বহিরাগত তত্ত্ব, জয় শ্রীরাম স্লোগান, আর বাঙালি আবেগ, মমতার জয়লাভ নিয়ে প্রশ্ন
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : পশ্চিমবঙ্গে
তৃতীয়বারের জন্যে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এল। নন্দীগ্রাম
কেন্দ্রে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে মাত্র ১২০০ ভোটের
ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির
শুভেন্দু অধিকারীকে হারালেন কিন্তু তার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জয় লাভ করে
মমতা বলেন,
বাঙালির জয় হল, বাঙালির জয় হল। তিনি কোভিড বিধি মেনে চলে আহ্বান
জানান। তিনি বলেন, অনেক কথা বলার আছে পরে বলবেন। বঙ্গে
বামপন্থী দল
ধুয়ে পুছে গেল। কংগ্রেস
দল শেষের পথে। রাহুল
গান্ধী পার্টটাইম চাকরির মত মাঝে মাঝে এসেছেন। কোনো দায়িত্ব নেননি। অধীর
চৌধুরীর মত কংগ্রেস নেতার জেলা মুর্শিদাবাদ আজ কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। এই প্রাচীন দল পরিবার কেন্দ্রিক, আজও
সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা রাহুলের
উর্দ্ধে উঠতে পারলো না। দলে গণতন্ত্র
নেই। বহরমপুরের সাংসদ অধীর
চৌধুরীকে জানি একাই শক্তিতে
চলছেন। পাশে কেউ নেই। প্রাক্তন বামপন্থী
মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
শেষের দিকে শিল্প স্থাপন নিয়ে চিন্তা
ভাবনা, নানা সংস্কার করেছিলেন।
তারপর বিরোধী আসনে বসে সব ভুলে
গেছে। কোনো আন্দোলন ছিল না। মানুষের পাশে ছিল না। তাই
স্বাভাবিকভাবে ভোটে দূরে সরে গেছে। বিজেপি
পশ্চিমবঙ্গে জিরো দিয়ে শুরু করে ৭৫টির বেশি আসন পেয়েছে। বামপন্থীরা মাত্র একটি আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সভাপতি
জে পি নাড্ডা প্রমুখ প্রচারে এসেছিলেন। প্রধান মন্ত্রী ১৫ টি সভা
করেন। তৃণমূল কংগ্রেস জিরো
দিয়ে নয়, ৩৪ দিয়ে
শুরু করে। ৩৪ শতাংশ
মুসলিম ভোটার মমতার কট্টর সমর্থক। এই
নিবার্চনে হাত খুলে তৃণমূলকে
ভোট দিয়েছে। পরে জানা যায়,
নন্দীগ্রামে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন, ১৬২৩ ভোটে
মমতা হেরেছেন। শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন। মমতা আদালতে
যাবার হুমকি দিয়েছেন। এক সংবাদ সন্থা তাকে ১২০০ ভোটে
জিতে গেছেন বলে ঘোষণা করে। মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে নতুন করে গণনার দাবি জানিয়েছে তার দল। দাবি করেন, তার দল শুধু
বাংলাকে নয় ভারতের ১৩০ কোটি
মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে হবে। না দিলে দিল্লিতে
গান্ধী মূর্তির তলে অনশন করবো। আন্দোলন করবো। তিনি বলেন, কোভিড
ভালো হওয়ার পর বিগ্রেডে বিশাল জনসভা করা হবে। এখন সভা সমিতি না করার নির্দেশ
দিলেন মমতা। তিনি বলেন, জয়
বাংলা আর খেলা হবে স্লোগান
দলকে উজ্জীবিত করেছে জিততে সাহায্য করেছে। বিজেপি
সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জয় প্রকাশ সাংবাদিক
সম্মেলন করে কোভিড প্রতিরোধে সরকারের কাজকে সমর্থন করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ভেঙে ছিল, আজ থেকে দাঁড়িয়ে পায়ে হেঁটে ভাষণ
দিতে দেখা গেছে। হুইল
চেয়ারের ছুটি। প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি মমতাকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই