বিহারে জিতে গেলেও বিজেপি জোটকে চরম শিক্ষা দিল ভোটাররা
অমল গুপ্ত, কলকাতা : সারা দেশ বিহারের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। রাত ৭টা পর্যন্ত
বিহারে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই চলছে। গণনা গভীর রাত পর্যন্ত হতে পারে। মহাজোটের পক্ষে কংগ্রেস
২০ জেডি ৪৩, বিজেপি ৭২, আরজেডি ৭২, বামপন্থী ও অন্যান্য
১৮টি ভোট পেয়েছে। এনডিএ ১২৪ এবং ইউপিএ ১১৯টি ভোট পেয়েছে। ২৭টি কেন্দ্রে এনডিএ
এগিয়ে আছে। ওপর দিকে ইউ পি এ ১৮টি কেন্দ্রে
এগিয়ে আছে। ২৪৩টি আসনে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত
বিজেপি জোট জিতে যাবে বলে পূর্বাভাস। বিজেপি ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি জিতলে নীতিশ
কুমারকে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হবে। লালু প্রসাদ যাদব পুত্র তেজস্বী যাদব দেশের
অবক্ষয়ি রাজনীতিতে বহু দুর্নীতির মালিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের
পুত্র তেজস্বী এমন তুখর রাজনীতিবিদ হতে পারেন বিশ্বাস করা কঠিন।
এই যুব নেতা প্রধানমন্ত্রীকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বিহারে বিজেপি জোট
খুঁড়িয়ে জিতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস চাপের মুখে পড়বে। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু
অধিকারী আজ নন্দীগ্রাম দিবসে এক জনসভা করে একবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নাম উচ্চারণ করেননি। বিজেপির মত জয় ভারত মাতা স্লোগান দিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা ভালো
চোখে দেখছেন না। বিজেপি পাখির চোখ করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে। তবে বিহারে কোনো
মতে জিতলেও হাজার প্রশ্নের মুখে দাঁড়া করাবে বিজেপিকে সঙ্গে অবশ্যই নীতিশ কুমারকে।
কারণ সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ, কর্ম সংস্থান,
প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিহার
সরকার অনেক অনেক পিছিয়ে। মদ বন্ধ করেছেন খাতায় কলমে, হাটে বাজারে সব এলাকায় মদ সহজেই মিলে। স্বাস্থ্য-শিক্ষা
খাতেও উন্নয়ন ধরা পড়েনি। যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ,
ভারত মাতা কোনো ইস্যু নয়। শ্রমজীবী গরিব
মানুষের প্রয়োজন মৌলিক অধিকার, চাল, ডাল, তেল, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো
সাধারণ চাহিদাগুলি পূরণ হোক।
কোন মন্তব্য নেই