Header Ads

১ জুলাই থেকে রাজ্যে আনলক ৩-০, সরকারি বেসরকারি অফিস খুলবে

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : আগামী ২১ জুন আর্ন্তজাতিক যোগ দিবসের দিন থেকে অসমে ১৮ বছরের উপর বয়সীদের বিনা পয়সায়  ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদানের  কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, এই সময় সরকারি  বেসরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী  সহ  সকল শ্রেণির মানুষকে  ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন প্রদানক  "বর্ধিত হারে ভ্যাকসিন  প্রকল্প" বলা হচ্ছে। রাজ্যের ২০০০টি কেন্দ্র থেকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সকাল থেকে সহরে রাত টা পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। নার্স সহ  স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিদিন ১০০টাকা করে পরিবহন   খরচা দেওয়া হবে। শহুরে দুটি শিফট গ্রামে একটি শিফটে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রিয় সরকার ভ্যাকসিন   উৎপাদানকারীদের কাছ থেকে ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলোকে দেবে। অসমকে ১১ লাখ ডোজ দেবে।  দিনে লাখ বা লক্ষ ৬০ হাজার  ভ্যাকসিন দিতে পারলে কেন্দ্র থেকে সরকার  অতিরিক্ত ভ্যাকসিন  পাবে। ৯০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া  সম্ভব হবে।  আগামী জুলাই থেকে রাজ্যে আনলক ৩-০ শুরু হবে।  সব সরকারি বেসরকারি অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  খুলবে। বিকাল টা থেকে কারফিউ শুরু হবে, তবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।  মুখ্যমন্ত্রী আশা করেন, এই ১০ দিনে সব  সরকারি বেসরকারি কর্মী বাধ্যতামূলকভাবে এই  ভ্যাকসিন  নিয়ে  অফিস যাবে। মুখ্যমন্ত্রী আজ তিনসুকিয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।  মার্গারেট নর্থইস্ট  কোল ফিল্ড কোম্পানির অর্ন্তগত তিরাপ  ও তিরাপ ওপেন কাস্ট  কয়লাখনি চালু করার কথা  বলেন। তিনসুকিয়াতে বলেন, জেলাতে লাখ ভ্যাকসিন দিতে পারলে ইমিউনিটি  বৃদ্ধি পাবে জেলা করোনা মুক্ত হবে। নামরূপে গিয়ে নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প  পরিদর্শন করেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, শোণিতপুর, গাঁকাছাড়   জেলার অবস্থা ভালো হয়নি। প্রতিদিন ২০০, ৩০০ জন করে  সংক্রমিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। এই পাঁচ জেলাতে আনলক ৩-০ কার্য্যকরি হবে কিনা সন্দেহ আছে। নতুন করে পুরো লকডাউন হওয়ার সম্ভবনা   প্রবল। স্বাস্থ্য বিভাগ   সেই   সম্ভবনার কথা জানিয়েছে। তবে হাতে ১০ দিন সময় আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হতেও পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.