Header Ads

নির্বাচনের পূর্বে চা জনগোষ্ঠীর লোকদের জন্য বাম্পার অফার রাজ্য সরকারের, সঙ্গে অন্যান্য বহু সুবিধা

 


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ নির্বাচনের আগে চা জনগোষ্ঠীর লোকদের জন্য বাম্পার অফার রাজ্য সরকারের। শুক্রবারে যোরহাটে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা চা জনগোষ্ঠীর লোকদের জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেন।

আগামী নভেম্বর মাসে চা শ্রমিকদের ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার আবার ৩ হাজার করে টাকা দেবে বলে ঘোষণা করেন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব। এর আগেও নির্বাচনের পূর্বে চা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন।

মন্ত্রী হিমন্ত চা বাগানের প্রতিটি সংস্কৃতি ও ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নতুন শিক্ষানীতি প্রবর্তন হওয়ার পর চা বাগানের ছাত্রছাত্রীদের পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের নিজের ভাষায় পাঠদান করা হবে এবং এর জন্য নতুন শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন।

চা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে থাকা কলেজগুলোতে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ আসন চা জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। আগামী ১ ও ২ নভেম্বরে অসমের ১১৯টি চা বাগানে হাইস্কুল নির্মাণের কাজ আরম্ভ করা হবে এবং ৬ মাসের ভিতরে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে এই বিদ্যালয়গুলিতে পাঠদান আরম্ভ করা হবে। পরবর্তী সময়ে এই বিদ্যালয়গুলো উচ্চতর মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হবে।

মেডিক্যাল শিক্ষায় বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার জন্য পৃথকভাবে মোট ১৮টি আসন চা জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রফেশনগুলোতে চা জনগোষ্ঠীর লোকদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তাদের আত্মসংস্থাপনের মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে ঘোষণা করেন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

অসমের চা শ্রমিকরাও অসমের সামাজিক, বৌদ্ধিক ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে লাগবে। তিনি আরও বলেন, চা জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেকে অসমীয়া বলে পরিচয় দিতে লাগবে। কারণ সকলের অংশগ্রহণেই জাতি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতার ৭০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও চা জনগোষ্ঠীর লোকেরা যেমন ধরনের উন্নয়ন হতে লেগেছিল, ঠিক তেমন ধরণের কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।

বিদেশে চায়ের প্রশংসা করলে আমরা গৌরব অনুভব করি। কিন্তু আলফার থেকে যখন ষ্টেটমেন্ট দেওয়া হয়, চা জনগোষ্ঠীর লোকেরা অসমীয়া নয়, তখন কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করেত ভয় করি। আমরা অসমের ৬৫ শতাংশ লোক নিজের নিজের পরিচয় নিয়ে বেঁচে আছিয কিন্তু মধ্য ও নিম্ন অসমে ৫৩ শতাংশ লোক কেবল একটা পরিয়চয় নিয়েই বেঁচে থাকেন। যারা ৬৫ শতাংশ লোকের মধ্যে বিভাজন আনার চেষ্টা করে তাদের আমাদের সভ্যতার শত্রু। আমাদের এই প্রতিজ্ঞা করতে হবে যাতে কখনও আজমলকে দিসপুরের গদী দখল করতে দেব না বলে মন্ত্রী হিমন্ত সকলে আহ্বান জানান।

নির্বাচনের পূর্বে মন্ত্রী হিমন্তের এই ঘোষণাসমূহ তাৎপৰ্যপূৰ্ণ বিবেচিত হয়েছে। উল্লেখ্য অসমের ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে চা জনগোষ্ঠীর লোকেরা নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা গ্রহণ করেন। আগন্তুক নির্বাচনে এই সময়ে কংগ্রেসের দখল থাকা এই কেন্দ্রগুলিতে বিজয় সাব্যস্ত করতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন তিনি। সাংসদ কামাখ্যা প্রসাদ তাসা জানিয়েছেন, এই ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশে এবার বিজেপিই জয়লাভ করাটা নিশ্চিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.