ডাম্পারের ধাক্কায় হত দম্পতি:পাথারকান্দি মুণ্ডমালায়
সুব্রত দাস, বদরপুর(করিমগঞ্জ): একই সঙ্গে সারাজীবন দু'জনে দু'জনার হয়ে থাকার শপথ নিয়েছিলেন।কিন্তু এভাবে পুরো পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল না।ঘাতক বালির টিপার কেড়ে নিলো দম্পতির প্রাণ।একমাত্র সন্তান খ্রিষ্টিন চরাইর কী হবে।সে পথ চেয়ে বসে আছে মা-বাবার।গত বুধবার কালাইনে-লক্ষীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় বদরপুর নবীনচন্দ কলেজের ছাত্রের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই শনিবার পাথারকান্দিতে ডাম্পারের ধাক্কায় নিহত হন দম্পতি।ঘটনাটিতে ঘটেছে পাথারকান্দির মুণ্ডমালা সংলগ্ন বাইপাস।নিহত দু'জন হলেন লিংগি শেখ চড়াই(৪৫) ও টিনামনি চরাই(৩৪)।তারা স্বামী-স্ত্রী।টিনামনি চরাই পাথারকান্দি থানার মহিলা পুলিশ কর্মী এবং তার স্বামী লিংগি শেখ চরাই পেশায় গাড়ি চালক।জানা গেছে,শনিবার থানায় নিজ দায়িত্ব সেরে সন্ধ্যা নাগাদ টিনামনি তাঁর স্বামীকে নিয়ে এএস১০-এ-৬০৩৩ নম্বরের বাইকে চেপে বাজরিছড়া থানাধীন মাগুরা খাসিয়া পুঞ্জির বাড়িতে যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে।আসাম ত্রিপুরা ৮ নং জাতীয় সড়কে পাথারকান্দি মুণ্ডমালা বাইপাসে।করিমগঞ্জ অভিমুখী দ্রুতগামী একটি ডাম্পার সজোরে বাইকে ধাক্কা মারলে উভয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাইক চালক লিংগি শেখের।সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় টিনামনিকে পাথারকান্দি হাসপাতালে আনার পরই মৃত্যু হয়। এদিকে,ঘটনার পরই রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ঘাতক ডাম্পার গাড়িটি পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনগণের তৎপরতায় বারইগ্রামে ধরা পড়ে একটি সূত্রের খবর। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সরকারি কোর্য়াটারে থাকা দম্পতির বারো বছরের পুত্র কান্নায় ভেঙে পড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় এই মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পাথারকান্দি হাসপাতালে ভিড় জমান স্থানীয় জনগণ। তাদের এই মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি এই দম্পতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কোন মন্তব্য নেই