Header Ads

১০ দিন পেড়িয়ে যাওয়ার পরও করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস বাস্তবে কোনো রুপ পেলনা : প্রদীপ দত্ত রায়

সংবাদদাতা, শিলচরঃ  ১০ দিন পেড়িয়ে যাওয়ার পরও করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস বাস্তবে কোনো রুপ পেলনা বলে প্রদীপ দত্ত রায় অভিযোগ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, জমির জট কেটে গেলেই ১০ দিনের মধ্যে করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস হবে । এই কথা দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা । কিন্তু সেটা বাস্তবে কোনো রুপ পেলনা । তার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি  বলেছিলেন সাংসদ কৃপানাথ মালা , পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল , রাতাবাড়ি বিধায়ক বিজয় মালাকার ঐক্য মতে পৌঁছালে জমি নির্ধারণ হবে । এবং তারপর দশ দিনের মধ্যেই শিলান্যাস হবে । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ১০ দিনের মধ্যে ওই তিনজন ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারলেন না । করিমগঞ্জে মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস হলনা । এটা শুধু করিমগঞ্জ বাসীর দুর্ভাগ্য নয় গোটা বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় । যেখানে বরাক উপত্যকা বাদ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় এখন পর্যন্ত বারোটা মেডিকেল কলেজ স্থাপন হয়ে গেছে । কিন্তু বরাক উপত্যকায় দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজের কাজ এখনো শুরু হলো না । এটা আমাদের ব্যর্থতার পরিচয় । মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এও বলেছিলেন বিজয় মালাকার এবং কৃষ্ণেন্দু পাল আমার ডান এবং বাম হাত । আমি মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে বলতে চাই এই দুজন যদি আপনার ডান এবং বাম হাত হন তাহলে ওই দুই হাতকে এক জায়গায় আনতে কেন পারছেন না । দুই হাতকে জোড়া করলেই হাততালি বেজে যেত । আপনি রাতাবাড়ি নির্বাচনে এসে বলে গিয়েছিলেন যেখানে বেশি ভোট বিজেপি পাবে সেখানেই মেডিকেল কলেজ হবে । তাহলে কেন রাতাবাড়িতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে দ্বিধা বোধ করছেন ।  এটা পরিষ্কার দিসপুর কখনো চায় না বরাক উপত্যকার বাঙালির নেতারা এক হোন । তারা আমাদের মধ্যে লড়াই  করাতে চায় । আমাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে  ফায়দা তুলতে চায় দিসপুর । এটা আজকের কথা নয় দীর্ঘ ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে এই রাজনীতি চলছে । ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাঙ্গালীদের দাবিয়ে রাখার জন্য কখনো হিন্দু বাঙালি এবং মুসলিম বাঙালির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয় , আবার কখনো সুযোগ বুঝে হিন্দু বাঙালি নেতাদের মধ্যে বিরোধ লাগিয়ে দেওয়া হয় । এই করে তারা ফায়দা লুটে । এটা আরো একটা ব্যাপার করিমগঞ্জ জেলা সিলেটের একটি অংশ ছিল । কিন্তু সিলেটের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারছেন না বর্তমানের নেতারা । কৃষ্ণেন্দু এবং বিজয়ের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি করতে চাইছেন এটা বুঝা বড় দায় । করিমগঞ্জে এখন পর্যন্ত উন্নতি মূলক কোনো কাজ হয়নি । কাছাড়ে মেডিকেল কলেজ  , ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ , ইউনিভার্সিটি , পলিটেকনিক আছে কিন্তু করিমগঞ্জে কি আছে । করিমগঞ্জ সেই তুলনায় অত্যন্ত বঞ্চিত । করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি বঞ্চনার শিকার হচ্ছে শুধু । ওই দুই জেলায় উন্নয়নমূলক কোন কাজই হয়নি। তাই করিমগঞ্জ বাসীকে আমি অনুরোধ করছি সবাই যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য দাড়ান । আমি সাংসদ কৃপনাথ মালাকে অনুরোধ করছি আপনি দুজন বিধায়ককে একসঙ্গে বসিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে মেডিকেল কলেজের জমির জট খুলে দিন । এবং শীঘ্রই স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে আমন্ত্রণ জানান শিলান্যাস করার জন্য । করিমগঞ্জ দেখিয়ে দিক উন্নয়নের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি । অবিলম্বে করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস হোক এটা বরাক উপত্যকার মানুষদের দেখতে চায় ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.