে। মুকুল
রায়ের ঘনিষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যেই বেঁকে বসতে শুরু করেছেন। তারপর মুকুল রায় চলে গেলে
বিজেপির প্রভূত শক্তিক্ষয় হবে বঙ্গে। বিজেপির সংগঠনে আঘাত নেমে আসবে এর ফলে।
পাশাপাশি এটাও ঠিক, মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও রীতিমতো তমসাচ্ছন্ন হবে
তৃণমূলে ফিরে গেলে--স্বস্তি সম্মান এবং উপযুক্ত মর্যাদা তিনি পাবেন না আগের মতো।
কারণ, সময় যা গিলে খায় তা ফের হুবহু ফিরিয়ে দেয় না।
মুকুল রায় বিধানসভা নির্বাচনে জিতে প্রথমবার জনপ্রতিনিধি
হয়েছেন। কিন্তু ভোট মেটার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থয়া
কেন্দ্রীয় বিজেপি চাইছিল তাঁকে বড় পদ দিয়ে বিজেপিতে আটকে রাখতে। কিন্তু বেঁকে
বসেছেন বঙ্গ বিজেপির দিলীপ গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁরা কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ
করলেন--মুকুল রায়কে গুরুত্বের এই পদে বসানো উচিত হবে না !
মুকুল রায় ও দিলীপের ঘোষের ঠান্ডা লড়াই বিজেপিতে প্রথম
থেকেই রয়েছে। তবু দলের স্বার্থে এতদিন তাঁরা চুপচাপই ছিলেন। কিন্তু একুশের
ভোট-যুদ্ধ হেরে যাওয়ার পর তাঁদের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসছে দ্রুত। তাই
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে মুকুল রায়কে বসানো নিয়ে জোর আপত্তি তুললেন
দিলীপ-ঘনিষ্ঠ নেতারা।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন চাইছেন মুকুল রায়ের মতো
অভিজ্ঞ নেতার হাতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির ভার ন্যস্ত করতে, তখন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব
তার বিরোধিতা করছে। দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ নেতারা একেবারেই চাইছেন না মুকুল রায় পাবলিক
অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হোন। তা হলে নাকি দলের কাছে এবং বাংলার মানুষের
কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে তাঁদের অভিমত !
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বঙ্গ বিজেপি সুপারিশ করেছে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা
হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বিধানসভায় বিরোধী দলের কাছে সবথেকে বড় পদ পাবলিক
অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান যদি মুকুল রায়কে করা হয়, তাহলে দলের কাছে ভুল বার্তা
যাবে। দুজনেই হবেন তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা, বিজেপির আদি নেতারা কি যোগ্য নন, সেই প্রশ্ন উঠবে।
মুকুল রায়কে ওই পদ প্রাপ্তি থেকে দূরে রাখতে দিলীপ ঘনিষ্ঠ
নেতৃত্বের আরও যুক্তি, মুকুল রায়ের নাম জড়িয়েছে সারদা ও নারদ মামলায়। এখন যদি
মুকুল রায় গ্রেফতার হন, তখন কী হবে? তারপর মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বাংলার মানুষ ভাববে
বিজেপিও দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করছে!
এদিকে তৃণমূলের সঙ্গে রায় পরিবারের যোগাযোগ ভালোভাবে নিচ্ছে
না বিজেপি। সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি মুকুল-জায়া কৃষ্ণা রায়কে দেখতে গিয়েছিলেন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথাও হয় মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর। শুভ্রাংশু
অভিভূত হন অভিষেক তাঁর মাকে দেখতে আসায়। এরপর দিলীপ ঘোষও দেখতে যান। কিন্তু তখন
মুকুল বা শুভ্রাংশু কেউ ছিলেন না। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের সাম্প্রতিক
যোগাযোগের প্রভাব পড়তে চলেছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে। দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে
তাঁর স্ত্রীকে দেখতে আসা নিয়ে মুকুল রায় তির্যক মন্তব্য করেন। তাঁকে বা শুভ্রাংশুকে
না জানিয়েই আসেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
এরপর মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে যাওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, হাসপাতালে কাউকে দেখতে গেলে
জানিয়ে যেতে হয় নাকি?
কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস
কমিটির চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির আপত্তিতে তা আপাতত কেঁচে
গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চেয়েছিল এমন একজনকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করতে, যাঁর সঙ্গে শাসক-বিরোধী দুই
দলের নেতাদের সঙ্গেই ভালো যোগাযোগ রয়েছে। সেই হিসেবেই মুকুল রায়কে বেছে নিয়েছিলেন
তারা। কিন্তু ঘোর আপত্তি বঙ্গ বিজেপির। এই পরিস্থিতি মুকুল রায়কে আরও তৃণমূলের
দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপিতে বারবার মুকুল বনাম দিলীপ দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। তা
সামাল দিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। অমিত শাহ দূত পাঠিয়ে মুকুল রায়কে সক্রিয়
করেছেন বহুবার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর যেভাবে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে, তা বঙ্গ বিজেপিকে ভাঙনের
মুখে দাঁড় করাতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভোটের পর থেকেই কিছুটা হলেও আড়ালেই ছিলেন মুকুল রায়। একদিকে
যখন বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করছেন দিলীপ ঘোষ তখন কোনও রকমে শপথ নিয়েই বিধানসভা
ছেড়েছেন মুকুল রায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিধানসভায় সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথাও বলেন
তিনি। শুধু তাই নয়, আগামিদিনে যা বলার ডেকে বলবেন বলে মন্তব্যও করেন মুকুল।
আর তা থেকেই জল্পনা হয় রাজনৈতিকমহলে। তাহলে কি তৃণমূলে
ফিরছেন মুকুল রায়? যদিও পরবর্তীকালে বিজেপিতেই রয়েছেন বলে টুইট করেন
কৃষ্ণনগরের এই বিধায়ক। কিন্তু এরপরেও জল্পনা তাঁকে ঘিরে চলছেই।
গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ মুকুল-পত্নী। অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই
খবর। আর এরপরেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা হয়
শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আর এই সাক্ষাৎ ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে থাকে।
‘মুকুল রায়ের স্ত্রী মাতৃসম', তাঁকে হাসপাতালে দেখতে
যাওয়ার পর এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা আরও
জল্পনাকে উস্কে দেয়। আর এরপরেই মুকুল-পত্নীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান দিলীপ
ঘোষ। যা নিয়ে আরও বিতর্ক তৈরি হয়।
এদিকে ভোট মিটতেই আরও কাছাকাছি রায় এবং বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিবার! আর এটাকে মোটেই ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সে কথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন
সিং। বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের সঙ্গে শাসক শিবিরের সম্পর্ক নিয়ে যে জল্পনা তৈরি
হচ্ছে তাতে বিজেপি নেতারা ক্ষুব্ধ বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। কটাক্ষ করে অর্জুন
বলেন, ‘রায় পরিবার' ও ব্যানার্জি পরিবারের কী সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। তবে তাঁর
সাফ বক্তব্য, বিজেপির কর্মীর যখন ঘরছাড়া, তখন এই সম্পর্ক ভাল চোখে দেখছে না মানুষ।
অর্জুন সিং বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ কর্মী বাড়ি ছাড়া।
ভোট পরবর্তী হিংসায় অনেক 'কাকিমা'র কোল খালি হচ্ছে।' তাই অভিষেক ‘কাকিমা'কে দেখতে গিয়েছিলেন বলে যে যুক্তি শুভ্রাংশু
দিয়েছেন, তা মানতে রাজি নন অর্জুন। তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ সৈকত ভাওয়ালের খুনীরা
পার পেয়ে গেল। সেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা মানায় না।' উল্লেখ্য, সম্প্রতি শুভ্রাংশু বলেছেন, ‘সৌজন্য নয়, নিজের কাকিমাকে দেখতে
এসেছিলেন অভিষেক।'
অর্জুন সিং-এর আরও দাবি, বিজেপির অনেক কর্মীই তাঁকে ফোন করে গালিগালাজ
করছেন। তবে মুকুল রায় দলবদলের ভুল করবেন না বলেই মনে করেন তিনি। ব্যারাকপুরের দাপুটে
নেতার দাবি, যাঁরা ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলে দেখতে আসছেন, তাঁরা ঘরছাড়াদেরও দেখে আসুন
!!









কোন মন্তব্য নেই