Header Ads

COVID-19 নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব অগ্রাহ্য, ওয়াক আউট



অমল গুপ্ত, সাংবাদিক, গুয়াহাটি : বিজেপি জোট সরকারের বিধানসভার শেষ শরৎকালীন অধিবেশন আজ শুরু হয়েছে। কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ আজ বিধানসভার অধিবেশনের সময় নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে চলেন করোনা ইস্যুতে দল দুটি যৌথভাবে মুলতবি প্রস্তাবের নোটিশ দেয়। এআইইউডিএফ দলপতি হাফিজ বশির আহমেদ এবং কংগ্রেস দলের দলপতি দেবব্রত শইকিয়া নোটিশটি দিয়েছিলেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী মুলতুবি প্রস্তাব বাতিল করলে দল দুটি একসঙ্গে সদন থেকে ওয়াক আউট করে। গোস্বামী বলেন, বিশ্বজুড়ে কোভিড অতিমারী চলেছে পরিস্থিতি খুব জটিলবিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারেতার জন্যে এক সময় নির্ধারণ করতে হবে। মুলতুবি প্রস্তাবের গ্রহণযোগতা নিয়ে বলতে উঠে দেবব্রত শইকিয়া বলেন,  রাজ্যে ব্যাপক হারে সংক্রমণ হচ্ছে  কিন্তু সরকার তা সামাল দিতে পারছে না। সব দিকে ব্যর্থ হয়েছে। নন কোভিড রুগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। সরকারের নিদিষ্ট কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সরকার ছেলে খেলা করছে। লকডাউনের ফলে সর্বসাধারণ মানুষ অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করছে তাদের স্বস্তি দিতে কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। এআইইউডিএফের হাফিজ বশির আহমেদ নানা তথ্যপাতি তুলে ধরে কোরোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের শোচনীয় আর্থিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেকোথায় গেল সেই টাকা? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আশংকার কথা জানিয়ে বলেন, কোভিড উদ্ভূত পরিস্থিতির অর্থনৈতিক সংকট ঘনিয়ে আসবে অপরাধ জনিত ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। মহিলা-শিশুদের বিরুদ্ধে অপরোধজনক ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের ঘটনা তুলে বলেন, লকডাউনের ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিরাট লোকসান হবে। বেকারের সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সরকারের পক্ষে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী মুলতুবি প্রস্তাবের জবাবে বলেন, কোভিড সংক্রমণের ফলে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। অসমের অবস্থা ভালো নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে, তবে মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করা যেতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.