জল সমস্যা মানুষের ইতিহাসে গভীরতম সংকট সৃষ্টি করবে
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : মানুষের
ইতিহাসে জল সমস্যা গভীরতম
সংকট সৃষ্টি করবে একদিন।
বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ দূষণের মাত্রা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গেছে।
ভারত সহ ইউরোপের বহু অংশে অকল্পনীয় উত্তাপ উত্তর মেরু গলছে।
দায়ী নীতি ভ্রষ্ট বাজার
সর্বস্ব অর্থনীতি। গত
২০১৯ সালের ৩০ জুন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন কি বাত শীর্ষক
বেতার বার্তায় একথা বলে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছিলেন। এও বলেছিলেন নদী, পাহাড়,
অরণ্য, ভূমি সবই
বাজারের দৃষ্টিতে ইনকাম বৃদ্ধির
উপকরণ। দেশের নীতি আয়োগ বলেছে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৪০ ভাগ লোক তীব্র জল কষ্টে ভুগবে।
এই বছরের মধ্যে দেশের বড় বড়
নগরের ভু-গর্ভের
জল উৎস শুকিয়ে যাবে। গত কয়েকদিন আগে বিশ্ব জল সংরক্ষণ
দিবস পালন করা হল। জল ফুরিয়ে
যাচ্ছে, বন কমছে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো তাদের
নির্বাচনি ইস্তাহারে জল সংকট নিয়ে কোনো
গুরুত্ব দেওয়া হল না। প্রধানমন্ত্রী মোদি
পরিবেশ নিয়ে অনেক তথ্য দেন তার মাসিক মন কি বাত অনুষ্ঠানে।
তার মনের কথা আজ ছিল ৭৫ তম
অনুষ্ঠান। তিনি আজ এমন এক পাখি নিয়ে বললেন যে পাখি। আমাদের ঘরের ছাদে
বারান্দায় কিচির-মিচির
করে আর ঘুরে ঘুরে পোকা মাকর খেয়ে থাকে।
ক্ষুদ্র চড়াই বা
চড়ুই পাখি। ভারত সহ
এই উপ মহাদেশে দেখা যায়। মাত্র বছর তিনেক তাদের
জীবনের মেয়াদ। ২০ মার্চ
সারা বিশ্বে sparrow বা চড়াই
পাখি বাঁচাও দিবস
পালন করা হয়। ধূসর বাদামি রঙের,
গলার তলে সাদা বা লাল রঙের এই
ক্ষুদ্র এই পাখি গুলি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। আজ তার মনের কথায় এই
হারিয়ে যাওয়া পাখিদের
স্মরণ করলেন। সেই সঙ্গে দেশে
মৌমাছি পালন নিয়ে ও বললেন। জল সংরক্ষণ, জঙ্গল পরিবেশ
নিয়ে তিনি বার বার দেশবাসীকে সজাগ
করার চেষ্টা করছেন।
কোন মন্তব্য নেই