মেঘালয়ের সব বাঙালিই কি বাংলাদেশী? মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে স্মারক পত্র মেঘালয়ের বাঙালিদের
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,গুয়াহাটিঃ মেঘালয়ের ইছামতির গত ফেব্রুয়ারি মাসের একটি ঘটনা নিয়ে বাঙালি সংগঠনের আন্দোলনের জেরে সে রাজ্যের সব বাঙালিই বাংলাদেশী বলে আখ্যা দিয়েছে খাসি সংগঠন (কেএস ইউ)। বিষয়টি নিয়ে এতদিন পর মেঘালয়ের বাঙালিরা একত্রিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে প্রতিবাদপত্র পাঠান। পোস্টার লাগানোর পর সে সময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সাম্প্রদায়িক বা ভাষিক বিভেদ কখনই কাম্য নয়।
স্মারক পত্রে বলা হয়েছে যে মেঘালয় সরকার যেন রাজ্যের ভাষিক বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার, জীবন সম্পত্তি,ভাষা,ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়। রাজ্যের ভাষিক ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করা হোক। সরকারি চাকরিতে তাদের কোটা সম্পর্কে স্পষ্ট নীতি ঘোষিত করা হোক। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে ষষ্ঠ তফসিলের নিয়ম মানা হোক, যে কোনও মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দমন করতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
বর্তমানে মেঘালয়ে বাঙ্গালিদের সংখ্যা নগন্য। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা দাবিও জানিয়েছেন বাঙালিরা।
স্মারক পত্রে আরও বলা হয়েছে যে ইংরেজদের আসার আগে শ্রীহট্ট, ময়মনসিংহ ও আশেপাশের এলাকার লোকদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য চলত শিলংয়ের ভূমিপুত্রদের। সে সময় বাঙালিদের সাথে তাদের সম্পর্ক নিবিড় ছিল। ১৯৭৯ সালের দাঙ্গাতে ৫০ জন বাঙালির প্রাণ যায় এছাড়াও ঘর ছাড়া হয় বহু বাঙালি, বহু বাঙালির মৃত্যু হয়। সেইসময় অনেকের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত হামলাকারীরা শাস্তি পায়নি, কোনও ক্ষতিপূরণও পায়নি বাঙালিরাও।
শিলং এর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও বিভিন্ন দায়িত্বশীল বিভাগ সামলেছেন বাঙালিরাই। ষাটের দশকে ভাষার দাবিতে লড়াই চলার সময় ওই রাজ্যের বাঙালিরা ভূমিপুত্রদের, সাথে নেতাদের সাথে থেকেছেন। শিলংয়ের অনেক স্কুল-কলেজ বাঙালিরাই তৈরি করেছেন। বর্তমনে মেঘালয়ের বাঙালিরা অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে। এরপরও তাদের বহিরাগত বলাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে মেঘালয়ে বাঙ্গালিদের সংখ্যা নগন্য। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা দাবিও জানিয়েছেন বাঙালিরা।
স্মারক পত্রে আরও বলা হয়েছে যে ইংরেজদের আসার আগে শ্রীহট্ট, ময়মনসিংহ ও আশেপাশের এলাকার লোকদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য চলত শিলংয়ের ভূমিপুত্রদের। সে সময় বাঙালিদের সাথে তাদের সম্পর্ক নিবিড় ছিল। ১৯৭৯ সালের দাঙ্গাতে ৫০ জন বাঙালির প্রাণ যায় এছাড়াও ঘর ছাড়া হয় বহু বাঙালি, বহু বাঙালির মৃত্যু হয়। সেইসময় অনেকের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত হামলাকারীরা শাস্তি পায়নি, কোনও ক্ষতিপূরণও পায়নি বাঙালিরাও।
শিলং এর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও বিভিন্ন দায়িত্বশীল বিভাগ সামলেছেন বাঙালিরাই। ষাটের দশকে ভাষার দাবিতে লড়াই চলার সময় ওই রাজ্যের বাঙালিরা ভূমিপুত্রদের, সাথে নেতাদের সাথে থেকেছেন। শিলংয়ের অনেক স্কুল-কলেজ বাঙালিরাই তৈরি করেছেন। বর্তমনে মেঘালয়ের বাঙালিরা অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে। এরপরও তাদের বহিরাগত বলাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই