Header Ads

দিদি হার স্বীকার করে নিয়েছেন, অসমে লুঙ্গি টুপির কথা বলে অসমবাসীকে অপমান : প্রধানমন্ত্রী

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : পশ্চিমবঙ্গের  রাজনীতিতে  তৃণমূলের দিন শেষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হার স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি এখন নন্দীগ্রাম ছাড়াও আরও এক কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে   চাইছেন। কিন্তু  তৃণমূল নেতারা দিদিকে পরামর্শ দিয়ে  বলেছে, যদি দিদি দুই কেন্দ্রে হেরে যান তবে তার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। তাই দিদির ইচ্ছা হেরে গেলে এবার কোনো লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দীতা করা। জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখা। তাই দিদি  দেশের রাজনীতি বিদদের চিঠি লিখে  জমি  তৈরি করছেন। আজ  একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিদিকে বেনারস থেকে  দাঁড়াবার পরামর্শ দেন। সেখানকার মানুষ অতিথিপরায়ণ, কাশী-বানারসের মানুষ দিদিকে  বহিরাগত বলবে না।  আজ সোনাপুরে এক বিশাল সভা  সম্বোধন করে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের এই ভেতরের খবর প্রমাণ করছে দিদি হার স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বিপদতারিনিকে  স্মরণ করে  নেতাজি সুভাষ  চন্দ্র বসুর  জাতীয়তাবাদী ভাবধারার কথা বলে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন,  তিনি কিন্তু বহিরাগত ছিলেন না।  অসমের তামূলপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরেপক্ষতার  কথা বলে মহাজোট দেশকে বরবাদ করছে। বদরুদ্দিন আজমলের পুত্র   গতকাল ভবানীপুরে বলেন, এবার লুঙ্গি, টুপি  দাড়ি সিঁদুর পড়া হিন্দু মহিলার সরকার হবে। গরিবের সরকার হবে। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গে বলেন, এভাবে অসমবাসীকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। সেই সূত্রে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে কংগ্রেস ইউ ডি এফ জোট দেশককে বরবাদ করছে। আজ  সভাতে প্রাধানমন্ত্রী দেখেন দূরে এক বয়স্ক লোক অজ্ঞান  হয়ে মাটিতে পড়ে যান। প্রধানমন্ত্রী তা দেখে ভাষণ  বন্ধ করে তার সঙ্গে  আসা মেডিক্যাল টিমকে তৎক্ষণাৎ লোকটির   কাছে গিয়ে   চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন। মেডিক্যাল লোকটিকে এম্বুলেন্সে করে  নিয়ে যান হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এক বিরাট রোড শো করে অভিযোগ করেন,  বহিরাগতদের এনে বিজেপি গুণ্ডারাজ চালাচ্ছে, দেদার টাকা খরচ করে ভোট কিনছে।  অসমে অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, বি পি এফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি সম্পর্কে  অভিযোগ করেছিলেন। অস্ত্র আইনে তাকে এন আই এ-কে দিয়ে গ্রেফতার  করানো হবে। কংগ্রেস নির্বাচন  কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন। কমিশন ৪৮  ঘন্টা নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। মন্ত্রীর আর্জি মেনে কমিশন ২৪  ঘন্টা  কমিয়ে দেয়। হিমন্ত আবার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। অসম জাতীয় পরিষদের  সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ মা দুলু  গগৈকে হারিয়ে আজ প্রথম গুয়াহাটিতে  রোড শো করেন। মা যে তার আর্দশ  সে কথা স্মরণ করেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.