৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ রচনা
এক সময় এই দিনটিকে অর্থাত্ ‘৫ জুন’কে রাষ্ট্রপুঞ্জ ‘মেগা ইভেন্ট’ হিসাবে পালন আসছে। বিশ্বে সবুজায়ন ও প্রকৃতির
গুরুত্ব বোঝাতেই এই দিনটিকে পালন করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের
ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেটা ছিল মানব পরিবেশ নিয়ে আলোচনার স্টকহোম সম্মেলনের
প্রথম দিন। মাত্র দু-বছরের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের পালা।
১৯৭৪ সালে ঘটা করে এই পরিবশে দিবস পালন শুরু হয়। প্রথমবার আমেরিকায় বিশ্ব পরিবেশ
দিবস পালিত হয়। যার থিম রাখা হয় 'অনলি ওয়ান আর্থ'। স্থির হয়, প্রতি বছর পরিবেশ দিবস পালন
করবে বিভিন্ন আয়োজক দেশ। সেই অনুযায়ী শুরু হয় পথা চলা।
এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম রাখা হয়েছে 'ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন'। এই গুরুত্বপূর্ণ দিবস
পালনের জন্য এবার আয়োজক দেশ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। ২০২০ সালে
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ছিল 'সেলিব্রেট বায়োডাইভারসিটি'। ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রপুঞ্জের গত দশক ধরে অবদান
তুলে ধরা হবে আগামী ৫ জুন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের গুরুত্ব বলতে গেলে মূলত, বিশ্বের বুকে প্রকৃতির অবদান বোঝাতেই এই দিন পালন করা হয়।
ইউনাইটেড নেশনস বা রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে প্রকৃতির অবদান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন
করার লক্ষ্যে শুরু হয় এই উদযাপন। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে উদ্যোগপতি, ব্যক্তি ও সম্প্রদায়কে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয় এই
নির্দিষ্ট দিনে। প্রকৃতি কীভাবে আমাদের রক্ষা করছে তা বিশ্ববাসীকে বোঝানো হয় এই
পরিবেশ দিবসে। পরিবর্তে প্রকৃতিকে রক্ষা করাও যে আমাদের কর্তব্য, সেই সম্পর্কে সচেতন করা হয় জনসাধারণকে। এই নির্দিষ্ট দিনে
সরকারের পক্ষ থেকেও চলে পরিবেশ নিয়ে জনসচেতনার উদ্যোগ।
এদিকে, মানব জাতির ওপর অভিশাপস্বরূপ প্রকট হয়েছে করোনা
ভাইরাস। কিন্তু তা আশীর্বাদের কাজ করেছে প্রকৃতির বুকে। লকডাউনের জেরে জল ও
বাতাসের দূষণ কমেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ গত ২ বছর লকডাউনের মধ্যে থাকায় গাড়ি
সেভাবে রাস্তায় নামেনি। যার ফলে কার্বন নির্গমন কমেছে। ফলে শুধরেছে বায়ু দূষণের
মাত্রা। তবে মাস্ক, গ্লাভসের মতো নানা মেডিক্যাল ওয়েস্টের ফলে
করোনোকালে প্রকৃতির চিন্তা বাড়িয়েছে দূষণ। (সংগৃহীত)
কোন মন্তব্য নেই