দেশের নজর নন্দীগ্রাম মমতা- শুভেন্দু মেগা লড়াই
কলকাতা
: পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয়
দফার ৩০ টি আসনে ১ এপ্রিল
ভোট। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন নন্দীগ্রামে। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন মেদিনীপুরের
তৃণমূল পরিবারের সন্তান শুভেন্দু অধিকারী। পুরো পরিবার আজ
বিজেপিতে। শিশির অধিকারী পর্যন্ত তৃণমূলে। মমতা বেকায়দায় পরে গেছেন।
তার ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে মমতা
বিরাট ঝুঁকি নিলেন বলে তৃণমূলের
ঘনিষ্ট মহল বলছে। মমতা আজ অধিকারী পরিবারকে লক্ষ্য করে বার বার
আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, দুধ দিয়ে
সাপ পুষেছিলাম। নির্বাচন বলে চুপ আছি দেখবো
তাদের ক্ষমতা, দাদাগিরি।
ওদিকে বিজেপি সভাপতির জে পি
নাড্ডা মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, ভয়ে
কেন নিজের কেন্দ্র ভবাণিপুর ছাড়লেন। যতই চেষ্টা করুন না কেন নন্দীগ্রামে জয় পাবেন
না। দ্বিতীয়দফা নির্বাচনে নিরাপত্তার
জন্য ৮০০ কোম্পানি
মোতায়েন করা হয়েছে। নন্দীগ্রামকে
নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ১৪৪ ধারা
জারি করা হয়েছে। প্রতি
বুথে চারজন করে আধা সামরিক বাহিনী
মোতায়েন করা হয়েছে। জে পি নাড্ডা,
জোট প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জী এবং শুভেন্দু অধিকারী ও
বিজেপি নেতারা বারবার অভিযোগ
করেছেন, তৃণমূল
সরকার নিরপেক্ষভাবে ভোট করতে দেয় না। রাজ্যে ৪৬ হাজার
ক্লাবের হাতে লাখ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
প্রতি বুথে রিগিং করে
বিরোধীদের আটকাতে। এর
জন্যে বোমা-বন্দুক
সবই রেডি রাখা হয়েছে। বিগত বাম শাসনে এই রকম বুথ জ্যাম করে
দলকে জিতিযে দেওয়া হত। সেই প্রেক্ষিতে
বিজেপি আটঘাট বেঁধে নেমেছে। বিজেপি বলছে, রিগিং বন্ধ করতে
পারলে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। অমিত শাহ দাবি করেছেন, ২০০-এর বেশি
আসনে বিজেপি জিতবে। তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজস্ব
ভাষা ব্যবহার করে বলেন, তারা ক্ষমতায় আসছে। বিজেপি ধারে কাছে যেতে পারবে না।
কোন মন্তব্য নেই