Header Ads

নজরুল : যাকে ভাগ করা যায় না

১১ই জৈষ্ঠ, ছিল  বিদ্রোহ প্রেম ও সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন। এই মহামানবের জন্মদিনে সামান্য কিছু তথ্য  ।

নজরুল পশ্চিমবঙ্গের রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল ইংরেজী রাজ হাই স্কুলে ছাত্র থাকাকালীন তিনটি অভিনন্দনপত্র রচনার সংক্ষিপ্ত ইতিকথা।

নজরুল রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল ইংরেজী রাজ হাই স্কুলে ছাত্র থাকাকালীন ১৯১৬ সালে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন, শ্রী নগেন্দ্র নাথ ব্যার্নাজী। স্কুলের এক রচনা প্রতিযোগিতায় নজরুল পুরস্কার পেয়েছিলেন সামান্যই, কিন্তু তাঁর রচনা সুধী জনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। স্কুলের মুদ্রিত বার্ষিক বিবরণীতে প্রধান শিক্ষক মহাশয় নজরুলের নাম উল্লেখ করেছিলেন। বিবরণীতে বলা হয় : -

Further considering the extraordinary merit of the several papers of the competitors for the Edgely prize, the generous donor has kindly granted Rs. 4/-to each of the three other candidates viz. Balaram Mukherjec, Golak Bihari Misra and Kazi Nazrul Islam for their good production of the essay.

১৯১৬ সালে শিক্ষারত এক দরিদ্র মুসলমান বালকের নাম প্রধান-শিক্ষকের বার্ষিক বিবরণীতে স্থান পাওয়া সে যুগে এক বিরল ঘটনা এবং এক বিশেষ লক্ষণীয় বিষয়।

ওই একই স্কুলে ছাত্র থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে তিনজন শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে তিন-খানা বিদায়-অভিনন্দন পত্র দেয়া হয়, এই তিন খানা অভিনন্দন পত্রই নজরুল লিখে দেন। এই তিনখানা অভিনন্দন পত্র বেশ দীর্ঘ।

১৯১৬ সালের ১১ই এপ্রিল মঙ্গলবার ওই স্কুলের শ্রদ্ধাস্পদ মৌলবী মহম্মদ আবদুল গফুর সাহেবের বিদায়োপলক্ষে : নজরুল লেখেন ‘মর্ম্নোচ্ছ্বাস‘।

সিয়ারসোল ইংরেজী রাজ হাই স্কুলের শিক্ষক শ্রী ভোলানাথ স্বর্ণকার বি এ-এর বিদায় উপলক্ষে নজরুল রচনা করেন ‘করুণ গাথা‘।

‘করুণ বেহাগ‘ নাম দিয়ে নজরুল রচনা করেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রিয় শিক্ষক শ্রীযুক্ত হরিশঙ্কর মিশ্র বি এ-এর বিদায় উপলক্ষে। প্রিয় শিক্ষকের প্রিয় ছাত্রও ছিলেন নজরুল। নজরুলের অসামান্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে হরিশঙ্কর মিশ্র তাঁর প্রিয় ছাত্রের সাথে ছবি তুলেছিলেন যা সে যুগে সহজসাধ্য ছিল না।

১৯২৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর, নজরুল ইসলামের সম্মানার্থে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সমস্ত বঙ্গবাসীর পক্ষ থেকে একটা অভ্যর্থনা সভার আয়োজন করা হয়৷ সেখানে কবিকে সোণার দোয়াত ও কলম উপহার দেওয়া হয়৷এই সভাতে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বক্তব্য রাখেন৷ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেন “আমার বিশ্বাস যে নজরুলের কবিতা পাঠ করে ভবিষ্যত প্রজন্মের সন্তানেরা superman হবে”৷ সুভাষ বোস বলেন “আমরা যখন যুদ্ধে যাব আমরা নজরুলের যুদ্ধের গান গাইব আর আমরা যখন কারাগারে যাব তখনও আমরা নজরুলেরই গান গাইব”-- (প্রিয় দাদা কেশব সান‍্যালের সৌজন্যে) (সংগৃহীত)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.