করোনা আতংককে দূরে সরিয়ে এই দুর্দিনে নিজের জন্মদিনে পঞ্চাশ জন দু:স্থ ছেলেমেয়েকে রেঁধে খাওয়ালেন সমাজ কর্মী ছবি ধর
নয়া ঠাহর ডেস্ক, ১ অক্টোবর : করোনা আতংককে দূরে সরিয়ে মানুষের এই ঘোর
দুর্দিনে নিজের জন্মদিনে পঞ্চাশ জন দু:স্হ ছেলেমেয়েকে নিজের হাতে রেঁধে খাওয়ালেন
কোচবিহারের একাধারে সংগীত শিল্পী, লেখিকা, ইউটিউবার ও সমাজ কর্মী ছবি ধর। বাছাই করা একশো
জনকে দিলেন জামা কাপড়ও। ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল ছবি ধরের জন্মদিন। পশ্চিমবাংলার
কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ শহরেই জন্ম তাঁর। কলেজের পড়াশুনা শেষে বিয়ের পর স্বামীর
চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আপ্ত করা অভিজ্ঞতাই বিপদের সময়ে মানুষের
পাশে দাঁড়াতে অনুপ্রানিত করেছে ছবিকে। ছবি চান আরো বেশী মানুষ ভালোবাসুক তাকে। সঙ্গীত
চর্চা লেখালেখি ও অভিনয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন তিনিl শর্ট ফিল্ম ডিরেক্টর হিসাবে একটি নির্যাতিতা
যুবতীর জীবন কাহিনী নিয়ে ঢেউ (The wave) নামে একটি শট ফিল্ম বানিয়ে এই বছর কোচবিহার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কারও
পেয়েছেন তিনি। শর্ট ফিল্মে অভিনয়, স্ক্রিপ্ট লেখা আবহ
সঙ্গীত প্রদান সবই করেন তিনি। দৃষ্টি, পান ও দেহতরি সমেত অনেকগুলি শর্ট ফিল্ম বানিয়েছেন তিনি। প্রয়াস মানব কল্যাণ
সংস্কৃতি সংস্হার সম্পাদিকা হিসাবে বিভিন্নরকম সমাজ সেবার কাজেও যুক্ত তিনিl
বাংলা সাহিত্য ডট কম ও
প্রতিলিপি অনলাইন ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।
অপরাজিতা অর্পণ, শীতলগড় সাহিত্য পত্রিকা,
তোর্সা সাহিত্য পত্রিকা,
জলপিপি, মেলবন্ধন, অন্বেষণ, মনভাসী, মনন পত্রিকা,
নেটফড়িং, মেলবন্ধনে, আজকের শিলিগুড়ি ও
বাংলাদেশের কবিতাশ্রম পত্রিকা সমেত বহু পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোট গল্প প্রকাশিত
হয়েছে তাঁর। ভারতীয় মানবাধিকার রক্ষা পরিষদ ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে
কলকাতার মহাজাতি সদনে সংগীতের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন তাকে।
আনন্দ প্রকাশন থেকে কলকাতা বইমেলায় যথাক্রমে ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়
প্রথম কাব্য গ্রন্থ অন্তহীন উড়ান ও দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ আত্মপ্রেরণা। ২০১৬ সালে
পান অপরাজিতা অর্পণ সাহিত্য পুরস্কার। কলকাতায় যুবকেন্দ্র গ্যালারি গোল্ড সহ বহু মঞ্চ
ও টেলিভিশনে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। বর্ধমান সমুদ্রগড়ের সৃজনী ও একাগ্ঘনী পত্রিকা
থেকে সম্প্রতি সারাভারত কবি সম্মেলনে ক্ষেত্ৰনাথ দেবনাথ স্মৃতি সম্মাননাও পান
তিনি। The Cuisine & Culture নামে একটি
রান্নাবান্না শেখানোর ইউটিউব চ্যানেলও চালান তিনি। বুধবার দুঃস্হ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে
নিজের জন্মদিন পালন করতে ছুটে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ৪০ কিমি দূরে ডুয়ার্সের
আলিপুরদুয়ার জেলার রাজা ভাত খাওয়ার কাছে বাউনী বস্তিতে। রবীন্দ্র ও রজনীর গানে
সুখ্যাতি লাভ করা শিল্পী ছবি ধর চান, সব মেয়েরাই স্বাবলম্বী হউক। তার সাফ কথা, পরিবারের লোকজনরা বাধা হয়ে দাঁড়ালেও বাধা
অমান্য করেই কাজ করতে হবে মহিলাদের। কাজে সাফল্য পেলে পরিবার পরিজনও তখন পাশে
দাঁড়ায়। মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেই সফল হবে মহিলা ক্ষমতায়নের শ্লোগান। এই
করোনা অতিমারির সময়েও নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অভাবীদের সাহায্য
করা। ফেসবুক লাইভে এসে গান গেয়ে, রান্নার নতুন
নতুন রেসিপি শিখিয়ে যুগিয়েছেন মনের খোরাক।
কোন মন্তব্য নেই