Header Ads

চীন আজও অরুণাচল প্রদেশের ৫ যুবককে ছাড়েনি, ১৯৬২ সালের ভারত আজ অনেক উন্নত, চীনকে মোকাবিলার ক্ষমতা রাখে



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : একদিন পঞ্চশীল নীতির আধারে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হওয়া চীন আজ ভারতের সঙ্গে শত্রুতা শুরু করেছে চীন আজ লাদাখের জমি দখলে নেমেছেউত্তর-পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশকে বাগে আনতে চাইছে। চীন আজ দাবি করেছে, অরুণাচল ভারতের অংশ নয়। দক্ষিণ তিব্বতের অংশ চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে আজ এই দাবি জানানো হয়েছে। চীন অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবর্ণ সিরি জেলার নাচো সেক্টরের এক জঙ্গলে শিকার করতে যাওয়া সাত উপজাতি যুবককে পি এল এ বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায়দুজন পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। চীনা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া যুবকরা হলেন প্রসাদ রিংলিং,  টর্চ সিনকাম, ডোঙটু এরিযা, তানু বাকের এবং গারু দিরি। আজও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চীনা সেনা পি এল এ গ্রামবাসীদের ধরে মারধোর করে বলে কংগ্রেস বিধায়ক নীনং এরিং অভিযোগ করেছেনতিনিই অপহরণের খবর সংবাদ মাধ্যমকে দেন। ভারত-চীন সীমান্তে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের ক্ষত চিহ্ন আজও টাওযাঙে আছে। বরফ ঢাকা অপূর্ব মনোরম টাওয়াঙে বৌদ্ধ মন্দির,  পাহাড়ি ছোট্ট শহরে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের এক মিউজিযাম আছেসেখানে গিয়ে দেখেছি, ৬০ বছর আগে চীনারা এ কে ৪০, ৫৬-এর মতো অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবহার করতেভারতীয় সেনারা মান্ধাতা কালের বন্দুক ব্যবহার করতেন  সেনা শহিদদের নাম লিপিবদ্ধ আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নাহেরুর এক বার্তা আছে তিনি ভারতের দুর্বলতার ছবি তুলে ধরেছেনহারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। যা উচিত হয়েছে বলে মনে করি না। আজকের ভারত অনেক শক্তিশালী অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র হাতে এসেছে। ওই মিউজিয়ামে ভারতীয় শহীদদের মুখগুলো দেখে খারাপ লাগছিল চীনাদের আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রের মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনারা শুধুই গাদা বন্দুক নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন। তাই প্রাণ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। ভারত সরকারের উচিত ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র সস্ত্র ছাড়া যুদ্ধে না নামা। আজ চীন ভাবছে জন যুবককে অপহরণ করে অরুণাচল প্রদেশ দখল করবেসে গুড়ে বালি, আজ ভারত অনেক উন্নতচীনের লাল চোখকে কেউ ভয় পায় না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.